মাঝেমধ্যে ভাবি, আমাকে কি টিকিধারী
গোলগাল নধরকান্তি পণ্ডিতদের মতো দেখতে? কই, আয়না
তো সে কথা বলে না! তাহলে জনতা আমাকেই কেন পাকড়াও করে তাদের নবজাতক/জাতিকাদের নামকরণের জন্য?? অকৃতজ্ঞের দল, নামকরণের পর অন্নপ্রাশন বলেও একটা ব্যাপার থাকে, কই তখন তো তোদের আমার কথা মনে পড়েনা!! নামকরণ বিষয়ে হিমানীশ গোস্বামীর রীতিমতো গবেষণা পত্র আছে, ‘হেডিং লেখা সহজ নয়’...তা ওনাকে গিয়ে ধর না, মানে, ওনার কাছেই ধর্ণা দে কিংবা গুরুদেবকে প্ল্যানচেট করে ডেকে আন...
তো সে কথা বলে না! তাহলে জনতা আমাকেই কেন পাকড়াও করে তাদের নবজাতক/জাতিকাদের নামকরণের জন্য?? অকৃতজ্ঞের দল, নামকরণের পর অন্নপ্রাশন বলেও একটা ব্যাপার থাকে, কই তখন তো তোদের আমার কথা মনে পড়েনা!! নামকরণ বিষয়ে হিমানীশ গোস্বামীর রীতিমতো গবেষণা পত্র আছে, ‘হেডিং লেখা সহজ নয়’...তা ওনাকে গিয়ে ধর না, মানে, ওনার কাছেই ধর্ণা দে কিংবা গুরুদেবকে প্ল্যানচেট করে ডেকে আন...
সুধী পাঠক, ভাববেন না যে আমি
অকারণে এত
অভিযোগ করছি। এত কথার পেছনে
যুক্তিগ্রাহ্য
কারণ (বারি না মেশানো) আছে...
আমার মাস্তুতো বোন মালবিকা গাঙ্গুলির (আমরা লিলি বলে ডাকি) খোকা হয়েছে। সেই খোকা ও তার মাকে দেখতে যেতেই লিলি ঘ্যানঘেনে সুরে বলল, ‘আমার ছেলেটার একটা গালভরা নাম দে না দিদিভাই’ ...
আমি অবাক হই লিলির আবদারে, লিলির খোকা লিলিপুট, এই তো জানি। তার আবার গালভরা নাম? গালিভারের মতো? একটু বেশি বাড়াবাড়ি নয়?
লিলি অসন্তুষ্ট হয়। ‘ আমি চাই অ কিংবা ম দিয়ে নাম শুরু হোক। হয় অপরেশের অ কিংবা আমার মালবিকার ম’।
হুমম...আমি চিন্তিত মুখে বলি...তাহলে অপোগণ্ড রাখতে পারিস, কিংবা মালবিকার ছেলে মাল-পো। খুবই সার্থক নাম।
‘তোর শুধু খাইখাই বাই দিদিভাই। ছেলে দেখতে এসেই তুই পো-লাও বলেছিস, মালপোর চেয়ে আর কি ভাল নাম দিতে পারতিস তুই?’ লিলি ঠোঁট ফোলায়।
যাব্বাবা, অপোগণ্ড আবার কোন খাবার? রাগিস কেন খামোখা? তাহলে অঙ্গুরীমাল রাখ। অ দিয়ে শুরু, মাল দিয়ে শেষ। আর এখন তোর খোকাকে তো কেঁচোর মতোই দেখাচ্ছে। তবে চিন্তা করিস না, বড় হতে দে, কেউটে বা কেউকেটা কিছু একটা হবেই।
বিক্ষুব্ধ লিলি দুর্বল শরীরে একলা আমার সাথে এঁটে ওঠেনা। সমর্থনের আশায় ‘অপ—রে—শ, অপ—রে—শ’ বলে চেঁচিয়ে ডাকে। ভদ্রলোক আসেন, প্রস্তাবগুলি শোনেন, তারপর তাঁর অধ্যাপকোচিত সুললিত কণ্ঠে রোমিও এণ্ড জুলিয়েট থেকে ‘ ও বি সাম আদার নেম! হোয়াট’স ইন আ নেম’—আবৃত্তি করতে থাকেন।
কি জ্বালা ভাবুন দেখি!! তোরা তোদের খোকার আদার নেম নিয়ে ভাব বাপু, আমি আদার ব্যাপারী, ইংরিজি শুনেই ততক্ষণে সারা গায়ে লাল লাল চাকা চাকা কি সব বেরুতে শুরু করেছে। লোক জানাজানি হলে তো কেলেঙ্কারি। রেওয়াজি দক্ষতায় লিলির চুলে বিলি কেটে দিয়ে, লিলিপুটকে চুমু বিলিয়ে, অপরেশকে বিলিতি কায়দায় বিদায় জানিয়ে মানে মানে সরে পড়ি।
কারণ (বারি না মেশানো) আছে...
