Friday, September 28, 2012

সখী, ভালবাসা কারে কয় -- সৈকত


বন্ধুদের আড্ডায় আমি প্রায়ই এই প্রশ্ন শুনতে পাই, যে জীবনে কটা প্রেম করেছিস? একটু হেসে উত্তর দিই, অসংখ্য। হাসির মানেটা সবার কাছে নানাভাবে পৌঁছায়। কেউ ভাবে সলজ্জ, কেউ ভাবে নির্লজ্জ। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কেউ বোঝে না। আমার হাসি পায় এটা ভেবে যে, ‘প্রেম’ কিভাবে করে? এটা কি সকালের প্রাতঃকৃত্যের মত কিছু? নাকি বাজারের দরদাম করার মত? প্রশ্নটার উত্তরটা জানার জন্য মনটা কয়েকদিন ধরেই ঘুরঘুর করছে এর ওর দরজায়। ‘কেউ বলে ফাল্গুন, কেউ বলে পলাশের মাস...’। কেউ বা বলে অভ্যাস। প্রেম নিয়ে সবার কি মত, তাই ভেবে ঠিক করলাম কিছু একটা লিখি। সার্থক গদ্য না হোক, একটা স্ট্যাটিস্টিকাল রিপোর্ট তো হবে!

Monday, September 24, 2012

ঘুরতে গিয়ে** -- সুনন্দ


বছর তিনেক আগের কথা...
আমরা যখন রেল-জংশন পিছনদিকে ফেলে রেখে, মস্ত মস্ত গাড়ি বোঝাই বন্য-সীমা লক্ষ্য করে পথ চলেছি - পেটের ভিতর নিউ আলিপুর দুয়ার থেকে খেয়ে আসা কচি পাঁঠার খয়েরি ঝোলের খলবলানি – ঠিক সে সময় সুয্যিমামা ক্লান্ত দেহে পশ্চিমে পিঠ হেলান দিয়ে লালচে হলেন; আমরা তখন বছর পঁচিশ বয়স নিয়ে তরতাজা আর উদ্ধত-প্রাণ জনা-দশেক যুবী-যুবা শহর-গন্ধী ছুটির মেজাজ সঙ্গে নিয়ে জংলি হলাম।


জয়ন্তী যে ঠিক একটা নদী, তা নয়- অভিজ্ঞতা। সামনে বিশাল পাহাড়শ্রেণী দিক থেকে দিক আড়াল করে কোল পেতেছে। সেই প্রসারে মাতাল হয়ে হিমালয়ের দুলালী আর রগচটা মেয়ে জয়ন্তী, তার খামখেয়ালী হৃদয়খানা সমতলের উদার বুকে উজাড় করে পোষ মেনেছে। ঝিরঝির আর কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে দেদার জলে মাখামাখি পাহাড়-মেয়ের অভিমান আর এই আমাদের অতি কষ্টে কাজের থেকে তিল তিল করে জমিয়ে তোলা ছোট্ট ছুটির সন্ধেটুকু।

Thursday, September 20, 2012

আশ্বিন অথবা পূজা ক্রমে আসিতেছে -- তপোব্রত

দুর্গাপুজো আসছে। হঠাৎ হঠাৎ আকাশের দিকে তাকালে উদাস হয়ে যাচ্ছে মন। সেপ্টেম্বর মাস চলছে, আর তো কয়েক সপ্তাহ বাদেই পুজো। পুজো বলতেই যে কত কথা মনে পড়ে যায়। কত ঘটনা, কত স্মৃতি। বেশিরভাগটাই আনন্দের, তবু হয়তো কিছু দুঃখের স্মৃতিও লুকিয়ে থাকে সেখানে।

পুজো মানেই বাড়ির কর্তাদের কপালে ভাঁজ। কারণ বাড়ির মা দুর্গারা ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, পুজোর চারদিন ‘নো রান্না’, আর তার মানেই পুজোয় ঠাকুর দেখার ফাঁকে চাইনিজ রেস্তোরাঁর সামনে দৈনিক অন্তত দুঘণ্টা করে অপেক্ষা এবং চিলি চিকেন, মাঞ্চুরিয়ান বা কিং সাইজ প্রন খেয়ে পকেট ফাঁক।

Tuesday, September 18, 2012

পর্দার এপারে -- সংহিতা

আচ্ছা প্রত্যেকের জীবনেই কি এমন কিছু ঘটনা বা অধ্যায় থাকে যা মনে পড়লেই বালিশে মুখ লুকোতে ইচ্ছে করে? এ নিশ্চয় শুধু আমার মাথার ব্যারাম নয়... বিশ্বাস করুন যদি উত্তরটা ‘না’ হয় তবে মন খুলে কিছু কথা বলতে পারি। আর যদি ‘হ্যাঁ’ বলে আমায় পাগল প্রমাণ করতে চান তাহলে আমিও মুখ ভেংচে বলবো- তাতে আমার বয়েই গেছে। এমন কী নিন্দুকে যদি আমাকে জটিল বা ঝগড়ুটে বলে আজ থেকে আমি আর পাত্তা দেবো না। আহ্‌, অটোবার এমনি এমনি খাচ্ছি না... আছে আছে কারণ আছে।

দোষের মধ্যে আমার একমাত্র দোষ হলো ছোট থেকেই আমি একটু মেলোড্রামা পছন্দ করি। আনন্দে, দুঃখে, অভিমানে আমার মতো হাপুস নয়নে কাঁদতে পারে, এমন জুড়ি মেলা ভার... না না একে দুর্বলতা ভাবার কোনো কারণ নেই, আমি তো একে নিজের আবিষ্কার করা একটা হাতিয়ার হিসেবে দেখি। আর মেলোড্রামার হাত ধরেই রূপোলি পর্দায় যেকোনো রোমান্টিক বা ইমোশনাল সিনে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যে চরম আনন্দ তা আমি আর অন্য কিছুতে পাইনি। জীবনের প্রথম চুমু মানে স্বপ্নে যেটা খেয়েছিলাম আর কি, ওই বাড়ির ছাদে জলের ট্যাঙ্কের পেছনে, তাও এক সিনেমার হিরোকে।

নিজের সঙ্গে ভালো থাকা -- অনিমেষ বৈদ্য


এখন রোজ একের পর এক একঘেয়ে সব দিন,
ক্লান্ত পায়ে আসে রোজ, ক্লান্ত পায়ে যায়।
সিসিফাসের মতোই পাথর টানছি অন্তহীন,
ধুলো জমে মনের ভিতর, ধুলো জমে পায়।

এতো এতো সম্পর্ক, সম্পর্ক ঘিরে জাল,
লেপটে থাকা অনিচ্ছায়, জড়িয়ে জড়িয়ে থাকি।

Thursday, September 13, 2012

দিপু আর সেই মেয়েটা... -- অরুণাভ

সকাল সকাল তলপেটের নিচে একটা নিদারুণ ককিয়ে ওঠা যন্ত্রণায় দুম করে ঘুম ভেঙে গেল দিপুর। বিছানায় উঠে বসে ঘুম-চোখে কিছুক্ষণ দাঁতে দাঁত চেপে পেটটা খিমচে ধরে রইলো। তারপরই উঠে কোনদিকে না তাকিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়। বাথরুমে ঢুকে ছিটকিনি বন্ধ করে কোনমতে কলটা চালিয়ে বসতেই...... আহহহ্! শান্তি!

সক্কাল সক্কাল এই জাতীয় বেদো ব্যাপার-স্যাপার বেমক্কা কাঁচা ঘুমটা চটকে দিলে বড্ড বিরক্ত লাগে। বাথরুম থেকে বেরিয়ে ঘড়ির দিকে তাকালো। পৌনে সাতটা, কোন মানে হয়! এখনও অন্তত দেড় থেকে দুণ্টা র ঘুমনোর কথা। যাগ্গে, নিজের শরীরই যদি ঘুমে জল(মল) ঢেলে দেয় তাহলে আর কিই বা করা। যা হোক, ঘুম ভেঙেছে মানেই এখনই উঠে পড়তে হবে তার কোনো মানে নেই। মেসের সকলেই মড়ার মতো ঘুমোচ্ছে। দিপু বোতল থেকে একটু জল গলায় ঢেলে বিছানায় আত্ম-সমর্পণ করলো। বালিশে মুখ গুঁজতেই বিটকেল গন্ধ নাকে এসে লাগলো।

যখন মনে মনেই সুপার স্টার (২) -- পিয়াল

অমর প্রেম

জীবন বড় কঠিন, বড় বাধা
দুঃখ যেন ঢেউয়ের মতো আসে
সন্ধে হলে আকাশে ধ্রুবতারা
স্কাই-স্ক্র্যাপারে আড়াল বারোমাসে

শহর পথে তখন হেঁটে ফেরা
ভুলগুলির ইশারা হাতছানি

Monday, September 10, 2012

শহরের শীত ও ‘তাহাদের কথা’ -- সুশোভন

শীত
তোমার চুল উড়ছে হাওয়ায়- বাঁ-হাতে তুমি ধরে আছ তোমার টেলিফোন
শীতের আলোয় আবার আমি ফিরে এসেছি তোমার ঘরে
তোমাদের বিড়াল, দেখি, আগের মতো
ততটা ক্ষিপ্র নয় আর- তোমার পশমের বল
দেখি, গড়িয়ে চলেছে- আরো গড়িয়ে চলেছে ঢালু খাটের নিচে-
চুপচাপ বসে আমি- চুপচাপ হাই তুলছে তোমাদের বিড়াল
শীতের ঝর্না, ডেকে ডেকে ফিরে যাচ্ছে আমাদের
এমন অসময়ের শীতের কথা বলব বলেই 'শীতকালের কবি' ভাস্কর চক্রবর্তী-র কবিতাটি অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করলাম।

ছেলেবেলা থেকেই ওয়েলিংটন স্কোয়ারের ভুটিয়াদের দেখলেই নিজেকেও ভুটানের কোনও প্রত্যন্ত পাহাড়ের আদিম মেষপালক গোষ্ঠীর লোক বলে মনে করতাম। বাঙালির মজ্জায় ফ্রি-তে জ্ঞান দেওয়ার একটা স্বভাব আছেই, তাই সেই বয়সে আমাকেও অনেকে অনেক রকম জ্ঞান দিত। তাদের কারোর কোন কথাকেই আমি খুব একটা গুরুত্ব দিতাম না।

কবিতা -- ধীরাজ



পর্ব এক 
-নে--দূ- থেকে হেঁটে এসে দেখলাম 
                            ---------  নদীটা বেঁকে গেছে।
খাড়া পাহাড়টা পাশে হাঁটতে হাঁটতে 
                         ---------   সামনে দাড়িয়ে পড়েছে।
বাঁকের পরের পৃথিবীটা -------- অদেখা, অচেনা  

Thursday, September 6, 2012

একলব্য -- অরুণাচল


বুড়ো আঙুল কেটে ফেলার পর কি হল একলব্য?
নিজের মুখে সবটা বল। কাব্যগাথায় যে যাই বলুক
তোমার তো আর ঠিক সে রকম ভদ্র কিম্বা সভ্যভব্য
সাজার কোনও দায় ছিলনা। তুমি নেহাত পতঙ্গভুক
অসংস্কৃত ব্যাধের ছেলে। মজার কথা তুমি নিষাদ
অস্ত্রশালায় না ঢুকলেও, অস্ত্র চেনো। সেই মহাভুল
ধরল ওরা। ধরল বলেই বুঝিয়ে দিল বাঁচার কি স্বাদ।
কাব্য মানে মিথ্যাকথন। কেউ কী নিজের বুড়ো আঙুল
অবলীলায় কাটতে পারে? নাই বা পারুক। ভয় কী তাতে?
কৌরব আর পাণ্ডবেরা, পারবে সেটা ... গুরুর কসম।
বেয়াদবির শিক্ষা দেবে। মেধার শক্তি ওদের হাতে।
বন্যপশুর সঙ্গে তোমার ভেদ ছিলনা কোনও রকম।
অলীক মূর্তি তৈরি করল অগ্রজ আর অনুজেরাও।
গল্প তৈরি বড্ড সহজ। সাধ্য কি সেই গল্প ফেরাও!

অন্ধকারের রাজপুত্র -- হিজিবিজবিজ

গল্পের ভিলেন একটা গোটা শহরকে জ্বালিয়ে তছনছ করে দিয়ে বাধ্য করেছে নায়ককে রাস্তায় নামতে। নায়ক যখন প্রচণ্ড ক্রোধে ধেয়ে আসে তার দিকে সে নায়ককে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করে না। মৃত্যুবরণে তার কোন অনীহা নেই। বরং সে চায় তাকে হত্যা করে নিজের চারপাশে গড়ে তোলা আদর্শের ইমারত ভেঙ্গে বেরিয়ে আসুক নায়ক। সে মনে করে আদর্শ, ন্যায়-অন্যায় বোধ, এসব মানুষ ততক্ষণই কপচায় যতক্ষণ তার চারপাশের দুনিয়াটা তার স্বার্থে বিঘ্ন না ঘটিয়ে টিকে আছে। ভালোবাসা, অন্যের প্রতি সহিষ্ণুতা, ইত্যাদি যে গুণগুলো পশুদের থেকে আমাদের আলাদা করে রেখেছে বলে আমাদের গর্ব, নিজের গায়ে আঁচ পড়ামাত্র মানুষ সেগুলোকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে প্রবৃত্ত হয়। এটাই দুনিয়ার নিয়ম...... সাধারণ মানুষের নিয়ম। আমাদের রোজকার হাসি, আনন্দ, দুঃখ, কান্না সবই একটা মুখোশের অভিব্যক্তি মাত্র! পাগলামি নাকি শুধুই আমাদের আর একটা মানসিক স্তর।

Wednesday, September 5, 2012

পুরনো কথা (৭)

আজ পুরনো কথায় চলুন আর একবার পড়ি 'সঞ্চারী'-র কবিতা 'ধর্মের রঙ'... (১৩/০৯/২০১১; সকাল: ১০:৩২)

তোমার জন্যেই একশো চার বার বিরহে হু হু করে জ্বলেছি
আমারও দোষ আছে তোমার হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া আর হল না!
ওদিকে মেলট্রেন, এদিকে আক্ষেপ- ছুটছে, রাতভোর ছুটছে-
তুমি কি ভাবছিলে? এটুকু বললাম; পালিয়ে বেঁচে যাবে ভেবেছ!

Monday, September 3, 2012

এই সময়ের সুর -- D. Madhusudan (মধুদা)

যন্ত্র: বাঁশি(Indian Flute), ম্যান্ডোলিন(Mandolin), গিটার(Guitar)

বাজিয়েছেন: মধুদা (ডি. মধুসূদন, D. Madhusudan)

  • Play করার পর Audio লোড হতে একটু সময় (২ - ১৫ সেকেন্ড মত) লাগতে পারে।

ইষ্টিকুটুম




September



D. Madhusudan এর ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি ব্লগ- ‘মধুসপ্তক

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই