প্রাইমারি উত্তর জীবনে কোথাও শুনেছিলাম যে, 'প্রাইমারি' স্কুল হলো সেই স্কুল যেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায়ই
মারেন। আমার অভিজ্ঞতা অতটা করুণ না হলেও কথাটা বেশ মনে থেকে গেছে। বরং উল্টোটাই
আমার কাছে সত্যি। হাইস্কুলেই প্রহারের প্রয়োজন ও প্রয়োগ যেন বেশি। হাইস্কুলের
কথা পরে হবে ’খন। আজ খুলছি প্রাইমারি
স্কুলের ঝাঁপি। চিন্তা নেই, শুধু করুণ রসেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এই গল্পগাথা।
অন্যান্য জিনিসপত্রও থাকছে!
একদম শুরুতে, শহরের ছোঁয়া পাওয়া আমার গেঁয়ো বাবা-মা আমার নাম লেখালেন
গ্রামের একমাত্র ইঞ্জিরি মিডিয়াম প্রাইমারিটিতে। আইডিয়াটা ছিল, বছর দুয়েক ইঞ্জিরি শিক্ষানবিশি করে, ইংরাজির ভিতটা একটু পোক্ত করে - 'বাংলায় ফিরে এসো বাওয়া'। দু’-একজন তুতো দাদার ক্ষেত্রে এইরকমটিই হতে
দেখেছি কিনা। সে যাই হোক, শুরু
হলো লাল জামা, কালো
প্যান্ট, কালো টাই (সেটা আবার নট্ করাই থাকত, গলায় গলিয়ে নিলেই হত), কালো জুতো (মোজার রঙ ভুলে গেছি) পরে বিদ্যাদেবীর আরাধনা।
ওহ্, বলতে ভুলে গেছি, সাথে সবুজ ফিতেওয়ালা ওয়াটার বটল্, টিনের বাক্স আর সেই বাক্সে কিছু বই আর রুলটানা খাতার সাথে
আকাশী রঙের টিফিন বাক্সও ছিল। কিন্তু ছিলো না একটা জিনিস। অনেককেই দেখতাম
খাঁচাগাড়ি করে স্কুলে আসত। বাড়ি থেকে ইস্কুল মেরে-কেটে ৩০০-৩৫০ মিটার হওয়াতে
আমি ছিলাম ও সুখে বঞ্চিত। বেজায় রাগ হত
জানেন। পরে অবিশ্যি, কি
কারণে মনে নেই, একবার
সুযোগ হয়েছিল এতে চড়ার। সেই 'রঙ দে বসন্তী' তে কুণাল কাপুর যেরকম বলেছিলেন না,