Tuesday, April 9, 2013

দশা -- আগন্তুক


ভারত আবার সম্মুখ সমরে। আজ্ঞে না, default শত্রু পাকিস্তানের মুখোমুখি নয়। ইতালীর সঙ্গে
মনোমালিন্য হয়েছে দিল্লীর। সুযোগ বুঝে পদ্মফুল কাঁটা ফুটিয়েছে- ম্যাডামের বাপের বাড়ি বলে কি সাত খুন মাফ? কুত্রোচ্চি কাণ্ডের দুঃস্বপ্ন এখনো ভোলেনি ১০ জনপথ। কাজেই পত্রপাঠ ইতালীয় রাষ্ট্রদূত নজরবন্দী এবং ফলতঃ গুটিগুটি পায়ে ইতালীর আত্মসমর্পণ। মুখরক্ষা হল দেশের এবং অবশ্যই দেশের রাজবংশের।


তামিল বধের শাস্তি চাই-তামিলনাড়ুর হুঙ্কার। ওরে ওসব কূটনীতি ভাই-অপারগ এই সরকার। দিল্লী নাহয় চুপটি থাকল, আমরা তো নই বাচ্চা। সমর্থনটি ফিরিয়ে নিলেই শিক্ষা হবে আচ্ছা। কাঁচকলা হবে, থোড়াই কেয়ার-মনমোহিনী উত্তর। সি বি আই দিয়ে Tight দিয়েছি মুলায়ম সহ পুত্তর। গদিতে এখন No ঝঞ্ঝট-বলেই দিলুম স্পষ্ট। অমন দিদিকে সামলে দিলুম কিসের আবার কষ্ট?


নামটি তাহার আই পি এল - ক্রিকেট তো নয়, দৈব খেল। বাদশা আছেন, দিদিও আছেন, আছেন
করুণানিধি- সুপারহিট তো হবেই গুরু, যত বাম হোক বিধি। ঘটা করে হল উদ্বোধন-যুবভারতীর ক্রীড়াঙ্গন। আরাবুল নাম স্মরণ করালো অভ্যাগত পিট-বুল। লক্ষ জনতা শরীর দোলালো-সঙ্ঘবদ্ধ ঘাসফুল। গেল বচ্ছর কাপ জিতেছিনু-ভুলে গেলি তোরা বেইমান! সাধেই কি আর বাঙালি বলেছে-এক নম্বর শয়তান!


চৈত্রের শুরু থেকেই মারাত্মক তপ্ত আবহাওয়া। প্রকৃতিকে হার মানালেন মীরা-মমতায়। রাজভবন থেকে ওড়ানো সাদা পায়রা ডানা ঝাপটে Finish। বিচারালয়ে নির্বাচন। Focus সন্ধানী পঞ্চায়েতমন্ত্রী কিছু অন্ততঃ কাজ পেলেন। অন্যথাঃ মুখ্যমন্ত্রীই এই সরকারের সব মন্ত্রকের প্রকৃত মন্ত্রী-একথা কে না জানে। বাঙালির হেলদোল নেই। অ্যাকাডেমির বদলে টিভিতেই নাটক দেখতে পেলে মন্দ কি! হাজার হোক সংস্কৃতিমনস্ক জাতি বলে কথা!




ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তালা ঝোলালেন সরকার। রাজ্যপালকে লাল-হলুদ ইত্যাদি কার্ড দেখানোর পর এবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পালা। ইচ্ছাকৃত গণ্ডগোলের অজুহাতে মহাকরণ সরাসরি নাক গলালো উপাচার্যের কক্ষে। সত্যি কথা, নেকাপড়া করতে এসে আবার রাজনীতি কিসের? দুর্মুখ জনতা বলছে যতদিন সবক’টা কলেজে টি এম সি পি’র যথেষ্ট সংখ্যক সদস্য না মিলছে, এই নিষেধাজ্ঞার আয়ু নাকি ততদিনই।


অস্ত্র রেখে সটান জেলে মুন্নাভাই দ্য গ্রেট। বড় পরিবার, উচ্চ বংশ, সব্বার মাথা হেঁট। কি মুশকিল সে বাচ্চা ছেলে, অতশত কি সে বোঝে? কাজীব্যাটা যেন পাষাণ-পরাণ, শুধুই শাস্তি খোঁজে। ভ্রান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু–মিষ্টি করে বল। নাহয় একটা ভুলই করেছে, অনেক দণ্ড হল। দেশের আইনে সবাই সমান- কি অলক্ষুণে কথা! আমরা তবে কি করতে আছি, গণ্ডাখানেক নেতা? নির্দোষ তিনি-গলা ফাটাচ্ছে মুম্বই থেকে খড়দা- ডনের বড়দা তোমার জন্য রয়েছে রুপোলী পর্দা।


দারিদ্রের সংজ্ঞা নিয়ে ধোঁয়াশা বহুদিনের। অস্পষ্টতা বাড়িয়ে তুললেন শ্রীনাথ সোরেন। ওড়িশার বিধায়ক। বিশলাখী গাড়ী থেকে নেমে আড়াই লক্ষ টাকার সোনা ব্যাঙ্কে রেখে এসেও তার দাবী- তিনি আসলে বি পি এল। এতেই বোঝা যায়, দেশনেতারা কতটা জনদরদী। আসলে নিজের পকেটে যাই থাক না কেন, বস্তিবাসী সহনাগরিকের কথা ভেবেই নিজেকে তাদের সমতুল্য ভাবেন তাঁরা। আহা, রুমাল কোথায়? অশ্রু যে আর বাঁধ মানে না।


ঝনঝন রবে ভাঙল হঠাৎ শার্শিজোড়া কাঁচ, নিন্দেমন্দ করবি পরে - আপনি তো আগে বাঁচ। টার্মিনালের নতুন অংশ-অল্প নাহয় হলই ধ্বংস। হঠাৎ ভেঙে পড়ল নাহয় মাথার ওপর উড়ালপুল, উত্তর দেবে ইঞ্জিনীয়ার-দায়ী নয় এতে ঘাসফুল। হতবাক হয়ে মানুষ-মা-মাটি, লাজে নিভু নিভু ত্রিফলার বাতি। অমর হয়েছে কে আর কবে-সৃষ্টি মানেই ধ্বংস হবে। সেই ভয়ে কি কোনদিকেতেই নড়ব না? তাই বলে কি ‘পরিবর্তন’ করব না?


খেলার রাজ্যে পৃথিবী শস্যময়-এতটুকু শুধু সময় দিলেই হয়। এক ঘণ্টায় ফুল ফুটে যাবে-দশ ঘণ্টায়
ধান। তরমুজ Just চার দিন লাগে-বলুন আর কি চান? দু’এক Click-এই ধরাশায়ী হবে Criminal যত বদমাশ, Energy চাই? খেলতে থাকো, বন্ধুকে কর ফরমাস। একটাই Frame-এ বারবার খোঁজো লুকিয়ে রাখা চিহ্ন, তুমি রাম-শ্যাম সবাই পুলিশ, এতটুকু নও ভিন্ন। কার score আজ কে’বা করে Beat-হিসেব রাখা তো চাই। বলা তো যায় না, যদি কোনদিন ডাক দেয় CBI!


১০
উত্তর চীনের বাসিন্দা জিয়ান ফেং সহসা ১.২ লক্ষ ডলারের মালিক হয়ে বসলেন। তাঁর স্ত্রী কুরূপা হওয়ার অপরাধে এই জরিমানা দিতে বাধ্য হলেন। ব্যাপারখানা কি? কুৎসিতদর্শন (আমার নয়, পিতার মন্তব্য) সন্তানের জন্মে বিশ্বাসঘাতকতার সন্দেহে তদন্ত করান ফেং। ধরা পড়ে, ১ লক্ষ ডলার ব্যয়ে একাধিক প্লাস্টিক সার্জারিতে নিজেকে সাজিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। প্রকৃতি এই ফাঁদে পা দেয়নি। অতএব দণ্ডিতের মুখের ওপর, নিষ্ঠুরভাবে হাসলেন দণ্ডদাতা...

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই