Wednesday, May 22, 2013

Honey, I Shrunk the Pics! (3) -- Saikat

এর আগের পোস্টে extension tube ব্যবহার করে তোলা কিছু ছবি আপনারা দেখেছেন। কিভাবে extension tube দিয়ে ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করতে হয় সেটা বলার আগে অ্যাপারচার লিভার-এর ব্যাপারটা একটু বলে নেওয়া ভালো। এই লিভারটির কাজ হলো লেন্স অ্যাপারচারকে এর নির্বাচিত F-number এ খুলে রাখা। লিভার টি একটা স্প্রিং দিয়ে অ্যাপারচার এর সাথে যুক্ত এবং ক্যামেরা বডির ইলেকট্রনিক অ্যাটাচমেন্ট দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু রিভার্স লেন্স টেকনিক ব্যবহার করলে(অর্থাৎ কিনা, লেন্সকে উলটো করে ঘুরিয়ে ক্যামেরায় লাগালে) ইলেকট্রনিক লিঙ্ক বিচ্ছিন্ন হয় এবং অ্যাপারচার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে depth of field খুব বেশি হলেও আলো প্রায় না ঢোকায় ছবি কমপোজ করা যায় না(প্রায় অন্ধকারে ছবির বিষয়কে দেখতেই পাওয়া যায় না- দেখা না গেলে ছবি তুলবেন কি করে)। এই অসুবিধে দূর করার জন্য একটা শক্ত কাগজ কেটে নীচের ছবির মতো করে ব্যবহার করলে মুশকিল আসান। তবে এই উপায়টা Nikkor G-type লেন্সের জন্য। Nikkor D-type লেন্সে অ্যাপারচার রিং থাকে।



এবার তাহলে আগের পোস্টের ছবি গুলো কীভাবে তুলেছি সেটার গল্প করি। প্রথমেই বলে নিই কি কি লাগবে:

Wednesday, May 15, 2013

নামান্তর -- নির্মাল্য

অনেকদিন আগে, যখন বিজ্ঞান মাথাটাকে পুরোটা মুড়িয়ে খায়নি, মানে যখন পুরনো বাড়ির কার্নিশে ভুতের সাদা কাপড় দেখে ভয় পাওয়ার আনন্দটুকু পেতাম, তখন ক্লাস সেভেন-এর সদ্য গোঁফ ওঠা ‘বড়’ দাদা প্রশ্ন করেছিল, “আচ্ছা, বলত, এমন কি জিনিস, যা ছোট-বড়, জ্যান্ত-মরা, প্রাণী-ভুত সব্বার আছে?” গোল গোল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকেও এরকম সার্বজনীন সম্পত্তির কোন পাত্তা পাই নি। পাড়াতুতো দাদা বিজ্ঞের মত মাথা নেড়ে জানিয়ে দিয়েছিল, সেই বস্তুটি আর কিছুই নয়, সেটি হল “নাম”। সত্যিই তো এটা মনে এল না! সেদিন বুঝলাম ক্লাস সেভেনে উঠলে সত্যিই পণ্ডিত হয়ে ওঠা যায়। তারপর থেকে আজ অবধিও এই ব্যাপারটার তেমন কোন ব্যতিক্রম চোখে পড়ে নি। “প্রাচীরের গাত্রে” “নামগোত্রহীন” ফুলের পরিচয় জমিদার বাড়িতে বসে হয়তো পাওয়া যায়নি, কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা ফচকে ছেলের কাছে ফুলটা বোধহয় অতটাও অখ্যাত নয়। যাই হোক, ধান ভানতে গিয়ে শিবের উদ্দেশ্যে দু’চার কলি গেয়ে নিতে আমার মোটেই ভাল লাগে না। কিন্তু নাম ব্যাপারটা নিয়ে দু’চার কথা বলতে পেলে মন্দ হয় না।

প্রাচীন সংস্কৃত, ল্যাটিন, গ্রীক প্রায় সব ভাষাতেই “নাম” শব্দের মূলটি মোটামুটি একই। তবে প্রাচ্যে “নাম” তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং বহুমাত্রিক। আপনার নিশ্চয় মনে আছে,

Wednesday, May 8, 2013

চ্যাপলিন-চরিত -- সুশোভন



আকাশের গায়ে কেমন চাপ চাপ নিস্তব্ধতা। এক টুকরো মধ্য কলকাতা আলসেমি ভরা উদাসী  দুপুর। গলির গলি তস্য গলি পেরিয়ে গন্তব্য তিন নম্বর বেডফোর্ড স্ট্রিট।

মাত্র ছফুট-থেকে আট ফুট চওড়া রাস্তা। অগুনতি ঠেলা, রিকশা, আর স্কুল ফেরত বাচ্চারা পাশাপাশি ঠেলাঠেলি করে চলেছে। ঘিঞ্জি রাস্তার দু’ধারে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙাচোরা দোতলা বাড়িরা। রাস্তার ধারে কর্পোরেশনের কলে মত্ত জল কেলি করছে একদল উলঙ্গ শিশু।
একটা বাড়ির দাওয়ায় ঘুমে ঢুলু ঢুলু এক মহিলা বসে ছিলেন। তাঁকেই প্রশ্ন করলাম-
“সেলিমের বাড়িটা এই দিকেই তো?” ঘুম জড়ানো চোখেই সেলিমের বাড়ির রাস্তা দেখিয়ে দেন তিনি। সেই রাস্তার দিকে পা বাড়িয়েছি, মহিলাটি পিছন থেকে বলে ওঠেন, “সিরিফ সেলিম বোলা কিউ? সেলিম জোকারওয়ালা বলুন।
ঠিকই তো! সেলিমরা তো জোকারওয়ালাই!

পাঠক মশাই কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জোকারদের দেশে আপনাকে স্বাগত।

দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরের দেওয়ালের রং সবুজ। সেখানেই বিকেলের প্রার্থনা সারছেন জোকারদের এই বাড়িটি যিনি গড়ে তুলেছেন সেই সেলিম। প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। একটুখানি সময়। সেলিম তাও ক্ষমা চেয়ে নিলেন। আরও মিনিট পাঁচেক সময় লাগবে তাঁর প্রার্থনা সারতে।
কে এই সেলিম?

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই