যাকগে ছাড়ুন। এসব নিয়ে ফালতু টাইম ওয়েস্ট করে লাভ নেই। আপনারও অনেক কাজ আছে, আমার তো আছেই... তারচেয়ে বরং আসুন একটু আড্ডা মারা যাক। তবে হ্যাঁ, আগেই বলে রাখছি আমি কিন্তু ওই পেজ-থ্রি গসিপ টসিপ-এ নেই। ওসব আমি একদম টলারেট করতে পারিনা। কি বলছেন? টপিক? ধুউউউরর... আড্ডা দিতে বসে টপিক নিয়ে ভাবলে চলে!! যা মনে আসছে, তাই দিয়েই স্টার্ট করুন। কিচ্ছু মনে আসছে না? কিস্সু না! কে রে ভাই! আচ্ছা দাঁড়ান, আমি এট্টু ভেবে দেখি...
মিল গিয়া! আচ্ছা আপনি ছোটবেলায় কোন স্কুলে পড়তেন? না, মানে হোয়াট আই'ম ট্রাইং টু নো ইজ- ইংলিশ মিডিয়াম না বেঙ্গলি মিডিয়াম? আমি কিন্তু পাতি বেঙ্গলি মিডিয়াম। সিক্স-এ প্রথম ক্লাসে এ, বি, সি, ডি পড়ানো হয়েছিল। লার্নিং ইংলিশ, পাতলা করে বইটা ছিল... একদিনেই সব পড়ে ফেলেছিলাম। আসলে আমি বরাবরই ইংলিশে স্ট্রং। সব সময় হায়েস্ট না পেলেও বেস্ট ফাইভে থাকতাম। এখনো ক্লিয়ারলি মনে আছে, ইংরেজির জন্য একটা আলাদা কপি করেছিলাম। দ্যাট ওয়াজ মাই সিঙ্গেল কপি, যেটা ব্রাউন পেপারে মলাট দেওয়া ছিল। মলাটের ওপরে সাদা কাগজ হাফ সার্কেল করে কেটে, তার পেরিফেরি বরাবর লেখা ছিল "ইংলিশ ফেয়ার কপি ফর মিস্টার এস.এস.রে"। হাফ সার্কেল থেকে তিন আঙ্গুল নিচে আবার একটা কাগজ স্কোয়ার করে কেটে, তার ভেতরে লিখেছিলাম নেম, রোল নাম্বার, ক্লাস।
হ্যাঁ? কি? "এস.এস. রে " টা বুঝতে পারলেন না? ওহ! ওটা ছিল স্যারের নামের শর্ট ফর্ম। উনি ক্লাসে এসেই প্রথমে ডায়াসের ওপর স্ট্রেট হয়ে দাঁড়াতেন। ডিসিপ্লিনটা ভাবুন একবার! আমাদের দিকে ফেস করে বলতেন - "বয়েজ, স্ট্যান্ড স্ট্রেট - হ্যান্ডস ডাউন - চিনস আপ - কনসেনট্রেট"। তারপর, এক মিনিটের সাইলেন্স। এক মিনিট পর আমরা সবাই এক সাথে বলে উঠতাম - "থ্যাংক ইউ স্যার"। দেন এন্ড দেয়ার রিপ্লাই - "থ্যাঙ্ক ইউ বয়েজ"। সেই সময় থেকেই আমি এই ডিসিপ্লিনটা একুয়ার করে নিয়েছিলাম। এখনো ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়।
এই দেখুন, এতক্ষণ ধরে শুধু নিজের হোয়্যার এবাউট-ই দিয়ে যাচ্ছি। নাও ইউ টেল সামথিং... কোন মিডিয়াম? ইংলিশ নিশ্চয়? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছি। একটা কথা আপনি নিশ্চয় এগ্রি করবেন, ইংলিশ মিডিয়াম এর কিন্তু কেত টাই আলাদা। আপনাদের ড্রেস ট্রেস গুলো মাইরি হেব্বি দেখতে হতো... আমি তো আমার পাড়ার ইংলিশ-মিডিয়াম-ফ্রেন্ড গুলোকে, ফ্রম ভেরি চাইল্ডহুড এনভি করতাম। কি সব হাইফাই দেখতে ড্রেস পরে ওরা স্কুলবাস-এ উঠতো। তবে যাই বলুন আর তাই বলুন, আপনারা কিন্তু গ্রামার-এ বরাবরই খুব উইক। না না রাগ করবেন না প্লিজ। আসলে আমি না খুব স্ট্রেট ফরোয়ার্ড... সোজা কথাটা অন দি ফেস বলতেই পছন্দ করি। আপনি এট্টু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলেই ব্যাপারটা রিয়ালাইজ করবেন। মানে হোয়াট আই'ম ট্রাইং টু সে ইজ দিস - আপনারা যতটা স্পোকেন ইংলিশে স্ট্রেস দিতেন, ততটা কিন্তু গ্রামাটিক্যাল সাইডটায় দিতেন না। বরাবর আপনাদের শেখানো হয়েছে বলতে পারলেই কেল্লাফতে। গ্রামার ট্রামার কপচিয়ে লাভ নেই। আর ঠিক এইখানেই... অন দিস ভেরি পয়েন্ট আমার অব্জেকশান। আরে বাবা, সেন্টেন্সটাই যদি কারেক্ট ইংলিশে কন্সট্রাক্ট করতে না পারেন, তাহলে ওই রং ইংরেজি বলে কি লাভ? এই যেমন আমাদের স্কুলে স্যার ক্লাসে রেগুলারলি ভয়েস চেঞ্জ, ন্যারেশন, সামারি, প্রেসি প্রাকটিস করাতেন। এতে আমাদের বেস-টা, ফ্রম দা ভেরি বিগিনিং স্ট্রং হয়ে গেছিলো। তাই দেখুন, এই এতদিন পরেও আপনাদের মতো ইংলিশ মিডিয়াম-দের সাথে কি ফ্লুয়েন্টলি আড্ডা মারতে পারি। আসলে পুরো ব্যাপারটাই দাঁড়িয়ে আছে ওই বেস-টুকুর ওপর।
অনেককেই, ইন মাই স্কুল ডেজ, আমার পেরেন্টস-কে বলতে শুনেছি "ছেলেটাকে ইংলিশ মিডিয়াম-এ দিলেই পারতে। পরে ওর কোপআপ করতে প্রব্লেম হবে"। ওসব ঢপ... কিস্সু হয় না। সব থেকে বড়ো পয়েন্টটা কি জানেন? আমরা যারা পাতি বেঙ্গলি মিডিয়ামে পড়ে বড় হয়েছি, তারা কিন্তু দুটো ল্যাঙ্গুয়েজ-ই ইকোয়ালি জানি। কোনো প্রব্লেম-ই হয়নি... যত্তসব ট্র্যাশ, রাবিশ, গার্বেজ, বস্তাপচা আইডিয়া নিয়ে বসে আছে সব।
আরে! আরে! এই তো! আপনি আবার রেগে যাচ্ছেন... মনে মনে ভাবছেন, এতই যদি কনফিডেন্স, তাহলে আমি খামোখা আপনার সাথে এতক্ষণ ধরে বেঙ্গলিতে কনভার্সেশন চালাচ্ছি কেন?
হেহে... আপনি হয়তো নোটিস করেননি, আপনার সাথে কথা বলতে বলতেই আমি গুগুল করে জেনে নিয়েছি কালকে ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। আই মিন... ভাষা দিবস। সব কিছুই তো ওয়াচে রাখতে হয় তাই না? কালচার ফালচার বলেও তো একটা ব্যাপার আছে নাকি!