এর আগের পোস্টে extension tube ব্যবহার করে তোলা কিছু ছবি আপনারা দেখেছেন। কিভাবে extension tube দিয়ে ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করতে হয় সেটা বলার আগে অ্যাপারচার লিভার-এর ব্যাপারটা একটু বলে নেওয়া ভালো। এই লিভারটির কাজ হলো লেন্স অ্যাপারচারকে এর নির্বাচিত F-number এ খুলে রাখা। লিভার টি একটা স্প্রিং দিয়ে অ্যাপারচার এর সাথে যুক্ত এবং ক্যামেরা বডির ইলেকট্রনিক অ্যাটাচমেন্ট দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু রিভার্স লেন্স টেকনিক ব্যবহার করলে(অর্থাৎ কিনা, লেন্সকে উলটো করে ঘুরিয়ে ক্যামেরায় লাগালে) ইলেকট্রনিক লিঙ্ক বিচ্ছিন্ন হয় এবং অ্যাপারচার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে depth of field খুব বেশি হলেও আলো প্রায় না ঢোকায় ছবি কমপোজ করা যায় না(প্রায় অন্ধকারে ছবির বিষয়কে দেখতেই পাওয়া যায় না- দেখা না গেলে ছবি তুলবেন কি করে)। এই অসুবিধে দূর করার জন্য একটা শক্ত কাগজ কেটে নীচের ছবির মতো করে ব্যবহার করলে মুশকিল আসান। তবে এই উপায়টা Nikkor G-type লেন্সের জন্য। Nikkor D-type লেন্সে অ্যাপারচার রিং থাকে।
এবার তাহলে আগের পোস্টের ছবি গুলো কীভাবে তুলেছি সেটার গল্প করি। প্রথমেই বলে নিই কি কি লাগবে:
১) এক্সটেনশন টিউব (দাম:- Manual: ৪০০-৬০০/- অথবা Automatic: ৬০০০-১২০০০/-) [আমি manual ব্যবহার করি।]
২) অপরিসীম ধৈর্য (এটা যদিও আগের টেকনিক এর ক্ষেত্রেও সত্যি। লিখতে ভুলে যাওয়ার জন্য দুঃখিত।) সোজা ভাবে বললে এক্সটেনশন টিউবটি ক্যামেরার বডি এবং লেন্সের মাঝে একটি নল। এতে কোনো রকমের গ্লাস না থাকায় ছবির ক্যুয়ালিটিতে কোনো তারতম্য হয় না। এক্সটেনশন টিউবের pack এ সাধারণত তিনটি ছোটো টিউব থাকে। এগুলো বিভিন্ন কম্বিনেশন এ লাগালে বিভিন্ন magnification পাওয়া যায়। লেন্সটি সোজা বা রিভার্সড ভাবে ব্যবহার করা যায়।
এই টেকনিক এ কি রকম magnification পাওয়া যেতে পারে সেটা হিসেব করার সহজ সূত্র হলো:
সুতরাং এক্সটেনশন টিউবের সঙ্গে লেন্স কে সোজা বা রিভার্সড ভাবে লাগিয়ে এবং টিউবের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে বিভিন্ন magnification পাওয়া যায়।
আমার আগের পোস্টের ছবি গুলো আমি এক্সটেনশন টিউব এবং রিভার্সড ৫০ মিমি প্রাইম লেন্স ব্যবহার করে ন্যাচারাল আলোতে তুলেছি। আবার বলি দুটো টেকনিকের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- অপরিসীম ধৈর্য।
খুব কম খরচের সেটআপ বলে এই টেকনিক গুলোতে অটোমেটিক কোনো কিছুই হয় না। এবং সেটা ফোকাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই সব টেকনিক এ ফোকাস করতে হয় ক্যামেরা চোখে নিয়ে বডি মুভমেন্টের মাধ্যমে। ব্যস্, আপাতত এটুকুই। কম খরচের এই ঘরোয়া পদ্ধতি ভালো লেগে থাকলে আপনারাও ব্যবহার করুন। আর নতুন কোনো আইডিয়া থাকলে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু...
এবার তাহলে আগের পোস্টের ছবি গুলো কীভাবে তুলেছি সেটার গল্প করি। প্রথমেই বলে নিই কি কি লাগবে:
১) এক্সটেনশন টিউব (দাম:- Manual: ৪০০-৬০০/- অথবা Automatic: ৬০০০-১২০০০/-) [আমি manual ব্যবহার করি।]
২) অপরিসীম ধৈর্য (এটা যদিও আগের টেকনিক এর ক্ষেত্রেও সত্যি। লিখতে ভুলে যাওয়ার জন্য দুঃখিত।) সোজা ভাবে বললে এক্সটেনশন টিউবটি ক্যামেরার বডি এবং লেন্সের মাঝে একটি নল। এতে কোনো রকমের গ্লাস না থাকায় ছবির ক্যুয়ালিটিতে কোনো তারতম্য হয় না। এক্সটেনশন টিউবের pack এ সাধারণত তিনটি ছোটো টিউব থাকে। এগুলো বিভিন্ন কম্বিনেশন এ লাগালে বিভিন্ন magnification পাওয়া যায়। লেন্সটি সোজা বা রিভার্সড ভাবে ব্যবহার করা যায়।
এই টেকনিক এ কি রকম magnification পাওয়া যেতে পারে সেটা হিসেব করার সহজ সূত্র হলো:
(এক্সটেনশন টিউবের দৈর্ঘ্য ) / (ব্যবহৃত লেন্সের দৈর্ঘ্য ) + ব্যবহৃত লেন্সের magnification
e.g : ৬৪ মিমি এক্সটেনশন টিউব এবং ২৮ মিমি প্রাইম লেন্স reversed way তে ব্যবহার করে প্রায় চার গুণ magnification পাওয়া যাবে।সুতরাং এক্সটেনশন টিউবের সঙ্গে লেন্স কে সোজা বা রিভার্সড ভাবে লাগিয়ে এবং টিউবের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে বিভিন্ন magnification পাওয়া যায়।
আমার আগের পোস্টের ছবি গুলো আমি এক্সটেনশন টিউব এবং রিভার্সড ৫০ মিমি প্রাইম লেন্স ব্যবহার করে ন্যাচারাল আলোতে তুলেছি। আবার বলি দুটো টেকনিকের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- অপরিসীম ধৈর্য।
খুব কম খরচের সেটআপ বলে এই টেকনিক গুলোতে অটোমেটিক কোনো কিছুই হয় না। এবং সেটা ফোকাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই সব টেকনিক এ ফোকাস করতে হয় ক্যামেরা চোখে নিয়ে বডি মুভমেন্টের মাধ্যমে। ব্যস্, আপাতত এটুকুই। কম খরচের এই ঘরোয়া পদ্ধতি ভালো লেগে থাকলে আপনারাও ব্যবহার করুন। আর নতুন কোনো আইডিয়া থাকলে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু...