ইস্কাপনের বিবির এখন তিনটে
সাহেব
তুরুপ নাকি বিরূপ তারা কেউ
জানেনা
ভাদ্রমাসে সব কুকুরই
মুক্ত-মনা।
ভাদ্র গেলো, চৈত্র এলো, ভরসা নিয়ে
এলাহী সেই বোঝার ভারে
কেউটে- বোড়া
এক বাটিতেই মাংস খেলো, দুধ মাখিয়ে-
মাথার ওপর দুলছে
কাস্তে-ফুলের তোড়া।
আম থেকে ফুল, সবার মুকুল ঝড়েই ওড়ে
রসিকতায় রুগ্ন যখন
কালবোশেখী,
‘আলোকপ্রিয়’,
মদন-বাণে সত্য পোড়ে
বিবির তালে বঙ্গ নাচে, আমরা দেখি।
বস্তি গেলেই স্বস্তি এসে
উদার করে
মধ্যবিত্তে বন্দী মনের
অন্ধ কুয়ো,
‘দেওয়াল’-
জোড়া বিপ্লবে ঠিক হিল্লে হবে
তুমি কেবল ইঁদুর টিপে অংশ
নিও-
হাড় শুকোলো জন্ম জন্ম হাড়
দুলিয়ে
যেমন চাকরি- খুড়োর কলে
মাইনে দোলে,
লেজ না থাকলে কুত্তার আছে
কিই বা বলো?
‘দেওয়াল’-
জোড়া পেচ্ছাপই তার পল্লীগীতি।
ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না, কিচ্ছুটি আর ভাল্লাগে না,
থাবড়ে দিতে ইচ্ছে করে, জলবিছুটি
ঘষেই দিতে ইচ্ছে করে; ইচ্ছে করে
যা ইচ্ছে তাই খিস্তি করি, খেলনাবাটি
উলটে-পালটে তাল পাকাতে
ইচ্ছে করে;
দু’কান কাটা কুকুর হয়ে ঘুরছি
দেখো
মাস্টার থেকে ছাত্র সবাই
দেশদ্রোহী-
কার্টুন ছেড়ে এবার বরং
ব্যানার আঁকো
লাশ ফেল্লেও মিলবে তোমার
তল্পি-বাহী-
কি নির্লজ্জ! কি নির্লজ্জ!
একবারটি
মুখ ফুটে তোর একটিবারও বের
হলো না
ক্ষমা চাওয়া মাথায় থাকুক, দুঃখপ্রকাশ?
তোকে নারীর দলে ফেলতে গিয়ে
বং-ললনা
লজ্জা পাচ্ছে, পাচ্ছি যেমন আমরা সবাই
তাসের বিবির ছলা-কলায়
মুগ্ধ হয়ে
সম্মোহিত পাঁঠার মতো হলাম
জবাই
এবার যে কি প্রসাদ দিতে বসবে
ভিয়েন
সে সব প্রমাদ কেউ গোনেনা, দরকার কি?
এর আগেই বা কত্তটুকুন
ছিলাম ভালো?
মানুষ মেরে রক্ত মোছার সে
বুজরুকি
সবাই জানে। দক্ষিণাকাশ
ভীষণ কালো
ঠিক যতটা কালচে থাকে উত্তর
দিক
লাল যা কিছু বিপ্লব ভেবে
ভুল করেছি
তিরিশ বছর মাপতে যাইনি কি
ভুল কি ঠিক
সে পাপ এখন গ্রেপ্তার হয়ে
শোধ করছি
নির্বোধের এই শাস্তি নিলাম
মাথায় পেতে
দল-বেদলের যুদ্ধে এবার যে
চায় জিতুক
আমরা জানি ঘুমিয়ে নিতে আর
ঝিমোতে
গর্দান চাও? কল্লা নামাও, রক্ত ছিটুক।