আমার মাস্তুতো বোন মালবিকা গাঙ্গুলির (আমরা লিলি বলে ডাকি) খোকা হয়েছে। সেই খোকা ও তার মাকে দেখতে যেতেই লিলি ঘ্যানঘেনে সুরে বলল, ‘আমার ছেলেটার একটা গালভরা নাম দে না দিদিভাই’ ...
আমি অবাক হই লিলির আবদারে, লিলির খোকা লিলিপুট, এই তো জানি। তার আবার গালভরা নাম? গালিভারের মতো? একটু বেশি বাড়াবাড়ি নয়?
লিলি অসন্তুষ্ট হয়। ‘ আমি চাই অ কিংবা ম দিয়ে নাম শুরু হোক। হয় অপরেশের অ কিংবা আমার মালবিকার ম’।
হুমম...আমি চিন্তিত মুখে বলি...তাহলে অপোগণ্ড রাখতে পারিস, কিংবা মালবিকার ছেলে মাল-পো। খুবই সার্থক নাম।
‘তোর শুধু খাইখাই বাই দিদিভাই। ছেলে দেখতে এসেই তুই পো-লাও বলেছিস, মালপোর চেয়ে আর কি ভাল নাম দিতে পারতিস তুই?’ লিলি ঠোঁট ফোলায়।
যাব্বাবা, অপোগণ্ড আবার কোন খাবার? রাগিস কেন খামোখা? তাহলে অঙ্গুরীমাল রাখ। অ দিয়ে শুরু, মাল দিয়ে শেষ। আর এখন তোর খোকাকে তো কেঁচোর মতোই দেখাচ্ছে। তবে চিন্তা করিস না, বড় হতে দে, কেউটে বা কেউকেটা কিছু একটা হবেই।
বিক্ষুব্ধ লিলি দুর্বল শরীরে একলা আমার সাথে এঁটে ওঠেনা। সমর্থনের আশায় ‘অপ—রে—শ, অপ—রে—শ’ বলে চেঁচিয়ে ডাকে। ভদ্রলোক আসেন, প্রস্তাবগুলি শোনেন, তারপর তাঁর অধ্যাপকোচিত সুললিত কণ্ঠে রোমিও এণ্ড জুলিয়েট থেকে ‘ ও বি সাম আদার নেম! হোয়াট’স ইন আ নেম’—আবৃত্তি করতে থাকেন।
কি জ্বালা ভাবুন দেখি!! তোরা তোদের খোকার আদার নেম নিয়ে ভাব বাপু, আমি আদার ব্যাপারী, ইংরিজি শুনেই ততক্ষণে সারা গায়ে লাল লাল চাকা চাকা কি সব বেরুতে শুরু করেছে। লোক জানাজানি হলে তো কেলেঙ্কারি। রেওয়াজি দক্ষতায় লিলির চুলে বিলি কেটে দিয়ে, লিলিপুটকে চুমু বিলিয়ে, অপরেশকে বিলিতি কায়দায় বিদায় জানিয়ে মানে মানে সরে পড়ি।