Monday, September 30, 2013

Asia's Global City:Singapore -- Chayan

Esplanade Drive, Singapore
Esplanade Theatres at the Bay


Singapore is definitely Asia’s global city and the as one of the richest nations in the world it exemplifies the statement- size does not matter. The Asian capital of global finance, Singapore may simply be about business to some people – but it definitely is a place that can offer much more to those who want to mix business with pleasure. After a busy day at work, you can opt for an evening stroll by the Marina Barrage or go for a boat ride and be captivated by grandeur of the Singapore Flyer and the city skyline and laser shows. 

Thursday, September 26, 2013

প্যাঁচাকাহিনী -- তপোব্রত

প্যাঁচা কয় প্যাঁচানী,
খাসা তোর চ্যাঁচানি
শুনে শুনে আন্‌মন
নাচে মোর প্রাণমন !
ছোটবেলাতে এই কবিতা পড়েননি এরকম বাঙালি বিরল না হলেও দুষ্প্রাপ্য তো বটেই। তার সঙ্গে আরো আছে গঙ্গারাম, যার মুখের গঠন “অনেকটা ঠিক প্যাঁচার মতন” কিম্বা সেই হ-য-ব-র-ল র জজসাহেব, কালো ঝোল্‌লা-পরা হুতুম প্যাঁচা যে এসেই একটা উঁচু পাথরের ওপর বসে ঢুলছিল এবং সেই মামলার শেষে যার রায়ে নেড়ার তিনমাসের জেল আর সাতদিনের ফাঁসি হয়েছিল।

এগুলো ছাড়াও ছোটবেলা থেকেই প্যাঁচার ওই গোল মাথা, রাগী রাগী গোল চোখ, দিনে ঘুমিয়ে রাত্তিরে জেগে থাকার অভ্যেস, লক্ষ্মী ঠাকুরের বাহন এসব থেকে আমার বেশ একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল প্রাণীটার প্রতি। তবে হ্যাঁ প্যাঁচা যে মরা প্রাণী, ইঁদুর এইসব খায় তা জানতাম, তাই পোষার কথা কখনই মনে হয়নি। পরে হ্যারি পটার পড়ার সময় বুঝতে পারি যে, মাগল্‌ হয়ে জন্মানোর আরও একটি সমস্যা হল যে মাগল্‌রা কেউ প্যাঁচা পোষে না!

তবে প্যাঁচা না পুষলেও প্যাঁচা সংক্রান্ত দুটো গল্প নিয়েই এই লেখা।

Thursday, September 19, 2013

ফলকনামা -- নির্মাল্য

সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না প্রতুলের। গালভরা নাম হলে কি হবে, পাড়ায় আর পার্টি অফিসে
তিনি পুঁটু’দা নামেই বিখ্যাত। কলেজ থেকেই যখন রাজনীতি করছেন, তখনই প্রথম দেওয়াল লিখনে
নিজের নাম দেখে চমকে উঠেছিলেন। পুঁটুদা’কে এই চিহ্নে ভোট দিন। “ট” এর টিকি’র ওপর থেকে ধারালো কাস্তে উঁকি মারছে। সিনিয়র নেতাকে পুঁটু নামটা নিয়ে আপত্তি করতেই একসার লাল দাঁত (পার্টির নয়, পানের রঙ) বার করে হাসলেন ভদ্রলোক-

- আরে বাবা মানুষের কাছাকাছি থাকবে, বুঝলে পুঁটু?
- হ্যাঁ, তা তো আছিই, কিন্তু প্রতুল নামটা দিলে ভালো হত না কি?
- আরে বাবা, আচ্ছা বোকা ছেলে তো, ভুলে গেলে, আমাদের সর্বহারার মহান নেতা কমরেড কি বলেছেন? বলেছেন, ওসব বাহারি নাম নিয়ে বুর্জোয়ারা মাতামাতি করে। উই আর দ্য কমন পিপল... ইত্যাদি ইত্যাদি।

সর্বহারার মহান নেতার নাম দিয়ে নিজের বেশ কিছু ডায়ালগ চালিয়ে দিয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে সবার জন্য চায়ের অর্ডার দিয়ে পাঁচিলের ওপর বসলেন ভদ্রলোক। দাম মিটিয়ে বাড়ি ফেরার পথেও এই নাম নিয়ে প্রতুল চিন্তিত। চিন্তা ভাঙল বাপের প্রবল গালাগালি খেয়ে।
- হারামজাদা ছেলে, সারাদিন শুধু টো টো কোম্পানি হয়ে ঘুরে বেড়ানো। তোমার ঠ্যাং খোঁড়া করে ছাড়ব আমি।  দেশ উদ্ধার হচ্ছে, না? দাঁড়াও। কি হবে ওসব করে? নিজের নাম তো ডোবাবেই, সাথে আমারটাও।
উফ্‌, আবার সেই নাম নিয়ে খোঁটা। আচ্ছা মুশকিল তো। নাহ্‌, চুপচাপ থাকলে চলবে না।

Monday, September 16, 2013

'Chennai Express'ions_1 -- সুনন্দ


চেন্নাইতে আসা এক মাস হয়ে গেল। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, কাছাকাছি বাজার-হাট দেখে নেওয়া, কাজ করার ঘর, টেবিল আর কম্পিউটার পাওয়া সবই মোটামুটি হয়ে গেছে, বাকি বলতে একটা সাইকেল জোগাড় করা আর প্রথম চেকটা ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে আসা। দ্বিতীয়টা করতে গেলে প্রথমটা দরকার বলে দু’টোর কোনটাই করবো করবো করে আর করা হয়ে উঠছে না। তবু যাকে বলে সেট্‌ল্‌ করে গেছি। একটা নবীনবরণ গোছের অনুষ্ঠানও হয়ে গেছে। সোজা কথায় আমি এখন পাকাপোক্ত দক্ষিণ-ভারতের বাসিন্দা। কেমন আছি, কোথায় আছি, সেই নিয়ে নিয়মিত গল্প করবো বলেই লিখতে বসা। এর থেকে বেশি আর কোন মহৎ উদ্দেশ্য নেই।

রাতের শেষ প্রহরে ট্রেন থেকে নেমে কাজের জায়গায় আসতে গিয়েই পরিষ্কার বুঝলাম, কেন আসার আগে এত লোকে এত শোক পালন করছিল। সত্যি, শোক পালন! “যা, এবার সারাদিন কি করে দোসা-ইডলি খেয়ে কাটাস দেখি!” থেকে শুরু করে “আর যাওয়ার জায়গা পেলে না! ব্যাঙ্গালোর গেলেও বুঝতাম... চেন্নাই! খুব খাজা জায়গা ভাই, সত্যি বলছি” পর্যন্ত কত কিই না শুনলাম। যেন শখ করে জায়গা বেছেছি! ভারত সরকার কেন যে ট্যুরিস্ট-স্পটগুলোয় দেখে দেখে ইন্সটিটিউট বানায় না, হুঁহ্‌– যাক্‌, সে আর দুঃখ করে কি হবে। সব মিলিয়ে বেশ খানিকটা ভয় ছিলই, তার উপরে ভাষার অসুবিধে। ভাসা ভাসা জানা ছিল যে বহুদিন যাবৎ এখানে হিন্দির বিরুদ্ধে একরকম যুদ্ধ ঘোষণা হয়েছে – তাই কেউই ও ভাষায় কথা বলে না। জানলেও বলে না। সে ঠিক আছে। তাহলে বলেটা কি? নিশ্চয়ই ইংরেজি? তাহলেও তো অসুবিধে নেই- চালিয়ে নেবো। এইসব ভেবে দুগ্‌গা বলে বেরিয়ে পড়েছিলাম। পৌঁছে কি দেখলাম?

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই