Monday, March 25, 2013

আ মোলো বাংলাভাষা -- সুনন্দ


যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঘা যতীনের দিকে যেতে সুলেখা মোড় পেরিয়ে ডানদিকে একটা ‘ক্যাফে কফি ডে’র আউটলেট। বিকেলের দিকে প্রায় প্রতিদিনই ফাঁকা থাকে। স্বাভাবিক। অন্তত ইউনিভার্সিটির গড়পড়তা ছাত্র-ছাত্রীরা যে এখানে আসবে না, সেটা বলাই বাহুল্য। হাতখরচের টাকা বেশি খরচ করে খেতেই যদি হয়, তবে সামান্য দূরেই সাউথ সিটি আছে, বৈচিত্র্যের পসরা সাজিয়ে। এখানে আসে প্রধানত প্রেমী-যুগল – হয় ডাক্তারি, নয় ব্যবসার পিতৃদত্ত পয়সার মালিক, নয়তো নতুন প্রেমে পড়া মধ্যবিত্ত ছোকরা – ছোটবেলায় নচিকেতার ‘...মোটা মানিব্যাগ দেখে/ তোমাকে সাইডে রেখে/ দৌড়বে সোজা, সোজা দৌড়বে প্রেম...’ কথাটায় বেজায় ভয় পেয়ে তিনদিন টিফিন না খেয়ে জমানো টাকা উড়িয়ে মেয়েটিকে ইম্প্রেস করবে বলে, নয়তো মধ্যবয়স্কা নারীর দল – সমাজ বা প্যান্টালুন্‌স কিছু একটা উদ্ধার করে শরীর জুড়োতে আসা। এখানেই বসে গম্ভীর মুখে ল্যাপটপ খুলে দেশোদ্ধার করার ভান করছি। আসলে কিন্তু কান পড়ে আছে পাশের টেবিলে ট্যাঙ্ক-টপ আর হোঁৎকা বয়ফ্রেন্ডের অধিকারিণী চটকদার মেয়েটির কথার দিকে।

আজকের লেখার বিষয় এই কফিশপ-বিশ্বায়ন হতে পারতো – ‘আহা আমাদের কফি-হাউসের কি হবে গো!’ বলে চাড্ডি কান্নাকাটি করার সুযোগ থাকতো। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা কি করে তরুণ সমাজের পকেটের গভীরতায় প্রতিফলিত হয়, সে নিয়ে পাঁচ পাতা প্যাঁচানো যেত। এমন কি ওই হোঁৎকা ছেলেটির ক্রমবর্ধমান মেদপুঞ্জ আসলে কিভাবে মুক্ত-বাণিজ্যের ষড়যন্ত্র আর ষড়রিপুর ফল, সে নিয়েও কিছু বিদ্যে ফলানো যেত – কিন্তু এ সব মাটি করল ওই মেয়েটা। 

প্রথমে খেয়াল করিনি। আধা-ইংরেজি, আধা হিন্দিতে বকবক শুনে ভেবেছিলাম

Monday, March 11, 2013

Amazing Andamans -- Chayan

Vijaynagar Beach Havelock
Your heart fills with delight when after a seemingly unending stretch of blue sea, you finally spot a patch of green from your window. As the flight starts to descend, the designs of the landscape seem to unravel in front of you. Welcome to one of India's best kept secrets- a treasure of sea, sun and sand.

Andaman & Nicobar are a group of archipelagic islands in the Bay of Bengal cast away from mainland India. Of the 572 islands, islets and rocks that constitute the Andaman and Nicobar chain, as little as 36 are inhabited. 

With an aura of dense tropical rain forest across the landscape that is complimented by soft, white sands across the beaches, Andaman boasts of a rich variety of flora and fauna.

Ross Island
Port Blair, the present capital of Andaman, provides an insight into a tortured, colonial history of the "Saza-e-Kalapani" and its transformation into a tourist haven. Ross Island, North Bay Island and Chidiya Tapu are some of the worthwhile destinations that can be accessed from the capital.

Thursday, March 7, 2013

(অ)ধর্মঘট -- নির্মাল্য

আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি- গানের ছলে বাঙালির মনের কথাটা বহুদিন আগেই বলে গিয়েছেন দাড়িদাদু। ছুটি ক্যালেন্ডারের মুখাপেক্ষী হবে কেন? এই প্রশ্ন আজকের নয়। কাজেই ছুটির তালিকায় আকস্মিক সংযোজন কর্মীমাত্রেরই বাসনা। তার ওপর যদি এই ছুটির অজুহাত হিসেবে চট করে কিছু মহৎ উদ্দেশ্যের মশলা ছড়িয়ে দেওয়া যায়- কেল্লা ফতে। ধর্মঘট, হরতাল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে সারাদিনের মোচ্ছব প্রস্তুত। নানা, এই প্রাক-বসন্তে ঘটে যাওয়া দুদিন ব্যাপী ধর্মঘটের প্রসঙ্গে কথাগুলো বলছি না। এর ব্যাপ্তি অনেক গভীরে।

ইতিহাসে কর্মবিরতি বা হরতালের প্রথম নথিটি বেশ পুরনো। ১১৫২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মিশরীয় ফ্যারাও তৃতীয় রামোসিস এর রাজত্বকালে প্রথম কর্মীবিক্ষোভ ও হরতালের নথিবদ্ধ ইতিহাস আছে। রাজ-সমাধিস্থলের কর্মীরা বর্শার ধারালো মুখের আগায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন “ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আমরা কাজে যাচ্ছি না। আধুনিক উদাহরণটি তুলনায় নতুন। ১৭৬৮ সালে লন্ডনের বন্দরে ধর্মঘট। তখনই ইংরাজি শব্দভাণ্ডারে “Strike” কথাটি হরতালের সমার্থক হয়। তারপর টেমস ও গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে, নীলনদও বসে নেই- সবাই অনেকগুলি ছোট-বড়, মাঝারী বিভিন্ন ধরণের বনধের সাক্ষী।

কাজ না করার অধিকার, সচেতন আন্দোলনের অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক বিতর্ক আজও বহাল। সাধারণতঃ পশ্চিমী বিশ্ব কর্মীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে কাজ না করার অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। সবচেয়ে মজার একটা কথা

Monday, March 4, 2013

মোবাইলের নতুন প্ল্যান -- তপোব্রত

ফুটনোট সাধারণত লেখার শেষে দেওয়া হয়। তবে আমি প্রাণের ভয়ে আগেই দিয়ে রাখছি। কে জানে যদি কেউ লেখাটা পড়তে পড়তে মাঝ পথেই বিরক্ত হয়ে উঠে চলে যায়। আমার এই লেখা খুবই হালকা ভাবে লেখা। এটি পড়ে যদি আমার কোন পাঠিকা বিশেষ করে আমার পরম পূজনীয়া এবং শ্রদ্ধেয়া প্রেমিকা ঠাকরুন কুপিতা হন তাহলে তার জন্য প্রথমেই মার্জনা চেয়ে রাখছি। এই পুরো লেখাটিকেই আমার বাচালতা ধরে অবজ্ঞা করবেন তাহলে। বাকি ফুটনোট লেখার শেষে।
বিশেষ সংবাদদাতাঃ  মোবাইলের সাম্প্রতিক ভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের ওপরেই। মোবাইল কোম্পানিগুলি একসময়ে নিজেদের রেষারেষির কারণে প্রায় প্রত্যেক দিনই নিয়ম করে ভাড়া কমিয়ে গেছিলো। এমন এক সময় এসে উপস্থিত হয়েছিল যখন কিছু কোম্পানি বিবেচনা করেছিল যে, গ্রাহক ফোন করলেই, কোম্পানির পক্ষ থেকে তাকে কিছু পয়সা দেওয়া যায় কিনা।
গ্রাহকরাও এর সুযোগ নিয়ে ইচ্ছে মতো ফোন করে গেছেন সেই সময়ে। যেটা তাঁরা বোঝেননি তা হল যখন ভাড়া বাড়বে, তখনও এই মোবাইল কোম্পানিগুলি নিজেদের মধ্যে পাল্লা দিয়েই ভাড়া বাড়াবে! আর হয়েছেও ঠিক তাই। প্রায় এক ধাক্কায় বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানি তাদের কলের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকটাই। বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ!

আর তার পরেই দেখা গেছে যে ফোনে মিসড্‌ কলের সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে পুরুষদের ফোনে। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে একজন পুরুষের ফোনে আসা মোট মিসড্‌ কলের ৮৭ শতাংশই আসে তাঁদের প্রেমিকাদের কাছ থেকে। মোবাইলের ভাড়া বৃদ্ধির পর বর্তমানে অধিকাংশ মহিলাই আর তাঁদের প্রেমিকদেরকে ফোন করে ঝাড়তে আগ্রহী নন।
তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের প্রেমিকদের প্রাপ্য ঝাড় দিতে গিয়ে তাঁদের পকেটের পয়সা বেরিয়ে যাক তা তাঁরা মোটেই চান না, আর সেইজন্যেই তাঁরা মিসড্‌ কল্‌ দেন যাতে তাঁদের প্রেমিকরা তৎক্ষণাৎ তাঁদের ফোন করেন।

এ প্রসঙ্গে মিস্‌ মোনালিসা বললেন,

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই