Monday, May 14, 2012

১২টা থেকে ৪টে -- কৌশিক

আত্মহননের আগে

শরীরের ভেতর আরেকটা শরীর
থপথপ করে হেঁটে যাচ্ছে, অসংখ্য সরীসৃপ কিলবিল -
লোহার শিরস্ত্রাণ মাথার চারিপাশে ছোট, আরো ছোট হয়ে আসে ।
জামাকাপড়, চামড়া, মাংস খুলে রেখে নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকি অস্থিসার,
অন্ধকার বেরিয়েছে আজ আলোর শিকারে !
আত্মরতিময় কালযাপন উদগ্রীব হয়ে রাতের প্রহর গোনে,
আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু পরিত হয় মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষায় - ঘাতক তার পদক্ষেপ, চুপিচুপি অভিসার ।
ছত্রাকের মত গজিয়ে ওঠা স্বপ্নেরা ছড়ানো-ছিটোনো,
বুকের সামনে-পেছনে, বৃষ্টিহীন থম-ধরা মেঘের মত ।
আজ কালকূট, কিংবা গিলোটিনের দিন ।

আত্মগ্লানির পর


দেয়ালের আবছায়ে সারি সারি অশরীরী মুখ - অপসৃয়মাণ, তবু প্রকট হতে প্রকটতর।
দুলছে, ঝুলছে, কাছে আসছে, দূরে চলে যাচ্ছে আবার !
- কী বলতে চায় ওরা?
পথের ধারে ঠায় বসে থেকে ধূলোমাখা যে কালো বুড়োটা একমনে
মাছধরা জাল বুনছিল, হঠাৎ চোখ তুলে বলে, "আজ এলে? কতদিন থাকবে?"
"শিল কাটাও" দুপুরে বুনো আনারসের গন্ধমাখা বাতাস,
মাদুর-বিছোনো একশরীর কৃষ্ণচূড়া কোলে করে, কী বলতে চায়?
কিছু মুখ বহুচেনা, পুরনো, ভাঙাচোরা, কিছু বা একেবারে অচেনা...
মলাট দেয়া নতুন কিশলয়, কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে পড়া আস্ত সুপুরিগাছ,
প্রতিমার আধতৈরী কাঠামো, ঝোপঝাড়, আনাচ-কানাচ,
উদাসী রাজকুমার, সবুজ দাড়ি, ষোড়শ জনপদ -
কী নেই সেখানে !
ভোর হয়ে আসে - হিসেবগুলো নতুন করে করতে হবে আবার ।
আপাতত একটা খুনের কবিতা লিখি -

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই