Monday, October 17, 2011

হাঁড়িচাঁচা -- খেঁদি - পেঁচি

আপনারা হাঁড়িচাঁচা পাখি দেখেছেন? চলন্তিকায় বলেছে, কালো ধূসর রঙের পাখি (magpie জাতীয়) – আমি  হাঁড়িচাঁচাই দেখিনি, তো magpie আর কোত্থেকে দেখবো বলুন? আর কালো ধূসর যে
কেমন রঙ তাও জানিনা ... হেঁ হেঁ হেঁ, আপনারা বলছেন তো আয়নার সামনে দাঁড়ালেই কালো ধূসর চাক্ষুষ করতে পারবেন... আসলে কি জানেন, আমার বেজায় ভূতের ভয়। বাড়িতে তো একলা থাকি, আমার সাথে কেউ থাকতে পারেনা কিনা... ওই যে সুকুমার রায় বলেছিলেন না, ‘মনের মতন সঙ্গী তোমার কপালে নাই লেখা, তাইতে তোমায় কেউ পোঁছে না, তাইতে থাকো একা’... না হাসবেন না... এটা উনি আমার সম্পর্কে বলেননি, হাঁড়িচাঁচাদের সম্পর্কে বলেছেন। যা বলছিলাম, ভূতের ভয়। শুধু ভূত কেন, যে কোনো রকম না-মানুষ – অশরীরীদেরই আমি প্রচণ্ড ডরাই। খাটের তলায় ঘুমোই রাত্তিরে। যদি ভূতেরা সেঁধায়, তাদের খাতিরযত্নের কথা ভেবে খাটে বালিশ বিছানা, এমনকি ম্যালেরিয়া কি চিকুনগুনিয়া যেন না হয়, সেজন্য ফুটো মশারিটা পর্যন্ত পরিপাটি সাজিয়ে রাখি। সে যাই হোক... একটা কথা আপনাদের কাছে লুকোবো না... ‘সবার তুমি খুঁত পেয়েছ, নিখুঁত কেবল নিজে’ এই কথাটা হাঁড়িচাঁচাদের সম্পর্কে বলা হলেও আমার ক্ষেত্রেও দিব্যি খাটে জানেন। দেখুন, যখন জানিই যে আমি নিখুঁত, তখন অন্যের খুঁত ধরতে না পারলে মনটা কেমন খুঁতখুঁত করে না?
সেদিন পাওনাদার এসেছে বাড়িতে... কয়েকশ’ টাকার জন্য ক’মাস ধরে কী যে ঘ্যানঘ্যান করছে
লোকটা ... এক কথা বারবার শুনলে কার না মাথা গরম হয় বলুন? খুব ভালই জানে যে ও টাকা আমি ফেরত দেবনা, কোনোদিনই দিইনা... তবু একই কথা বলেই যাবে বলেই যাবে... ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে থাকতে একবার ছোটো বাইরে যেতে চাইল... আমি ভদ্রতা করে পথ দেখিয়ে দিলুম... তারপর বলে কি –
‘ও মশাই, টয়লেটে আলোর সুইচ কোনটা? জ্বলেনা কেন?’
‘জ্বলবে না, বাতিটা খুলে নিয়েছি, অন্ধকারেই কাজ সারুন...’
‘এ কি রে বাবা? ছিটকিনি লাগছে না যে...’
‘ছিটকিনি লাগেনা বলেই আলোটা খুলে রাখা হয়েছে। ছিটকিনি লাগেনা এমন টয়লেটে আপনি আলো জ্বালিয়ে যেতে চান?’

ভেবে দেখুন, কেমন বেকুব... যাক গে, যে কথা হচ্ছিল, হাঁড়িচাঁচা... আপনারা দেখে থাকলে আমাকে একটা পাসপোর্ট সাইজ ছবি পাঠাবেন তো। লাইব্রেরিতে দেখবেন, বাঙলার পাখি বইটাতে পাওয়া যাওয়া উচিত... আমাকে আজকাল আর ঢুকতে দেয়না লাইব্রেরিতে... আচ্ছা আপনারা কখনো লাইব্রেরির বই চুরি করেছেন? এ রাম, না না, অন্যভাবে নেবেন না... দারু একটা রোমাঞ্চ হয় চুরি করার সময়, আমি এন্তার করতাম তো... বই পড়বার তো সময় হতনা, চুরি করে বেচে দিতাম... হাতখরচাটা উঠে আসত... যদি লাইব্রেরিতে পান, ছবিটা কেটে (হেব্বি আরাম লাইব্রেরির বই-এর ছবি কাটতে) বা পাতাটা ছিঁড়ে পাঠালেই চলবে...
আপনি ডাকটিকিট ছাড়াই পোস্ট করে দেবেন, এখানকার পোস্টম্যানের সাথে আমার বেশ একটু খাতির আছে... মাঝেমাঝে পার্সেলের দু-চারটে জিনিস সরিয়ে নিয়ে আসে... বেজায় দরাদরি করতে হয় যদিও, তাও লোকটা মোটের ওপর নিরীহই... একটা ছবি যদি পারেন, পাঠাবেন, কেমন?

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই