আকাশের গায়ে কেমন চাপ চাপ নিস্তব্ধতা। এক টুকরো
মধ্য কলকাতা আলসেমি ভরা উদাসী দুপুর। গলির গলি তস্য গলি পেরিয়ে গন্তব্য তিন নম্বর বেডফোর্ড
স্ট্রিট।
মাত্র ছ’ফুট-থেকে আট ফুট চওড়া
রাস্তা। অগুনতি ঠেলা, রিকশা, আর স্কুল ফেরত বাচ্চারা পাশাপাশি ঠেলাঠেলি করে চলেছে।
ঘিঞ্জি রাস্তার দু’ধারে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙাচোরা দোতলা বাড়িরা। রাস্তার ধারে
কর্পোরেশনের কলে মত্ত জল কেলি করছে একদল উলঙ্গ শিশু।
একটা বাড়ির দাওয়ায় ঘুমে ঢুলু ঢুলু এক মহিলা বসে
ছিলেন। তাঁকেই প্রশ্ন করলাম-
“সেলিমের বাড়িটা এই দিকেই তো?” ঘুম জড়ানো চোখেই
সেলিমের বাড়ির রাস্তা দেখিয়ে দেন তিনি। সেই রাস্তার দিকে পা বাড়িয়েছি, মহিলাটি
পিছন থেকে বলে ওঠেন, “সিরিফ সেলিম বোলা কিউ? সেলিম জোকারওয়ালা বলুন।”
ঠিকই তো! সেলিমরা তো জোকারওয়ালাই!
পাঠক মশাই কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জোকারদের দেশে
আপনাকে স্বাগত।
দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরের দেওয়ালের রং সবুজ।
সেখানেই বিকেলের প্রার্থনা সারছেন জোকারদের এই বাড়িটি যিনি গড়ে তুলেছেন সেই
সেলিম। প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম।
একটুখানি সময়। সেলিম তাও ক্ষমা চেয়ে নিলেন। আরও মিনিট পাঁচেক সময় লাগবে তাঁর
প্রার্থনা সারতে।
কে এই সেলিম?
এই উত্তর দেব, কিন্তু অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় এর
‘চ্যাপলিন’ সিনেমার রুদ্রনীল ঘোষ কে মনে আছে নিশ্চয়? অনবদ্য অভিনয়ে সব্বাইকে মাত
করে দিয়েছিলেন। সেলিমরা ঠিক তেমনই করেন। না রিল লাইফে নয় রিয়েল লাইফে।
সেলিম এক অদ্ভুত, আজগুবি, মজাদার ব্যবসার সঙ্গে
জড়িত। যে ব্যবসা হাসতে হাসতে কাঁদায়। যে ব্যবসা হাসি-কান্নার
মধ্যেও বিবেকে খোঁচা মারে। হাসি আর কান্না কোথাও যেন একাকার হয়ে যায়। হোমরাচোমরা পুলিশ অফিসারের ছেলের জন্মদিন হোক, কী
বাড়ির ছোট্ট মেয়ের অন্নপ্রাশন জ্যান্ত চার্লি চ্যাপলিনদের কলকাতায় আমরা সবাই
দেখেছি কখনও না কখনও। নিদেন পক্ষে বিভিন্ন বড়শোরুমের মহরৎ এর সময়ে। সেইরকম
চ্যাপলিনদের নিয়েই সেলিমের এই মানুষ হাসানো বাণিজ্য।
মোট কুড়ি জন চ্যাপলিন নিয়ে তাঁর এই ব্যবসা।
অধিকাংশ সদস্যই এসেছেন সেলিমের নিজের পরিবার থেকে। চ্যাপলিন ছাড়াও কখনও
মিকি-ডোনাল্ড, কখনও বা টম অ্যান্ড জেরি সাজেন এঁরা। তবে এ সব ক’টি সাজের মধ্যে
আসলটি হল চ্যাপলিন।
প্রার্থনা শেষ। সেলিম বলতে শুরু করলেন তাঁর ফেলে
আশা জীবনের গল্প।
-“আমি এমন এক ডেকোরেটরের কাছে কাজ করতাম, যিনি ঈদ, রমজান, দুর্গাপুজো, বড়দিনের সময় নিউ মার্কেটের বিভিন্ন দোকান সাজাতেন, এখনও আমার মনে আছে, তারিখটা ছিল ১লা আগস্ট, ১৯৯২। সে দিন এমনই একটা দোকান সাজাচ্ছিলাম। এমন সময় দোকানের ম্যানেজার এসে বললেন,
-“আমি এমন এক ডেকোরেটরের কাছে কাজ করতাম, যিনি ঈদ, রমজান, দুর্গাপুজো, বড়দিনের সময় নিউ মার্কেটের বিভিন্ন দোকান সাজাতেন, এখনও আমার মনে আছে, তারিখটা ছিল ১লা আগস্ট, ১৯৯২। সে দিন এমনই একটা দোকান সাজাচ্ছিলাম। এমন সময় দোকানের ম্যানেজার এসে বললেন,
-‘ইয়ে সব ঠিক হ্যায়, লেকিন কুছ মজাদার হোনা চাহিয়ে।’
আমি তখন হাল্কা ভাবে বললাম,
- মজা চাহিয়ে তো জোকার লেকে আয়ে? তৎক্ষণাৎ
ভদ্রলোক বললেন,
- ‘লে কে আইয়ে না জোকার।’
তখনই আমার মনে হয়েছিল জোকার সাজার ব্যবসায় নামলে
কেমন হয়? তারপর ছুটতে ছুটতে বাড়ি। বাড়ি ফিরেই দর্জির কাছে গেলাম। বললাম, আমাকে
জোকারের পোশাক বানিয়ে দেবে? একজন মেকআপ আর্টিস্টকে আমি আগে থেকেই চিনতাম।
টালিগঞ্জে স্টারদের মেকআপ করতেন। তাকে গিয়ে বললাম, জোকারের মেক-আপ করে দাও।
পরদিন জোকার সেজে নিউ মার্কেটের সেই দোকানেই আবার গেলাম। আমাকে দেখে মানুষজন খুব
মজা পেল। রাতারাতি হিট হয়ে গেল জোকার সাজা। লোকজন আমাকে দেখে তখন একেবারে মুগ্ধ
বলতে যা বোঝায় তাই।
তাঁরা বলতে লাগলেন,
-‘আরে সার্কাস কা জোকার দুকান মে!’
জোকার সেজে মানুষকে আনন্দ দেওয়াই হয়ে উঠল আমার
গুণ, আমার পুঁজি। সেই থেকে নাম হয়ে গেল সেলিম জোকারওয়ালা,”
ঠোঁটের কোনে ম্রিয়মাণ হাসি নিয়ে বললেন সেলিম।
যখন সেলিমের সঙ্গে কথা বলছি, তাঁর পরিবারের জনা
সাতেক সদস্য গুটিগুটি এসে তাঁকে ঘিরে বসলেন। সেলিম শুরু করলেন সেই অভূতপূর্ব গল্প,
কী ভাবে এক জন মানুষের মহিমা বদলে দিয়েছে তাঁর গোটা জীবনটা। সেই মানুষটি হলেন
চার্লি চ্যাপলিন।
“মাসখানেক আমি এই ভাবেই জোকার সাজলাম। তারপর মাথায় একটা নতুন ভাবনা
এল। ভাবলাম, মানুষ সাধারণ জোকারকে দেখে যখন এত মজা পাচ্ছে, আনন্দ করছে, যদি চার্লি
চ্যাপলিন সাজি কেমন হয়? সব কিছুর শেষে এ কথা তো বলাই যায়,
- ইস দুনিয়া মে চ্যাপলিন ঔর হাসনা তো এক হি বাত
হ্যায়।
তখন আমার দুই ভাই নাসিম আহমেদ এবং সাহাবউদ্দিন
আহমেদকে জিজ্ঞেস করলাম ওরা চ্যাপলিন সাজতে রাজি কি না? ওরা আমার প্রস্তাবে রাজি
হয়ে গেল। তারপর থেকেই চার্লি চ্যাপলিন যেন আমাদেরই পরিবারের এক জন সদস্য।”
ঈষৎ বাঁকা হাসি হেসে বলে চলেন সেলিম।
আপাতত এই শহরে মোট ২০ জন শিল্পী আছেন যাঁরা
নিয়মিত চ্যাপলিন সাজেন। তাঁরা সকলেই সেলিমের দলের সদস্য। “এদের মধ্যে ১২ জন তো আমার নিজের
পরিবারের। বাকিরা সব পাড়ার ছেলে। বেকার ছিল। ওদের কাজ দিয়েছি। ওরা-ও খুশি,”
সগর্বে বললেন।
তবে প্রথম প্রথম চার্লি সেজে অভিনয় করা কিন্তু যে
সে ব্যাপার ছিল না। সেলিমের পরিবারের সকলে চ্যাপলিনের ছবির ভিডিও ক্যাসেট কিনে
দেখতে লাগলেন। আর এই ভাবেই দিনের পর দিন চ্যাপলিনের ছবি দেখে তাঁর হাবভাব,
ম্যানারিজম তাঁরা অনুসরণ করলেন।
চার্লির কী কী ছবি তাঁরা দেখেছেন?
-‘মডার্ন টাইমস’, নাকি ‘লাইমলাইট’?
-“এত জানি না সাহেব। চার্লির ছবি মানে চার্লির ছবি, নাম জানি না”, সরল হেসে সেলিম যখন উত্তর দিলেন মনে হল ঠিকই তো ছবির নাম জেনে কি হবে!
-“এত জানি না সাহেব। চার্লির ছবি মানে চার্লির ছবি, নাম জানি না”, সরল হেসে সেলিম যখন উত্তর দিলেন মনে হল ঠিকই তো ছবির নাম জেনে কি হবে!
কথাবার্তার ফাঁকে কখন যেন সেলিমের চার বছরের নাতি তাঁর দাদুর কোলে
এসে বসেছে। সেই খুদেটিই এখন জোকারওয়ালা পরিবারের সব চেয়ে কম বয়সী চার্লি
চ্যাপলিন। দাদুর কোলে বসে মন দিয়ে ললিপপ চুষছিল নাতি।
- “বেটা চ্যাপলিন কা হ্যাট পহেনো। আরে উসকা বো
কিধর হ্যায়?” সেলিম ছোট ছেলের উদ্দেশ্যে চেঁচিয়ে ওঠেন। সেই সময় সেলিমের তিন
ছেলেই সেই ঘরে। এই তিন ছেলেই বছরে অন্তত ২০০ দিন চ্যাপলিন সাজেন। “আমরা তো দেখতে
দেখতে শিখে গিয়েছিলাম, কী করে চ্যাপলিন সাজতে হয়। আর শুধু চ্যাপলিনের সিনেমা
নয়, ‘মেরা নাম জোকার’ ৫০০ বার দেখেছি। রাজ কাপুরও
তো চ্যাপলিনের মতোই হাত পা নাড়তেন,” বললেন সেলিমের ছোট ছেলে।
চ্যাপলিন আর রাজ কাপুর। এক দিকে সেই শিখর ছোঁয়া ব্যক্তিত্ব যিনি সারা
জীবনের কাজের জন্য লাইফটাইম অস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন, অন্য দিকে বলিউডের
ফার্স্ট ফ্যামিলির পুরোধা দু’জনেই আশ্চর্য ভাবে জীবন্ত
হয়ে রয়েছেন, ওদের জীবনের প্রতিটা দিনযাপন আর অনুভূতির বাঁকে বাঁকে মিশে গেছে এই
বেডফোর্ড স্ট্রিটের দশ ফুট বাই দশ ফুট অপরিসর ঘরে। দুই কিংবদন্তিই জীবিকার সংস্থান করে দিচ্ছেন একটি
পরিবারের, একটি পাড়ার।
হাসির ছবি বানানোর আড়ালে চার্লির ব্যক্তিগত জীবনে
ছিল দুঃখের ফল্গুধারা। তেমনি কলকাতার চ্যাপলিন পরিবারেও। হাসির সঙ্গে সহবাস করে
দুঃখ আর চোখের জল। কিন্তু ঘরোয়া জীবনের দুঃখদুর্দশা ঢাকা পড়ে যায় চ্যাপলিনের
নিপুণ প্রসাধনের আড়ালে।
সব শুনে ভাগ্নে বললো, “মামু, ‘মেরা নাম জোকার’-এও তো রাজুর মা মারা যাবার পরও রাজু শো করেছিল। আমাদের নিয়ে চলো,
আমরাও আজ চ্যাপলিন সাজব’। নিউ
মার্কেটের যে দোকানে শো ছিল সেখানে ওদের নিয়ে গেলাম। ওরা নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে
অভিনয় করে সবাইকে হাসাচ্ছিল।
কিন্তু সে দিন দেখেছিলাম তাদের হাসি মুখ ছাপিয়ে জলে ভরে আসা দু’চোখ,”
সেলিমের গলায় এক রাশ বিষাদ।
এত কিছুর পরও ওঁরা ‘খুব স্বাভাবিক’ ভাবেই কিন্তু শিল্পীর সম্মান পান না। দর্শক হাসতে হাসতে লুটোপুটি
খেলেও তাচ্ছিল্যই ওদের একমাত্র পাওনা। সেলিমের ছোট ছেলে এখন ন্যাশনাল কলেজের
ছাত্র। পারিবারিক পেশা নিয়ে তার খুব লজ্জা, সে এখনও কলেজের বন্ধুদের বলে উঠতে
পারেনি, বাবা চ্যাপলিন সেজে নানা জায়গায় লোক হাসিয়ে বেড়ায়।
-“আমি বলি, বাবা পার্টি ডেকোরেশনের ব্যবসা করেন। জোকার বা চ্যাপলিনের
কথা বললে জানি ওরা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করবে”। সেলিমের কথাতেও একই প্রতিধ্বনি।
