- কি?
- সে জানিনা, শুধু জানি ইচ্ছে করে। ক্যাপসুল লিফটে, গাড়ির মধ্যে, ঘরে, জানালার ধারে, সব সময় ইচ্ছে করে।
- অত ইচ্ছের কি আছে আবার? চুপ করে বোস।
- কিন্তু ইচ্ছেপূরণ না হলে মন খারাপ হয় যে ... তোর ইচ্ছে করে না?
- তোর না শরীর খারাপ? জল খা। কাল জানিস, কি হয়েছে? আমার যে ছোট মাসি জামশেদপুরে থাকে, আরে ... যার বরের ক্যান্সার হয়েছিল ...
- একটু চুপ কর। উত্তর দিবি না, তোর ইচ্ছে করে কি না?
- আমার তোর মত অত বাঁধভাঙা ইচ্ছে-টিচ্ছে করে না বাপু। তোর সবেতেই একটু বেশি বেশি।
- বেশ। এই চুপ করলাম।
- আচ্ছা, ঠিক আছে, আর গোসা করতে হবে না। আমারও মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প ইচ্ছে করে। হল এবার?
- লোকজনের মধ্যে? না আড়াল চাই?
- ধুর! লোকজনের মধ্যে! পাগল নাকি? কেউ না থাকলে ভেবে দেখতেও পারি।
- চল না, এই দেখ, ধারেকাছে কেউ কোত্থাও নেই।
- ধুস! যখন-তখন ইচ্ছে হলেই হয় নাকি?
- হয়। দেখবি?
- ................
- কি হল?
- ......... দেখা।
কয়েক সেকেন্ড পরে জনান্তিকে একটি বায়ুনিঃসরণের শব্দ পাওয়া গেল।