Wednesday, August 17, 2011

বেপরোয়া -- সিরিয়াস ছানা

ছবির উৎস: লিঙ্ক

এই লেখাটা লিখতে বসে যে কতবার আমাকে কাটতে হল আর কতবার যে নতুন করে ভাবতে হল কে
জানে! আসলে লেখার অভ্যেসটা তো চলে গেছে বহুত দিন হয়ে গেল। আগে তাও মাঝে মাঝে প্রেমপত্র লিখতাম, এখন সেটাও বন্ধ! তবে একটা অদ্ভুত ব্যাপার দেখছি। লেখাটা লিখতে বসে মনে হচ্ছে হঠাৎ করেই যেন সেই লেখার flow টা ফিরে এসেছে। ভাল লাগছে বেশ।
সবই তো হল কিন্তু লিখতে বসে এই বার বার কাটা আবার নতুন করে লেখা- এগুলো কেন? হয়তো কারুর পড়তে ভাল লাগবে না বা হয়তো সবাই আমার লেখা পছন্দ করবে না অথবা editor upload না করে delete করে দেবে! এই তো? কিন্তু আমরা এই সব ব্যাপারগুলোকে নিয়ে এত চিন্তিত কেন? আমরা এগুলোকে ignore করতে পারিনা কেন? লোকে কি ভাববে না ভাববে তাই নিয়ে এত মাথাব্যাথা কেন?

এইসব বললে একটাই উত্তর পাওয়া যায় – “সমাজে বাস করতে গেলে এসবকে ignore করা চলে না”। আরে ধুর মশাই! আমার যদি চাকরি চলে যায় তাহলে কি ‘সমাজ’ আমাকে বসিয়ে খাওয়াবে? কখনই না। আমাকে নিজের রাস্তা নিজেকেই তো করে নিতে হবে। আরে দাদা! ভিক্ষে করতে গেলেও এলেম লাগে। জান না একবার কোনো মন্দিরের সামনে হাত পেতে দাঁড়িয়ে ভিক্ষে করুন না, দেখুন কতজন ভিক্ষে দেয়!

আচ্ছা, ‘সমাজ’ জিনিসটা কি বস্তু? সেটা কি খায় নাকি মাথায় দেয়? ছোটবেলায় তো পড়েছিলাম আমরা একসঙ্গে যে system- এর মধ্যে আছি সেটাই নাকি সমাজ! আরে মশাই! সমাজটা কাকে নিয়ে? আপনি আমি নিয়েই তো সমাজ নাকি? (এই কথাটা বহুবার শুনেছেন নিশ্চয়। সুতরাং Cliché লাগলেও লাগতে পারে। যদিও লাগলেও কিছু করার নেই, আমি আমার মতো বলব।) তো তাহলে এইরকম জটিলতাটা তৈরী হচ্ছে কেন? একটা equivalent উদাহরণ মাথায় আসছে (জানিনা সেটাকে censor করা হবে কিনা!) বাড়িতে তো দাদা খুব গরম হলে খালি গায়ে বসে থাকি! এমনকি cinema তেও তো জন বা ঋত্বিক এর mutton ki dukaan (মানে ওই biceps, triceps, abs আর কি!) বা Ash–এর two piece bikini তো বেশ আচার করেই দেখানো হয়। এবং আমরাও সেটাকে বেশ আচার করেই খাই। তাহলে বাইরে বেরনোর সময় গায়ে জামাকাপড় না গলানো অপরাধ কেন? এমনকি নায়ক নায়িকারাও খালি গায়ে রাস্তায় ঘোরেন না কেন? না, অন্যভাবে নেবেন না, এ্টা কোনো অশালীন ইঙ্গিত না, আমি বলছি না অর্ধনগ্ন হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। কিন্তু অন-স্ক্রিন যখন আমরা দেখছি তখন তো আমার সমাজ-বোধ এইভাবে জেগে ওঠে না। তাহলে জিনিসগুলো এইভাবে defined কেন আমাদের?

তারপর ধরুন, seminar, interview, এসব formal কাজের জন্য ব্লেজার, টাই এসব পরে যাওয়া কি খুবই দরকার আমাদের মত গরম দেশে? আমি যদি হাফ শার্টে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তাহলে সেটা চলবে না কেন? আর যদি শালীনতার কথাই যদি বলেন তাহলে সেটা জামাকাপড়ের সঙ্গে কিভাবে relate করা হল বুঝলাম না। কারণ একটা সময় তো আমরা সবাই দিগম্বর (এটা public site তো, তাই ‘দিগম্বর’ কথাটা use করলাম। নাহলে হয়তো অন্য কোন শব্দ use করতাম, জানি না সেটা অশালীন হতো কিনা!) হয়েই ঘুরে বেড়াতাম। তাহলে এইসব উদ্ভট etiquette গুলোর জন্ম হল কোথা থেকে এবং কি করে হল? এটাও আমার কাছে একটা রহস্যের।

যাই হোক, main topic কি দিয়ে শুরু করেছিলাম সেটা থেকে অনেক দূর এসে পড়েছি। বাচাল স্বভাব আর কি! কিছু নিয়ে বকবক শুরু করলে থামা মুশকিল। তবে কিনা মনের ভাবনা তা যেভাবে তরতরিয়ে এগোচ্ছে তাতে তার সঙ্গে সঙ্গত দেওয়া আমার কলমের (হ্যাঁ কলম, কম্পিউটার নয়, কম্পিউটারে কাজ করা যায়, সিনেমা দেখা যায়, বইও পড়া যায়, কিন্তু লেখা- নৈব নৈব চ) পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লেখার মধ্যে হয়তো অনেক অসঙ্গতি থাকবে। কিন্তু থাকলে কি হবে? কি আবার হবে! থাকলে থাকবে! আমি থোড়াই কেয়ার করি!

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই