Tuesday, September 13, 2011

কয়েকটি ভাঙা আঁচড় -- অরণ্য

১.
সব কেমন থমথমে হয়ে আছে..আশপাশের বাড়িগুলো খুব করে দাঁড়িয়ে আছে..যেন কিছুতেই পথ ছাড়বে না কাউকেই..মোহ মানুষকে কোথায় টেনে নামায়..নিজেকে দেখে বুঝতে পারি..পাশ দিয়ে
হঠাৎ হঠাৎ বেরিয়ে যাওয়া গাড়িগুলোও কি আমাকে চিনে ফেলেছে..? আমি ভয় পেয়ে দু’ চোখ বন্ধ করে খুব জোর নিঃশ্বাস নিই..পেছনে ফেলে এসেছি যা-কিছু
পথচোরা ফাঁকি..সবাই এখন আমাকে ঘিরে বেবাক মত্ত..
আমার বেঁচে থাকা চ্ছিঁড়ে চ্ছিঁড়ে যাচ্ছে..আমার মরে থাকা..সেও।


২.
এলোমেলো ঘর ফেলে মরা চাঁদ পাড়ি দিলো অন্ধ জলের দেশে..
সব কিছু হারিয়ে ফেলছি..মুখনরম আহ্লাদ..শহুরে মায়া..যাদবপুর-পূর্বাচল..
ভেতরের দুয়ার খুলে দাও মোহ— জন্ম ডুবে থাকি একা একা পাথুরে মেঘে..সেই পুরোনো বাঁশিওয়ালা চলে যাবার আগে তাকে ধরতে হবে..রোদে..পুড়িয়ে ফেলতে হবে তার সব বাঁশি।

৩.
চারদিকে সব ছুটে ছুটে যাচ্ছে..রাস্তা..হারানো ইউনিকর্ন..খুচরো হাওয়া..বিবাদী বরফ..শুকনো বিরাম..
আমার আলগা মন খালি কেঁপে কেঁপে ওঠে..আজ সকাল সকাল বৃষ্টি এলো খুব।
সেই কোনো এক চুলখোলা মেয়ে। এখন সে অবসরে ধুলো গোনে শুধু..আমি কেবল বৃষ্টি বাদলে তার এলোমেলো মায়া আগলে থাকি..যেমন আছে..ওই অন্ধ মা তার চ্ছেঁড়া চ্ছেঁড়া তিন মেয়ে নিয়ে..অসমাপ্ত, ভাঙা। আস্তাকুঁড় শরীর হয়ে..


About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই