উৎস |
ফসলের কণা ঘিরে আয়োজন কৃষকের তূণে।
লোধ্ররেণু, লিপস্টিক, পূর্ণ হয়েছে প্রসাধন...
অচিরেই দেবদূত ভেঙে দেবে শস্যের ঘর
বিপ্রলব্ধা
‘বঞ্চনা’ শব্দ জুড়ে বেড়ে ওঠে শিকড় বাকড়
স্থানকালপাত্ররা পৃথিবীর পরিধি মাপেনি।
মোহনবাঁশির স্নেহে ভেসে এসেছিলো আশ্বাস...
সিম-কার্ড বুঝে নিক খোলস ছাড়ার কথকতা,
ফেলে আসা ফোন রাখে মৃত শহরের দিনলিপি
উৎকণ্ঠিতা
‘পন্থ নেহারি’ রাই, নিভে আসে দ্রুত চরাচর।
প্রলয়ের কাল বুঝি ছুঁয়েছিলো এত ব্যাকুলতা।
সংকেত ভুলে গেলে.. রিংটোন থাকবে তো মনে?
খণ্ডিতা
তুষারের কাছে ভুলে জমা ছিলো হৃদি। বহমান।
অসুস্থ ঘাতক রাতে স্তব্ধ হতো সুপ্তিসুর শুনে,
মৃত্যুরা ছাই হলে, গাছের কোটরে আজও গান,
গান পুড়ে ছাই হলে?... খোঁজ নিও অতলের কাছে
স্বাধীনভর্তৃকা
বন্ধন কিনেছ বলে হাতের পুতুল স্বাধীনতা...
ইঙ্গিতমাত্রে কেউ পদতলে ছিলো নতজানু
শিকলে শিকল লেগে ক্ষয় পায় শাসকের ভাষা
তমোভিসারিকা
উজল স্ক্রিনের আলো ছোঁয় বিষাদের জলাজমি
কফির কাপেতে ঘুম। জাগরণ এককের ঘরে।
নীল শাড়ি, মৃগমদ... গন্ধ ভুলেছে মোহময়
তমোভিসারিকা, তাই চোখ কুরে খায় ঘুণপোকা?
জ্যোৎস্নাভিসারিকা
চাঁদের বাড়ির কাছে রেখে যেও বিরহের শ্বাস
শরীর মুছবে আর নীরবতা পাবে আভরণ
অভিসারও একদিন জ্যোৎস্নার কাছে শিখে নেবে
উৎসের দিকে কোনও ঋণ নেই। থাকেনা কখনো।
কলহান্তরিতা
মিথ্যে ক্ষয়, মিথ্যে এই রূঢ়ভাষ লিপি
অনুতাপ আঁচে বৃথা ভরে ওঠে কলহের ঘর
প্রোষিতভর্তৃকা
অন্ধকার পথ, তবু আলোকবর্ষ দূরত্ব-একক...