আমরা নিরামিষ ব্লগার। গোল্ডেন গেট ঘুরে এসে ট্রাভেল
ব্লগ লিখি, চীজকেক রাঁধতে শিখলে রেসিপি পোস্ট দিই। এর মাঝেই মমতার কার্টুন শেয়ার
করে প্রফেসরের হেনস্থার প্রতিবাদে স্যাটায়ার লিখি, বইমেলায় রুশদিকে ঢুকতে না
দেওয়ার লজ্জায় ধিক্কার জানাই। কিন্তু ব্লগিং যে এক লহমায় আমাদের ভূতপূর্ব ব্লগার
করে দিতে পারে, এমনটা কল্পনা করি না।
রাস্তাঘাটে পথদুর্ঘটনায় রোজই অনেক লোকের মৃত্য
হচ্ছে, সে খবরগুলো পড়তে খারাপ লাগলেও রোজকার ডালভাত হজমে সেগুলো কোনো প্রভাব ফেলে
না। কিন্তু যদি বাসের ধাক্কায় মৃত পথচারীটি হয় আমারই বন্ধু, তাহলে সেই ড্রাইভারের
প্রতি আক্রোশটা অসহনীয় রকমের তীব্র হয়ে ওঠে। যার ফান-পোস্টারে লক্ষ্মীর পরনের স্কটিশ
কিল্ট নিয়ে এই সেদিনও হাসাহাসি করেছি, যার স্যাটায়ারের মান আরো ধারালো করার জন্য
সমালোচনা-ভরা উৎসাহ দিয়েছি, যখন খবর পেলাম যে আমার সেই সহব্লগারকে গলা কেটে খুন করে তারই বাড়ির সামনে ফেলে গেছে কিছু লোক, তখন আর সারাদিন কাজ
করতে পারিনি ।
থাবা বাবা |