বিয়ে দেওয়ার সময় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতেও সেলিম বলতে পারেননি নিজের আসল পেশার
কথা।
“প্রথমে বলিনি কিন্তু এখন তো মেয়ের শ্বশুরবাড়ি সব জানে। সম্মানও করে
আমাকে। কিন্তু প্রথমেই যদি বলতাম সাদা রং মেখে চ্যাপলিন সাজি, হয়তো বিয়েই হত না”। সেলিম যখন ওই সব কথা বলছিলেন তাঁর স্ত্রী একদৃষ্টে তাকিয়ে গভীর
মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছিলেন।
শুধুই সামাজিক হেনস্থা নয়। আছে আরও নানা অসম্মান,
বিশ্বাসঘাতকতার করুণ কাহিনী। একবার চরম অপমানিত হতে হয়েছিল টালিগঞ্জের এক অভিনেতা
থেকে পরিচালক হয়ে ওঠা স্বনামধন্যের কাছে।
“সেই অ্যাক্টর-ডিরেক্টর আমাদের এক বার কাজ করাবেন বলে শুটিংয়ে নিয়ে
গেলেন। তিনি যে টাকা দেবেন বলেছিলেন আজও দেননি। বলেছিলেন আমাদের ভাল হোটেলে
রাখবেন, তাও রাখেননি। আমাদের রাখা হয়েছিল সাপখোপ বেরিয়ে আসতে পারে এমন একটা
ঘুপচি ঘরে। আমরা হলাম ছোট মানুষ। ক্ষমতা কম। আজও সেই লোককে টালিগঞ্জের নানা
পার্টিতে দেখি। ইচ্ছে করে গিয়ে মারি। কিন্তু মারতে পারি না। তা হলে তো আমাদেরই
তাড়িয়ে দেবে পার্টি থেকে। তাই না?”
এই কথা বলার সময়ে সেলিমের কণ্ঠস্বরে ফুটে উঠছিল
রাগ, অসহায়তা।
-“শুনেছি ‘চ্যাপলিন’ নামে একটা নতুন বাংলা ছবি রিলিজ করেছে। সে গল্পটা নাকি আমাদেরই মতো এক জনের জীবনের গল্প। হয়তো তা দেখে লোকে বুঝবে আমাদের জীবনে কত রক্তঝরে।”
-“শুনেছি ‘চ্যাপলিন’ নামে একটা নতুন বাংলা ছবি রিলিজ করেছে। সে গল্পটা নাকি আমাদেরই মতো এক জনের জীবনের গল্প। হয়তো তা দেখে লোকে বুঝবে আমাদের জীবনে কত রক্তঝরে।”
আমাদের কথোপকথন প্রায় শেষ। আচমকা বৃষ্টি নেমেছে।
বৃষ্টির জল ঢুকে ভেসে যাচ্ছে চ্যাপলিন পরিবারের বাড়ির সদর দুয়ার। কাপড়
শুকোচ্ছিল। সকলে মিলে সেই শুকনো কাপড় তুলতে ব্যস্ত। ভিজে না যায় আবার! বাড়ির
ছোট ছেলেটি বাইরে থেকে ঘরের ভেতর নিয়ে আসছিল চার্লির জুতোগুলো।
সেলিম চেঁচিয়ে ওঠেন, “জলদি করো, তিন বাজে নিকালনা
হ্যায়। আজ বড়া ফাংশন হ্যায়।”
তারপর একে একে তাঁরা সকলে ঘরের ভেতরে ঢুকে আসেন।
সার দিয়ে বসে চ্যাপলিনের মেক-আপ করতে। চ্যাপলিনের পোশাক পরে হুবহু চ্যাপলিন সাজতে।
চ্যাপলিন যেমন লাঠি-টুপি ব্যবহার করতেন ঠিক তেমনই সব ছড়ি, টুপি ঘরের এক দিকে
জড়োকরে রাখা। এই মুহূর্তের চ্যাপলিনের পরিবারের সদস্যরা রাতের নাটকের জন্য ব্যস্ত। আসল জীবন নয় এখন ওরা ‘সিটি লাইটস’- এর চ্যাপলিন।
এবার আমার ফিরে আসার পালা। ওদের ব্যস্ততার মাঝে
এখন কোনও অবসর নেই। বেরিয়ে আসার আগে দেখলাম সবুজ দেওয়ালে ঝুলছে চার্লি
চ্যাপলিনের সেই সহাস্য সাদা-কালো ছবি।
সত্যিই কি হাসছেন? চ্যাপলিন যদি বাংলা জানতেন
তাহলে কি বলতেন-
‘এই তো জীবন কালী দা!’
তাঁর সিনেমায় তো শব্দ নেই, উত্তরটা তাই অজানাই
থাক...