নাকের ঠিক নিচে আর ঠোঁটের ওপরে, যে অংশটাকে ইংরিজিতে ফিলট্রাম বলে, আর বাংলায় বলে ইয়ে
মানে যেখানে হিটলারের ওই বিখ্যাত গোঁফটা ছিল আর কি, সেখানে যে কবে থেকে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছিল, আমার কাছে তার খবর ছিল না।
ব্যাঙ্কে একটা একাউন্ট খোলার প্রয়োজনে পাসপোর্ট সাইজ ছবি তোলাতে
হল। সেই ছবিতে দেখি, ও বাবা! ইনি কে?? আমারই একখানা শাড়ি পরে,
আমারই চুলে বিনুনি বেঁধে যে ব্যক্তি আমার দিকে চেয়ে মিটিমিটি হাসছেন,
তাঁর নাকের নিচে একজোড়া খাসা গোঁফ।
বেজায় খাপ্পা হলাম ছবিতোলা লোকগুলোর ওপর...এই অতিরিক্ত
গোঁফজোড়া কোথা থেকে আমদানি করলেন মশাই?
ছবিওয়ালা আমার মেজাজ দেখে খানিকক্ষণ গুম। তারপর মোলাম কণ্ঠে বললেন, ‘ছবিতে চাপদাড়ি দিলে অতিরিক্ত বলতে পারতেন, কিন্তু গোঁফ তো আপনার নিজেরই দিদিমণি...স্টুডিওতে দেওয়াল জোড়া আয়না, নিজেই দেখে নিন না...আর যদি বলেন গোঁফ বাদ দিয়ে ছবি করতে, তাহলে পয়সা কিছু বেশি লাগবে, নাপিতের খরচাটা ধরতে হবে কিনা...’
বেজায় খাপ্পা হলাম ছবিতোলা লোকগুলোর ওপর...এই অতিরিক্ত
গোঁফজোড়া কোথা থেকে আমদানি করলেন মশাই?
ছবিওয়ালা আমার মেজাজ দেখে খানিকক্ষণ গুম। তারপর মোলাম কণ্ঠে বললেন, ‘ছবিতে চাপদাড়ি দিলে অতিরিক্ত বলতে পারতেন, কিন্তু গোঁফ তো আপনার নিজেরই দিদিমণি...স্টুডিওতে দেওয়াল জোড়া আয়না, নিজেই দেখে নিন না...আর যদি বলেন গোঁফ বাদ দিয়ে ছবি করতে, তাহলে পয়সা কিছু বেশি লাগবে, নাপিতের খরচাটা ধরতে হবে কিনা...’
খুব অভিমান হল জানেন... আমার এক পরমাত্মীয় দোলের ছুটিতে
এসেছিলেন আমাদের বাড়ি; চলে যাওয়ার সময় ওনার শেভিং ফোমটা
ফেলে গেছেন। সেই ফেলে যাওয়া তবে ভুলবশত নয়... ইচ্ছাকৃত
এবং ইঙ্গিতপূর্ণ!! ছি ছি ছি...
বোনকে ফোন করে বললাম ব্যাপারটা বিশদে। খুব পজিটিভ চিন্তা ভাবনা ওর। বলল, এ তো খুব ভাল হল রে...দু চার দানা চিঁড়ে মুড়ি ভাত, চিনি মাখা দুধের সর, এসব এখন গোঁফে করেই নিয়ে
যেতে পারবি। টিফিন বক্স বইবার ঝঞ্ঝাট নেই, হাতে করে খাওয়ার পরিশ্রম নেই...গ্রেট নিউজ দিদিভাই, কনগ্র্যাটস...
যে টিডিএইচ কেষ্টঠাকুরের প্রেমে পড়েছি, তাঁর ষোলোহাজার সখীর দলে আমিও একজন, এই ভেবে
বেশ গর্ব অনুভব করি। সেদিন
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে আদর ক’রে আমায় তাহলে গোপিনী বলেননি? গোঁফিনী বলেছিলেন?
বছরের পর বছর ‘মহেশ’ গল্প পড়াচ্ছি ক্লাসে। মহেশ-গফুর-আমিনা...কী
অদ্ভুত সম্পর্ক। এতবার পড়া ও পড়ানো, তবু কষ্ট হয় প্রতিবার। অথচ
ছলছলে চোখের বদলে ছাত্রীদের সকলেরই দেখি ঠোঁটের কোণে ঝিলমিলে হাসি। প্রথমে বুঝিনি, বুঝলাম পরের দিন। বোর্ডে দেখি চকখড়িতে লেখা, ‘আপনি গোঁফুর, আমি না’...
উপসংহার
নাজেহাল হয়ে এক ডাক্তার বন্ধুর কাছে গেছিলাম। গুম্ফ!! অট্টহাস্য করল ব্যাটাচ্ছেলে। বাড়িটাকে তাহলে বুদ্ধুগুম্ফা বানিয়ে ছাড়লি। নয়া টুরিস্ট স্পট...ভেরি গুড...যাব একদিন...মাখন দেওয়া চা আর মোমো খাওয়াবি তো? জয় মোমোতা...
নাজেহাল হয়ে এক ডাক্তার বন্ধুর কাছে গেছিলাম। গুম্ফ!! অট্টহাস্য করল ব্যাটাচ্ছেলে। বাড়িটাকে তাহলে বুদ্ধুগুম্ফা বানিয়ে ছাড়লি। নয়া টুরিস্ট স্পট...ভেরি গুড...যাব একদিন...মাখন দেওয়া চা আর মোমো খাওয়াবি তো? জয় মোমোতা...