বুড়ো আঙুল কেটে ফেলার পর কি হল একলব্য?
নিজের মুখে সবটা বল। কাব্যগাথায় যে যাই বলুক
তোমার তো আর ঠিক সে রকম ভদ্র কিম্বা সভ্যভব্য
সাজার কোনও দায় ছিলনা। তুমি নেহাত পতঙ্গভুক
সাজার কোনও দায় ছিলনা। তুমি নেহাত পতঙ্গভুক
অসংস্কৃত ব্যাধের ছেলে। মজার কথা তুমি নিষাদ
অস্ত্রশালায় না ঢুকলেও, অস্ত্র চেনো। সেই মহাভুল
ধরল ওরা। ধরল বলেই বুঝিয়ে দিল বাঁচার কি স্বাদ।
কাব্য মানে মিথ্যাকথন। কেউ কী নিজের বুড়ো আঙুল
অবলীলায় কাটতে পারে? নাই বা পারুক। ভয় কী তাতে?
কৌরব আর পাণ্ডবেরা, পারবে সেটা ... গুরুর কসম।
বেয়াদবির শিক্ষা দেবে। মেধার শক্তি ওদের হাতে।
বন্যপশুর সঙ্গে তোমার ভেদ ছিলনা কোনও রকম।
ওদের গুরু সাক্ষী দিল ... দিতেও থাকবে যুগযুগান্ত!
তখন তুমি কী করলে হে, একলব্য? থাকলে শান্ত?
নাকি আবার অন্তরালে নতুন কোনও চাঁদমারিতে
মনভোলানো প্রতারণার মোহনমূর্তি তৈরি করে
নতুনরকম অস্ত্রশিক্ষা করতে থাকলে বাকি জীবন
নিজেই নিজের অস্ত্র হয়ে বিঁধলে এবং চুপসে দিলে।
নিষাদছেলের বুড়ো আঙ্গুল আদৌ যে নয় সহজলভ্য
ক্ষমতাবান রাজন্যদের বুঝিয়ে দিলে একলব্য?