Friday, June 28, 2013

ছিল, নেই – মাত্র এই -- সুনন্দ



-“এই, এই! ওটা কি হচ্ছে!”

-“অ্যাই কে আছিস, শিগগির ওকে এখান থেকে নিয়ে যা!”

এরকম আরও অসংখ্য চেঁচামেচি, স্টেজের চড়া আলো, উইংসের দু’পাশ থেকে তটস্থ লোকজনের ধেয়ে আসা- এ সব কিছুই ছেলেটাকে দমাতে পারেনি। আপন মনের আনন্দে উদ্দাম নেচে চলেছিল একটানা। বি.দে. হলের বিরাট, পুরনো স্টেজ। সামনের দিকে একটু উঁচু প্ল্যাটফর্মের ওপর পাতা শতরঞ্চির ওপরে বসে গায়িকা গান গাইছেন। হলভর্তি লোক। একটু পরেই গীতিনাট্য শুরু হবে। সেখানেও এক মুখ্য চরিত্রের হয়ে অন্তরাল-শিল্পী হয়ে গাওয়ার কথা তাঁর। অনেকক্ষণের অনুষ্ঠান- ছেলেকে বাড়িতে একা রেখে আসা সম্ভব হয়নি, তাই সঙ্গে এনে স্টেজের পাশে সহশিল্পীদের তত্ত্বাবধানে রেখে একক অনুষ্ঠানে গাইতে উঠেছেন। ছেলের আকার, প্রবৃত্তি আর কৌতূহল সবই বাঁদরের মত। স্বভাবত কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের পক্ষে আসন্ন মুখ্য অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, নিজেদের মানসিক প্রস্তুতি সামলে ওই অতিপক্ক পিচ্চি বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখা সম্ভব হয়নি। কিছু একটা হাতে দিয়ে মন ভুলিয়ে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে তাঁরা গেছেন নিজের কাজে। এমন সময় মায়ের অতি-চেনা গলায় প্রিয় গান শুনে ওই ছেলে-ভুলোনো খেলনার প্রতি সম্পূর্ণ কৌতূহল উবে গেল ছেলেটার। প্রথমে উইংয়ের পাশ দিয়ে লুকিয়ে উঁকি দিয়ে শুরু, তারপর আরেকটু এগিয়ে উজ্জ্বল আলো আর অসংখ্য শ্রোতার কালো কালো মাথা দেখে বেজায় উৎসাহ পেয়ে ছোকরা একেবারে ঢুকেই পড়লো স্টেজের ভিতর। সামনের যে প্ল্যাটফর্মের ওপর বসে মা গান গাইছেন, তার পিছনে বিশাল ফাঁকা জায়গা দেখে ছেলের বোধহয় মনে হল- এই তো আদর্শ জায়গা নিজের অপার প্রতিভা জগৎকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার! শুরু হয়ে গেল নাচ।


Friday, June 7, 2013

ঠুমরি -- পণ্ডিত সুররঞ্জন



Monday, June 3, 2013

কুন্তলরহস্য -- কৌস্তুভ



“আপনার একঢাল সুন্দর ঘনকালো চুলের রহস্য কী?”

এই প্রশ্নটা টিভির বিজ্ঞাপনে সব নায়িকাকেই কোনো সাংবাদিক বা আবহভাষ্যকার বা ঈর্ষাতুরা বালিকা করে থাকে, এবং উত্তরটা হয় কিছু একটা কেশতৈলের নাম। কিন্তু ও সব মিছে... শ্যামের যে চাঁচরকেশের জন্য বৃন্দাবনের গোপিনীদের হুতাশে মরে যাওয়া নিয়ে বৈষ্ণব পদাবলী ছয়লাপ, তার বেলা? রবিঠাকুর যেসব বাঙালি যুবতীদের ছায়াময় এলোকেশ আকাশে-বাতাসে দেখে বেড়াতেন, সেসবই বা এল কোত্থেকে?

এর উত্তর পেতে গেলে, হে পাঠক, আপনাকে অর্ধেক পৃথিবী পেরিয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় যেতে হবে। দুটো কারণ। প্রথমটা এই, যে আমি আপাতত তাদের লোকজনদের নিয়েই কাজ করছি যে! আমার প্রফেসর কলাম্বিয়ান, ল্যাবও ল্যাটিন লোকজনে পরিপূর্ণ – এই যেমন মাসকয়েক আগে আসা একটি খুকিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম
ল্যাবে মোর এল এক নবীনা ল্যাটিনা
নাম তার আনা কারেনিনা।

তারপর কী হইল

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই