Thursday, September 29, 2011

লেট নাইট গল্প -- সৌম্যজিৎ রজক


বহুত রাতে, কাল
চাঁদ নেমে এসেছিলো বিছানায়
স্যারের বৌয়ের সাথে প্রেম;
কি ঝক্কি !
- বলে গেছে
বলে গেছে, আরও চাপ,
একা একা রাত জাগা
বহুত রাতে, কাল
চাঁদ নেমে এসেছিলো কাউন্টার চাইতে
চেয়ে গেছে,
রাত জেগে গ্রাম পাহারার সম্মতি।



তবক -- নির্মাল্য


দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসছে দেবযানীর। গায়ের ভারী গয়না, দামী শাড়ি সবই যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে আন্তরিক চোখের জলে। আন্তরিক? যদি হতো! যদি সত্যিই কাঁদতে পারত দেবযানী, ভাবতে ভাবতে সত্যিই যেন ভেতরটা ভারী হয়ে আসতে চায় তার- কাট্‌- এক্সেলেন্ট! চিৎকার করে ওঠেন পরিচালক। চিন্তার চাকাটা অজানার দিকে গড়িয়ে যায় দেবযানীর। স্পটগার্লের এনে দেওয়া রুমালে চোখের তলার কালি মুছে ফেলে সে। স্পটের একধারে ইজিচেয়ারে গা এলিয়ে দেয়, চুল খুলে, দুচোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকে। আজ করবী লাহিড়ীকে একডাকে চেনে সারা বাংলা। বছর দুয়েক আগেও ব্যাপারটা এতো সহজ ছিল না-'পারিবারিকধারাবাহিকের জনপ্রিয় গৃহবধূ করবী- বাস্তবের দেবযানীর অস্তিত্ব যেন গ্রাস করেছে। পরিচালকের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, অসংখ্য বাঙালী বধূর শুভেচ্ছাবার্তার মাঝে সে কতটুকু আর দেবযানী? তাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিয়ে পরিচালক মিঃ ব্যানার্জী শুরু করেছিলেন পারিবারিক। আজ সবকটা চ্যানেলের সমস্ত ধারাবাহিককে অনেক পিছিয়ে ফেলে পারিবারিকপ্রথম-দি নাম্বার ওয়ান। বাবার বয়সী পরিচালকের কাছে সে শুধু করবী লাহিড়ীই নয়, স্নেহের পাত্রীও বটে।

রাতবিরেতে -- রাকা


এমনি করেই রাত যদি হয় বাৎ যদি হয় দিনদুনিয়ায়
নৈশ ছাদে কাৎ হয়ে আজ এক পা-দু পায় দিন গুনি আয়।
নেশায় নেশায় বাঁই বনাবন ঘুরবে যখন এই পৃথিবী।
হাত-বেহাতেই নাচতে থাকুন ইস্কাবনের টেক্কা-বিবি।
ঠ্যাং দোলাবেন দস্যি হাওয়ায় মাঘ-ফাগুনের কৃষ্ণচূড়া
মিলন্তি রং মিললে তখন খুন্তি নাড়েন দিগ বধূরা।
ঠানদি হাতের হাণ্ডিকাবাব-- বজ্র- বাঁধন ফস্কা গেরো
আলতো হাতে ঢাল তো পাতে--- আর কি ভাবিস সাতসতেরো?
কেউ কি জানিস, আমরা কজন এই ছাদে এই রাতবিরেতে
রোজ আসি আর ভোজ সেরে রোজ জ্যোছনা জমাই ছাঁকনি পেতে!
আধমিনিটের চাঁদনী মিতে, নয় তো নেহাৎ সস্তা সে যে
রোজের হিসাব করছি দাখিল দলিল এবং দস্তাবেজে।
টিফিন- ক্যারি উপচে যেদিন জমবে আলো রাতদুপুরে
আমরা চাঁদের হাট বসাবো গঞ্জে- গাঁয়ে শহর জুড়ে।

অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে -- ঐকিক


৬ সহস্র পীতবর্ষ:
আজ উইসিনুন চলে গেল। নিঃশব্দে। অনেকদিন ভাবার পরেই নিল সিদ্ধান্তটা। জানতাম, তৈরিও ছিলাম, কোন অনুতাপ বা শিশুসুলভ টানও ছিলনা। তবু আমায় পেয়ে বসেছে এই বিষণ্ণতা। সামনের ঝর্ণার জল, নতুন কোন গবেষণা- এমনকি ওই হলুদ নক্ষত্রের দিগন্ত পার করা, যাকে এখন সবাই বলি বিসর্জন- কিছুই আর ঠিক সেই ইচ্ছে জাগাতে পারছেনা পরের দিনের সব কাজ করার। এ এক অদ্ভুত রোগ। চিকিৎসা আজও আমাদের অজানা। আমাদের গ্রহে এর অস্তিত্বও কেউ জানেনা, কিন্তু এখানে! একটা গোটা প্রজাতি উজাড় হয়ে গেল এই মহামারীতে। উইসিনুন, উওয়ারুহ্‌ন, উইনিড্রোন- সব তাবড় প্রকৃতিবিদ হার মেনেছিল এর কাছে। সবাই শেষ অবধি মেনে নিয়েছিলাম, এটা এই গ্রহেরই আবহাওয়ার কোন বৈশিষ্ট্য- কারণ ছাড়াই মানসিক অবস্থার হঠাৎ পরিবর্তন আর অদ্ভুত এক জীবন-বিমুখ অভিব্যক্তি গ্রাস করে রোগীকে। লজ্জাজনক এক বিষয়ে অপরিসীম গুরুত্ব আরোপ করে তখন সে- আত্মচিন্তা। প্রজাতি নয়, তার কাছে তখন বড় হয়ে ওঠে ওই সামান্য অস্তিত্ব- নিজ দেহ-মন। আমি মোউন-উহ্‌, একমাত্র নীরোগ প্রাণ অবশিষ্ট আছি এই প্রজাতির। সেও বোধহয় আর ঠিক থাকলো না। আমিও বিষণ্ণ
আর কেউ থাকলো না। উইসি- ওকে শেষ দিকে এই বলেই ডাকতে শুরু করেছিলাম,

ফুলকপির কাটলেট -- লিল্টু


সরঞ্জাম:
১) মাঝারি সাইজের ১ টা ফুলকপি, ২) ১ কাপ ছোলার ডাল, ৩) ১-২ পিস পাউরুটি, ৪) ধনে পাতা কুচি এক মুঠো, ৫) ১ চা চামচ করে লঙ্কা আর জিরে গুঁড়ো, ৬) ২ টো কাঁচাকঙ্কা কুচি, ৭) নুন স্বাদ মতো, ৮) ডিম বা দুধে গোলা কর্ন ফ্লাওয়ার, ৯) বিস্কুটের গুঁড়ো, ১০) সাদা তেল।
পদ্ধতি:
ফুলকপি আর ছোলার ডাল আলাদা করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ছোলার ডাল

কড়াই চিকেন -- লিল্টু





সরঞ্জাম:
১) ৭০০ গ্রাম চিকেন, ২) দুই বড় চামচ ধনে, ৩) ৪ টে শুকনো লঙ্কা, ৪) ১/২ চা চামচ মেথি, ৫) চার বড় চামচ সাদা তেল এবং এক বড় চামচ ঘি, ৬) দুই বড় চামচ আদা-রসুন পেস্ট, ৭) ২ টো বড় পেয়াজ কুচোন, ৮) ৩ টে বড় টমেটো, ৯) ১ চা চামচ হলুদ, ১০) ১ চা চামচ আমচুর পাউডার, ১১) ১ বড় চামচ গরম মশলা, ১২) নুন আর লাল গুঁড়ো লঙ্কা স্বাদ অনুসারে, ১৩) এক মুঠো ধনে পাতা, ১৪) একটা বড় ক্যাপসিকাম, ১৫) Evaporated milk- ১ কাপ বা প্রয়োজন অনুসারে।

বেঁচে থাকার গান -- দূর্বা


মৃত্যুর উপত্যকায় একবিন্দু প্রাণের খোঁজে, লড়ে যাচ্ছি নিজের সাথে।
প্রতি মুহূর্তে যে হৃদ্‌পিণ্ডটা চাইছে স্পন্দিত হতে
চাইছে স্পর্শ পেতে সেই জিয়নকাঠিটার
সেটাই খুঁজে চলেছি নিরাশার অন্ধকার গলিটায়।

তুমি বলবে
এ তো প্রকৃতির নিয়ম, জীবনের চরম সত্য
সবই একদিন বিলীন হয়ে যাবে পঞ্চভূতে ।

আমি বলব না !

মা আসছেন P P P মডেলে -- হরিদাস পাল


পুজো মানে কী?
বাঙালিদের কাছে পুজো মানেই দুর্গা পুজো।
কেন?
কারণ দুর্গা পুজোর মতো এমনই একটা মেগা ইভেন্ট আর আছে নাকি? গোটা ভূ-ভারতে আছে কিনা সন্দেহ। এ এক আলাদা মজা। ওই সব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পড়ে টড়ে কিসসু হয় না। এক এক পাড়ায়, লাল্টু, ঝন্টু, পল্টুদা যা সামলে দেয় না, বলার কথা না।
কেন?
দূর মশাই। খালি কেন, কেন করেন কেন? এখানে দুদশ বছর থাকুন, তখন বুঝবেন। ব্যাপারখান কী। আর যদি নিতান্তই শুনতে চান, তা হলে বলব। কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুনতে হবে বলে দিলাম।
কি বললেন, তা শুনব? আচ্ছা বিপদে পড়া গেল রে ভাই। কত করে কাটাতে চাই, কিছুতেই কথা শোনে না। কী বলি এখন? ছোটো বেলায় রচনা আসলে লিখতাম। এখন কি আর সে সব মনে আছে? শালা, পিছন ছাড়ে না...কেন, কেন, কেন আর কেন...। উফ্‌ জ্বালিয়ে খেলে।

ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট -- শমীক


পোস্ট ১
একটা টাকামাইন গিটার, একটা হুডখোলা উইলিস জিপ, একটা ডালমেশিয়ান কুকুর, কিছু টিচারস ফিফটি হুইস্কির বোতল আর প্রচুর বই-গান-সিনেমা।
হিরে-জহরত, সোনা-রুপো, গয়নাগাটির ব্যবসা পেরিয়ে বছর চৌত্রিশের অর্কপ্রভ দে-র জীবন-সমীকরণটা এমনই সহজ-সরল।
সম্প্রতি তাকে একটা নতুন নেশায় পেয়েছে- সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং। ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কড-ইন, গুগল-প্লাস ইত্যাদি ইত্যাদি।

দাস প্রজন্ম -- সৌম্যজিৎ রজক



কথাগুলো এবার থেকে ট্রেন চলে যাওয়া প্ল্যাটফর্মের মতো
কথাগুলো আমাদের, শান্ত থাকবে এবার থেকে
সে সব বদরাগী রঙ ঝেড়ে ফেলবো ঠোঁট থেকে,
যা ভাগিয়ে দেয় বন্ধুদের
কবিতা শুরু থেকেই প্রেমের
কবিতা আমাদের, প্রেমেরই থাকবে আজীবন
রক্ত না, বমি না, পিত্তি বা পুঁজ না
এমনকি আমাদের হাতধরা
কানামাছি
চুমু খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও
লোমকূপকে বলবো : শান্ত
নিজেকে : শান্ত
এবার থেকে লাঠির বদলে
গুলির বদলে যদি
আমাদের বিশ্বাস ছুঁড়ে মারো,
বিস্ফোরণের কথা ভুলেও ভাববো না
কাল সকালে লিফলেটও যাবে না কোনো
আমরা বিনয়ী হয়ে উঠবো,
ভদ্রলোক;
কাল থেকে নিজেকে বলবো : চুপ
পুরুষাঙ্গকে বলবো : বাঞ্চোৎ কেঁদো না
রাজা যখন আছেন
হিল্লে হবেই একটা

Crispy Garlic Chicken -- লিল্টু




সরঞ্জাম:
১) ৫০০ গ্রাম boneless চিকেন, ২) বড় চামচের ৬ চামচ সয়া সস, ৩) বড় চামচের দেড় চামচ রসুন গুঁড়ো, ৪) ১/২ চা চামচ আদা পেস্ট, ৫) ১ কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার, ৬) ১ কাপ ময়দা, ৭) ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, ৮) ২-৩ কাপ সাদা তেল, ৯) ১ টা ডিম, ১০) নুন প্রয়োজন মতো।

ল্যাবরেটরী ডায়েরী -- বুড়ো আংলা

আমার আজকের বিষয় একটু বিজ্ঞানভিত্তিক। না না, মানবসমাজে বিজ্ঞানের অবদান বর্ণনার জন্য এই লেখা নয়। তার জন্য তো ছোটবেলার বিভিন্ন রচনা বইয়ের নানান রচনা আছেই। আমি আরেকটু বড় হয়ে বিজ্ঞানের দিগন্তবিস্তৃত শাখা-প্রশাখার মধ্যে থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়টিকে তুলে ধরতে চাইছি। অবশ্য চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়টিও নেহাৎ ক্ষুদ্র নয়। তারও অসংখ্য ডালপালা। প্রতিটি প্রশাখায় বিচরণ না করে বরং একটু ‘to the point’  হওয়া যাক। আমার বক্তব্যের কেন্দ্রে আছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেটির ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনস্বীকার্য। শাখাটির নাম Oncologyসকলের সুবিধার্থে একটু বর্ণনা করলে বলতে হয় এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে কোনো রোগীর দেহে ক্যান্সার, টিউমার প্রভৃতি রোগের উপস্থিতি নির্ণয়, তার ভয়াবহতার মাত্রা পরিমাপ, তাকে প্রতিরোধের উপায় নির্ধারণ ইত্যাদি পর্যালোচনা করা হয়। একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, এইরকমের রোগে প্রতিবছর যতজন মারা যান সেটা ভারতবর্ষে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এবং প্রতিবছর এটা ১১% হারে ক্রমবর্ধমান। কাজেই আশা করি পাঠকগণ শাখাটির গুরুত্ব ও চাহিদা উপলব্ধি করতে পারছেন।

ইতিকথা -- সঞ্চারী


রক্তচোষা বাদুড়ের ভোর আজকাল-
প্রাণহীন শব্দবন্ধ ডানা ভরে নিয়ে
বাদুড়েরা উড়ে আসে প্রান্ত ছুঁয়ে দিয়ে
কষ বেয়ে রক্ত ঝরছে- লাল-
ফুটো ফাটা শরীরের গায়ে
জেগে উঠছে বিন্দু বিন্দু লাল
এ বলে আমায় দ্যাখ
ও বলে আমায়- ।
একটু সুযোগ পেলে
জমাট বাঁধার,-
সেখানেই জমে যাবে সাধ্যসাধনা।
রক্তে ডোবা ফাঁদ নিয়ে
রক্ত মাখা অহেতুক খেলা;
চাঁদের মাটির ছিদ্রে
নেমে আসে ভর সন্ধ্যেবেলা।

আফসোস -- দেবু


ফাঁকা মিনিবাস। সাড়ে বারোটা নাগাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বড় জোর পাঁচ সাত জনই ওঠে। আমার পছন্দের বসার জায়গাটা ঠিক লাস্টের আগের সীটটা। বাস পুরো ফাঁকা। পাগলামো করতে আপত্তি নেই। বেশ হাত টাত দুলিয়ে নাচের ভঙ্গিতে ঠিক করলাম আজ বাঁ দিকে বসব। কাঁধের টি, কন্‌টেনার, ঢাউস একটা ব্যাগ গুছিয়ে টুছিয়ে যখন বসলাম, এমা!, দেখি একজোড়া চোখ আমার দিকে তাকিয়ে। নিশ্চয়ই মনে মনে আওয়াজ দিচ্ছে পাগল কত রকমের হয়! লজ্জা পেলাম। তারপর যথারীতি নিজেকে বললাম- বেশ করেছি! কিন্তু... চোখ দুটো ভীষণ সুন্দর ছিল যে... কোথায় নামল... ধুর যা ভিড় হয়ে গেল... আর দেখাই গেল না।

জীবন সৌরভ -- হিজিবিজবিজ

কিছুদিন আগে এই ব্লগে প্রকাশিত বিদায় পরিচিত লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। অতীতের ভালো লাগা ওই ছবিটা আবার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিলো। তখনই ভেবেছিলাম এরকম একটি লেখার কথা। তাই আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আমার ভালো লাগা অগুনতি ছবির একটি যা বারবার দেখার পরেও আজও আবার দেখতে ইচ্ছা করে।
এই ছবির মুখ্য চরিত্র দুইটি। প্রথমজন, চার্লি সিমন্স। মধ্যবিত্ত এক পরিবারের প্রতিভাশালী ছাত্র। সুঠাম, সুদর্শন, কর্তব্যপরায়ণ, আদর্শবাদী। এক কথায় ভালো ছেলে বলতে আমরা যা বুঝি। অন্যজন, রিটায়ার্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফ্র্যাঙ্ক স্লেড। একসময়ের দাপুটে সেনানায়ক। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অন্ধ। জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। দুনিয়ার প্রতি উন্নাসিক। উদ্ধত এবং মদ্যপ। এমনকি নিজের পরিবারের সাথেও তাঁর ব্যবহার এক কথায় অকথ্য। এমন একজন লোক, যাকে প্রথম পরিচয়ের দিন থেকেই আপনি ঘৃণা করবেন। চার্লির সাথে ফ্র্যাঙ্কের পরিচয় নেহাতই বৈষয়িক কারণে। চার্লি Thanksgiving-এর ছুটিতে ফ্র্যাঙ্কের দেখাশোনা করার ভার নেয় Christmas-এ বাড়ি ফেরার প্লেনের টিকিটের টাকা উপার্জনের জন্য। এরই মাঝে চার্লির স্কুলে ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা এবং দুর্ভাগ্যবশত চার্লিকে হতে হয় তার সাক্ষী। অপরাধীদের নাম ফাঁস করার জন্য তাকে যথাযথ টোপ (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় recommendation) ও দেওয়া হয়। অন্যথায়

Indoctrinated -- শক্তিপদ পাত্র


একটি হাউসিং এস্টেটের ক্যাম্পাস। একা হাঁটছি। সামনে আসছেন এক মধ্যবয়স্কা মহিলা। তাঁর সঙ্গে আছে একটি বছর চারেকের মেয়ে। মেয়েটি বেশ প্রগল্‌ভা। পরিষ্কার উচ্চারণে জোরে জোরে কথা বলে চলেছে- জানো মাসি, ঠাকুমা কোন কাজ করে না। শুধুই বসে বসে গেলে। মা সারাদিন খাটে। ঠাকুমা কথায় কথায় মাকে জ্ঞান দেয় আর অনেক বাজে কথা বলে।তারপর ওরা পাশ দিয়ে চলে গেল। প্রথম মনে হল, এইটুকু মেয়ে, বড্ড পাকা- একেবারেই ইঁচড়ে পাকা। এ ধরনের মেয়েরা বড় হয়ে দজ্জাল হয়। মানুষের মন বিষোয়। হঠাৎ ভাবলাম, আচ্ছা, মেয়েটি কি সব বুঝে বলছে?

প্রচ্ছদ + সূচী





বিজয়া



Tuesday, September 27, 2011

সাজ কাহন -- ধানসিঁড়ি


"উফ্‌ ! একেবারে ঘাড়ের উপর উঠে পড়ছে...অসহ্য !!
দেখতো এবার...এটা মানাচ্ছে?
মাগোওওও!! পা টা

Monday, September 26, 2011

ঘটি-বাঙাল-শারদ শারদ -- পারমিতা


আপনি পুজোর চারটে দিন কি খান? পনির না চিকেন? কোপ্তা না চিংড়ি মাছের মালাইকারি? মানে আপনি আমিষ খান না নিরামিষ? বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠ এই উৎসবের

Sunday, September 25, 2011

পুজোর ইতিকথা -- মৈনাক


শীত শেষ হতেই বসন্ত আর বর্ষা শেষ হতেই শরৎ, আর শরৎ কাল মানেই পুজো। আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ, নীল আকাশ, সাদা মেঘ, কাশ ফুল... আমাদের চোখে এটাই শরৎ কাল। যদিও

Saturday, September 24, 2011

ছেঁড়া ক্যানভাস -- সোপান


রবিবার। জানলার ধারে বসে আছে ছেলেটা। পাশের বাড়ির বাগানে জাম গাছটার

Thursday, September 22, 2011

মিশন কাশ্মীর ও তারপর -- আগন্তুক

ছবির উৎস: লিঙ্ক

যে কথাগুলো লিখতে চলেছি, আমি জানি তার জন্যে আমার জেল হবে না। ফাঁসি তো

Wednesday, September 21, 2011

যাত্রা...পথে -- বুড়ো আংলা

ছবির উৎস: লিঙ্ক

মনে আছে আমায়? হ্যাঁ, আমি সেই জনগণেরই একজন, যাকে এই বিশাল মহানগরীর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে জীবিকা

Tuesday, September 20, 2011

ডুমুর গাছে কিছুক্ষণ -- সুনন্দ

ডেভিড অ্যাটেনবরো র খুব পছন্দের বিষয় হলো বর্ষাবন (Rainforest)এর অগণন প্রজাতি, বেঁচে থাকার লড়াই আর

Monday, September 19, 2011

শিরোনাম -- সৌম্যজিৎ রজক


পুজো আসে, দীপাবলি, রকেট চিরে দেয় মেঘ
আমার পাড়ায় বাচ্চারা অথবা
বাচ্চাদের দেখিয়ে বড়োরা

ফেরিওয়ালা এবং প্রতিবাদ -- Jerrybuilt Jingle !



আমি এক ফেরিওয়ালা
আমি tonic ফেরি করি Liverpool এর রাস্তায় রাস্তায়
মাঝে মাঝে Manchester এ কাপড়,

Sunday, September 18, 2011

নামকরণের ইতিহাস -- হলুদ পাখি


কথা তো বলার জন্যই’-তে কিছু একটা লেখা দেওয়ার জন্যে মনটা  অনেকদিন থেকেই উসখুস  করছিল। কিন্তু ঐ যে, আমার আবার  খাতা ও কলমের  সম্মেলন হলেও  লেখারা সবসময় উপস্থিত

Saturday, September 17, 2011

বন্ধুর সাথ আমি পেয়েছি... -- সৌম্য

ছবির উৎস: লিঙ্ক

বন্ধু এই শব্দটার সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়ে চলেছে জীবন এর বিভিন্ন ধাপ এর উপর ভিত্তি করে। একদম

Thursday, September 15, 2011

সাক্ষাৎকার- পথিক গুহ (Pathik Guha Interview)

বহুদিন লালিত স্বপ্ন আমাদের- বাংলায় বিজ্ঞান নিয়ে নিয়মিত এক কলম। সেই পথে প্রথম পদক্ষেপ- আজ এক প্রতিষ্ঠিত বাঙালি বিজ্ঞান-লেখকের সাক্ষাৎকার।


Wednesday, September 14, 2011

আজ আমি কোথাও যাব না -- কূপমণ্ডূক


শামসুদ্দিন সাহেব সংসার করেননি। শেষ জীবনে একবার আমেরিকা যেতে চান। গড়পড়তা মধ্যবিত্তর মত দু’চোখে

Tuesday, September 13, 2011

কয়েকটি ভাঙা আঁচড় -- অরণ্য

১.
সব কেমন থমথমে হয়ে আছে..আশপাশের বাড়িগুলো খুব করে দাঁড়িয়ে আছে..যেন কিছুতেই পথ ছাড়বে না কাউকেই..মোহ মানুষকে কোথায় টেনে নামায়..নিজেকে দেখে বুঝতে পারি..পাশ দিয়ে

Monday, September 12, 2011

নকল -- দিদিমণি

ছোটবেলায় একটা বাগ্‌ধারা শুনেছিলাম “চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা”। কথাটার মাহাত্ম্য টের পেলাম এই মাস্টারির চাকরিতে


Sunday, September 11, 2011

The Indian Cricket Melodrama -- Rajarshi

Last week, I guess it all ended very sadly for us fans, in general as we saw the Indian team going down like nine pins, completing the 4-0 whitewash

Saturday, September 10, 2011

ঝর্ণা কলম -- সিরিয়াস ছানা

কথা কহিবার নিমিত্ত, সন্দেহ নাই। এই blog টিতে সকল শুভানুধ্যায়িগণ স্বীয় মতামত ব্যক্ত করিতেছেন। কেহ কেহ আপনার রচনা প্রেরণ করিয়া blog-টিকে অধিকতর সমৃদ্ধ

Thursday, September 8, 2011

হতে পারতো -- প্যালারাম

হতে পারতো – ১



সই...
এখন এই শেষ মুহূর্তে বড্ড তোর কথা মনে পড়ছে। তুই থাকলে বলতি’ – এটা কোন

Wednesday, September 7, 2011

শ্রেণী-সংগ্রামের পর... -- সুনন্দ


ছপছপে জল টিপটিপ ঝরে
পিঁপড়ে পাতার কুঁকড়ো শির
থইথই জল, বঙ্গ অচল
জলের লাইনে বড্ড ভিড়।

বিদেশি চটির এশীয় que


বাংলা-পাঁচালী -- আগন্তুক

ছিলো এক দেশ যার গরিমা মহান।
গাহিব সে গাথা এবে শুন পুণ্যবান।।
পুরাকালে ছিন্ন হলো ব্রিটিশ ছুরিতে।

Tuesday, September 6, 2011

বাক্‌-স্বাদ-হীনতা -- বুড়ো আংলা

ছবির উৎস: লিঙ্ক

লিখতে আমি যে খুব একটা পারদর্শী তা ঠিক নয়, কিন্তু বেশ কিছুদিন জীবনযাত্রায় কিছুটা

Monday, September 5, 2011

Students' Day -- দিদিমণি

ছবির উৎস: লিঙ্ক

আজ তো আমার দিন। শিক্ষকদিবস কিনা। নারীদিবস, শিশুদিবস, পিতৃদিবস, মাতৃদিবস, গোলাপদিবস, বন্ধুত্বদিবস, প্রেমদিবস,

Sunday, September 4, 2011

শয্যা -- অর্জুন

অমোঘ কাটিয়ে, এলোমেলো জীবন পাশ ফেরে!

সবিতা- তোমায় উৎসর্গ করলাম মৃত্যুসুখে,

ফুরসত-এ -- শেষাদ্রি

যখন
শীতের পড়ন্ত বিকেলে..
যাই যাই রোদ্দুর

Saturday, September 3, 2011

পুজো - এখন ও তখন -- শমিত

ছবি: হরিদাস

পুজোর গন্ধ এসেছে। ঢাকে কাঠি পড়তে হাতে গোনা আর কয়েকটা মাত্র দিন। বৃষ্টির অলস দুপুরে বসে থাকতে থাকতে চোখে ভেসে উঠলো বদলে যাওয়া সময়ের

Friday, September 2, 2011

দুর্গা -- D. Madhusudan


রাগ: দুর্গা
যন্ত্র: বাঁশি
বাজিয়েছেন: শ্রদ্ধেয় মধুদা (ডি. মধুসূদন, D. Madhusudan)
·       Play করার পর Audio লোড হতে একটু সময় (১০-৩০ সেকেন্ড মত) লাগতে পারে।
(এই piece টি ছাত্রদের শেখানোর জন্য সহজ করে বাজানো আলাপ।)



Durga_ D. Madhusudan by sunando.patra

Thursday, September 1, 2011

ধরমবীর- ভিড়ধর্ম -- ঐকিক

আবার চলে এয়েচি দ্বিধান্বিত(ভক্ত) ওষ্ঠাধরে কিছু প্রাণের-মনের কথা প্রাণের ভয় না রেখে বলে ফেলবো বলে। বিশেষ কাজ কোনদিনই ছিলনা। তাই এই শ্রাবণে, আষাঢ়ে নিবন্ধের সূত্রপাতে বেশি motivation

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই