Monday, September 22, 2014

যাদবপুর-কাণ্ডে নতুন মোড়, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ!

!! টাটকা খবর !!


নিজস্ব প্রতিবেদন:  হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়িটার ঠিক নিচে  ভারতীয় ইন্দ্রজাল মন্ত্রকএর সদর দফতরের প্রধান প্রবেশ পথ বানানো নিয়ে অনেকের মনেই ঘোর সন্দেহ ছিল। একে কলকাতা মোটেই দেশের রাজধানী নয়, তার ওপর ওই রকম প্রচণ্ড ভিড় স্টেশনে দুমদাম কিছু গোলমেলে লোকের একটা বিশেষ জায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়াটা ভীষণরকম সন্দেহ তৈরি করতে পারে  মাগ্‌ল্‌দের মনে, জোর গলায় এই রকম দাবী তুলেছিল উত্তর ভারত লবি। শেষ পর্যন্ত সরকারি হস্তক্ষেপে, মানে পি. সি. সরকারের কড়া চিঠিতে গোলমাল মিটেছিল। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, চিঠিতে নাকি কলকাতা দারুণ  ম্যাজিকাল’ আর ওই বড় ঘড়ির নিচে প্রতিদিন এত লোক দাঁড়িয়ে থাকে আর এত ঘন ঘন তাদের মুখ বদলায় যে ওখানেই প্রবেশপথ সবচেয়ে নিরাপদ এমন সব সওয়াল করে অনেক কথা বলা ছিল। সে সব কথা যে ঠিক, সে তো অনেকদিনই প্রমাণ হয়ে গেছে।

সে যাই হোক, ঠিক ওই জায়গাটাতেই সকাল থেকে প্রবল ব্যস্ততা। হুড়মুড় করে

Friday, February 7, 2014

বিয়ে-টিয়ের ব্যাপার -- তপোব্রত

পড়াশুনোর পাটাপাট চুকিয়েছি প্রায় সাত বছর হতে চলল সুতরাং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিয়ে লিখছি ভেবে ভুল করবেন না। আমার এই লেখার বিষয় হল বিবাহ। সেই সানাই বাজিয়ে, শোলার টোপর পরে সাত পাকে ঘুরে আদি অকৃত্রিম চার হাতের মিলন, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘Holy Matrimony’।
নিজের বিয়ে আগতপ্রায়, তাই এই অবস্থায় বিয়ে নিয়ে বেশি বাঁদরামি করাটা মনে হয় না উচিত হবে তবু সামান্য কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারলুম না। কোথায় যেন পড়েছিলাম যে দেশে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ, দার্শনিক এবং গৃহত্যাগী সন্ন্যাসীর সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণই হল ক্রম-বর্দ্ধমান বিয়ে।

নাহ্‌ লেখার শুরুতেই গৃহত্যাগী সন্ন্যাসীতে চলে যাওয়া উচিত নয়। তার চেয়ে বরং বাচ্চাদের দিয়েই
ছবি: সুনন্দ
শুরু করি। যেকোন বিয়েতেই বাচ্চাদের খুব আনন্দ। বিয়েবাড়ি গেলেই দেখা যায় নানা সাইজের বেশ কিছু বাচ্চা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ছুটছে, লাফাচ্ছে, রসগোল্লা খাচ্ছে, নিমন্ত্রিতদের পা মাড়িয়ে বা মাথার চুল টেনে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, কখন আবার আছাড় খেয়ে তারস্বরে কান্না জুড়ে সারা বিয়েবাড়ি মাথায় করছে! কিন্তু বাচ্চা ছাড়া বিয়েবাড়ি ভাবাই যায় না।
এরকমই এক নিষ্পাপ শিশুর পুরনো গল্পটা এই ফাঁকে বলে ফেলি। বাচ্চা মেয়েটি তার পুতুল নিয়ে খেলছিল। ঘটনাচক্রে তার মা সেই একই ঘরে তাঁর বান্ধবীদের সঙ্গে পাড়ার একটি সাম্প্রতিক বিয়ে নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। পাত্র-পাত্রী তাদের বাবা-মার কথা না শুনে নিজেরাই আলাপ করে বিয়ে করেছে, এটাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। হঠাৎ মেয়েটি তার মাকে জিজ্ঞেস করল, “মা, তোমার কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল?”
মা বললেন, “কেন? তোমার বাবার সঙ্গে!”
মেয়েটি চোখ বড় বড় করে বলল, “ছি ছি! এত চেনাশোনার মধ্যে!”

যাক, শুরুতেই গুরু তারাপদ রায়ের কাণ্ডজ্ঞান থেকে টুকে দিয়েছি, এবার লেখাটা নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে যাবে!

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই