Thursday, January 31, 2013
দূরদেশী সেই স্বর্ণপদক (২) -- সুনন্দ
লুইজিয়ানার দক্ষিণে নিচু জলা-জংলা bayou অঞ্চল, আমাদের দেশে অনেকসময় যাকে ব্যাক-ওয়াটার-ও বলে।
স্থানীয় বাসিন্দা Dwight Henry, একজন বেকারির
মালিক। নিউ ইয়র্ক থেকে এক সিনেমার দল এসেছে শহরে। অভিনেতার খোঁজে তারা চতুর্দিকে বিজ্ঞাপন
ঝুলিয়েছে। লোকগুলো, তাদের মধ্যে চিত্রনাট্যকার/পরিচালক Benh Zeitlin ও আছেন- দিবারাত্র
তাঁর দোকানেই খায়-দায়, অডিশনের গল্প করে। বেশ কিছুদিন এই উদ্ভট লোকগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ
করে আর হবু পরিচালক বেনের অনুরোধ ফেলতে না পেরে হেনরির মনে হলো, একবার দেখাই যাক না,
কি হয় অডিশনে? দিয়ে এলেন অডিশন। ঠিক দু’দিন পরে, অবস্থা-গতিকে তিনি দোকান পালটে অন্য
জায়গায় নিয়ে গেলেন, ব্যবসা বড় করবেন বলে।
নির্ধারিত সময়ে, সব প্রার্থীর মধ্য থেকে তাঁকেই বেছে পছন্দ করে
ফেললো বেন-এর দলবল। তাঁকে সে খবর জানাতে গিয়ে দেখা গেল- দোকান উধাও, সঙ্গে হেনরিও।
তন্নতন্ন করে খুঁজেও আর হেনরির কোন পাত্তা পাওয়া গেলো না। এদিকে
Monday, January 28, 2013
দূরদেশী সেই স্বর্ণপদক (১) -- সুনন্দ
এই এক নতুন উপদ্রব হয়েছে। যে দিন থেকে বাঙালি মধ্যবিত্ত নিজেকে আর “দরিদ্র” ঘোষণা করতে ভয় পায় না, যখন থেকে সে
নিজেকে আন্তর্জালের “খরস্রোতে” ভাসিয়ে দিতে শিখেছে- তখন থেকেই এই বাৎসরিক বাসন্তী
উৎসবে যোগ দেওয়াটাকে সে পাড়ার পুজোয় তুবড়ি- কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করার মতোই নিজের
অধিকার বলে ভাবতে শুরু করেছে। হোক না সে উৎসব সাত-সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে,
নিন্দুকে আর ক্রিটিকে মিলে যতই বলুক না কেন যে, ‘ও সব পয়সাওয়ালা শিশুদের গড়াপেটা
ম্যাচ’, উদ্যোক্তারা ভাবুক না তাকে সেখানে অবাঞ্ছিত- তবু বাঙালি দেখবেই দেখবে, কে
পেলো, ক’টা পেলো এবারের অস্কার।
Friday, January 25, 2013
Honey, I Shrunk the Pics! (2) -- Saikat
"ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়" – কথাটা যে কোনো
ধরনের ফোটোগ্রাফির ক্ষেত্রে
সত্যি। যেমন ধরুন
ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি, মানে খুব ছোটো
জিনিসকে বড় করে
দেখানো। এই ধরনের
ফোটোগ্রাফিতে যে সব
instrument লাগে সেগুলোর
দাম খুব বেশি।
ম্যাক্রো-নিবেদিত
প্রাণ লেন্স, একটা উদাহরণ দিচ্ছি
- AF-S
VR Micro-NIKKOR 105mm f/2.8G IF-ED। এর
দাম ৫৪৪৫০/- টাকা।
সুতরাং বেশির ভাগ শখের ফোটো-তুলিয়েদের পক্ষে এই ধরনের ছবি তোলাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। উপায়ান্তর আছে। খুব কম খরচে কি করে ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যায়, সেটার একটা রাস্তা (অন্য অনেক সম্ভাব্য উপায় আছে) আমি আজ বলছি।
প্রথমেই বলি কি কি লাগবে:-
সুতরাং বেশির ভাগ শখের ফোটো-তুলিয়েদের পক্ষে এই ধরনের ছবি তোলাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। উপায়ান্তর আছে। খুব কম খরচে কি করে ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যায়, সেটার একটা রাস্তা (অন্য অনেক সম্ভাব্য উপায় আছে) আমি আজ বলছি।
প্রথমেই বলি কি কি লাগবে:-
Labels: photography, Saikat, আলো-ছায়া-ছবি
রুজি -- কুণাল
অমলকান্তি জয়েন করেছিল “মিঠে রোদ” হিসেবে।
জুনিয়র-মোস্ট পজিশন। কিন্তু তখন কাজে আনন্দ পেত। লোকজন তার দেখা পাওয়ার জন্যে
সারাদিন অপেক্ষা করতো। তাকে দেখতে পেলেই তাদের মুখে হাসি ফুটতো। তাকে আদর করে ডাকত
“রোদ্দুর” বলে।
কিন্তু এখন অমলকান্তি প্রমোশন পেয়ে “চড়া রোদ”-এ
উন্নীত হয়েছে। আর তাকে সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয়না। গ্রীষ্মকালেই
যা একটু ইন্সপেকশন ডিউটি পড়ে। বাকি সময়টা মেন-অফিসে নিজের জন্যে তেজ, উত্তাপ, আলো
সংগ্রহ করেই কাটাতে হয়। এসব করতেই হবে, নাহলে যে অফিসের কলিগদের কাছে পিছিয়ে পড়তে
হবে। অমলকান্তি বুঝতে পারে তার দায়িত্ব যেমন বেড়েছে, দূরত্ব বেড়েছে ততোধিক।
লোকজনের ভালবাসায় ভাটা পড়েছে। আর তাকে দেখে কেউ হাসে না, বরং তাড়াতাড়ি মুখ লুকোয়।
তার সংস্পর্শ সবাই এড়িয়ে চলতে চায়।
Tuesday, January 22, 2013
ফুটপাথের গন্ধভার ও পুরনো বইয়ের কিস্যা -- সুশোভন
যে রাস্তাটা মির্জাপুর থেকে
সোজা চলে গেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে, ফুটপাথ জুড়ে সারি সারি বিন্যস্ত প্রচ্ছদ ও পুরনো গন্ধভারে আক্রান্ত।
কলকাতার ফুটপাথে স্বনামধন্য
বা উদীয়মান লেখকদের আজও কোনোদিন হাত পেতে বসতে হয়নি যেমনটা বিদেশের ফুটপাথে গায়ক, লেখক থেকে অভিনেতাদের হয়। তবে এই শহরে লেখকদের
বই বহুদিন আগে থেকেই ফুটপাথে এসে গলাগলি করে দাঁড়িয়েছে।
সেখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
মানেনি কোনও পক্ষপাতিত্ব ধার ধারেনি। এবং তারা ফুটপাথে এসে দাঁড়িয়ে লেখকদের আসার
পথ সুগম করেছে। বই এসেছে অথচ লেখক আসেননি এটা নেহাতই ভাগ্যের কথা বটে।
ফুটপাথের এপাশে প্রকাশক আর
ওই পাশে প্রকাশিত বইয়ের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি কলেজ স্ট্রীটে যেরকম দেখা যায়, এরকম আর কোথাও দেখা যায় কিনা সন্দেহ।
মধু কবি বলেছিলেন ‘জন্মিলে মরিতে হবে/অমর কে কোথা
কবে!
ঠিক তেমনই লিখলেই একদিন সেই
বই ফুটপাথে আসবেই। ব্যাপারটা একটা বৈজ্ঞানিক নিয়মের মতোই ক্রমে এমন অকাট্য হয়ে
উঠেছে যে, অনেক ‘বইপাগল’- কেও এই নিয়ম অনুযায়ী বই সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
কলকাতা শহরে যে কয়েক শ্রেণীর ‘উন্মাদ’ বা ‘বাতিকগ্রস্ত’ লোক আছেন তার মধ্যে বইপাগলরা অন্যতম। ফুটপাথের
বইয়ের প্রধান ক্রেতা তাঁরাই। সমস্ত কলকাতা শহরের অলি গলি, রাস্তা ঘাট তাঁরা চষে বেড়ান। ফুটপাথের বইয়ের
সমস্ত ‘সেন্টার’ তাঁদের নখদর্পণে। সিনেমা, থিয়েটার বা কোনও আড্ডাতে তাঁরা যান না, যাওয়ার সময় ও নেই , মাথার মধ্যে সব সময় ফুটপাথের বই ঘুরছে। এবং তার
সন্ধানে তাঁরা অবসর সময়টুকু দূরে দূরে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
Labels: (অ)সংস্কৃতি, সুশোভন
Thursday, January 17, 2013
Honey, I Shrunk the Pics! (1) -- Saikat
নিচের ছবিগুলো macro photography র একটি লম্বা সিরিজের প্রথমাংশ। ছবিগুলো তুলতে ব্যবহার
করা হয়েছে Nikon D3100 ক্যামেরা, ১৮-৫৫ মি.মি. কিট লেন্স(reverse ring সহ), ঘরে বানানো diffuser (কোনও external flash ব্যবহার
করা হয়নি) আর tripod।
ক্যামেরা, লেন্স আর
ট্রাইপড তো আজকাল যে কোন শখের ফটোগ্রাফারের কাছেই থাকে। এ ছাড়া macro ছবি তুলতে আর যা লাগে, তার খরচ মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। ডিফিউসারটা
হাতে তৈরি, তাই ফ্রি!
Labels: photography, Saikat, আলো-ছায়া-ছবি
অসতর্ক -- অরুণাচল
যে কোনও দিব্যি
দিতে বলো ... দেব
তোমাকে আগলে
রেখেছিলাম আমার সমস্ত আমিটুকু দিয়ে
ঘরের চার
দেয়াল সাক্ষী ... দেয়ালে ঝোলানো ছবি আর
তাদের ঢেকে
রাখা টিকটিকিরা সাক্ষী
গ্রিলের জানলা
দিয়ে উঁকি মারা রুগ্ন ফুল্ল লতা, তার পাশের একচিলতে আকাশও সাক্ষী
অক্ষরে অক্ষরে
যা যা বলেছিলে,
যাতে ঝাঁকুনি
না লাগে, যাতে রোদ না লাগে,
যেন ধারে
কাছে না আসে নোংরা লালার মাকড়সা, দুশ্চিন্তার ধুলোবালি,
গোপন মরণের
ঘুণপোকা,
সব মেনেছি
তোমার পাঠানো
সত্যি মিথ্যে সমস্ত বাধা নিষেধ
এখনও সেভাবেই
শুধু মাঝে
একদিন ... ঘর পাল্টানোর শেষ সময়ে
অজান্তে হাত
ফস্কে মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলে ভালবাসা,
তোমাকে বলিনি ...Monday, January 14, 2013
নামো -- সুনন্দ
উদ্ভ্রান্ত জামার হাতায় কালিঝুলি মেখে বসে থেকো
না জানালার সিটে।
লেকের কিনার ঘেঁষে, বাঁকা নারকেল সার
নীলচে রুপোলি জলে একছবি আকাশের ফালি-
তাকিয়ে থেকো না তার উঁচু-নিচু মাপতে আবার
নামতে যখন হবে, কেন আর মিছেমিছি গড়িমসি বলো?
এ তো আর মহাকাশ-গামী কোন যান-টান নয়
নেহাত ভিখিরি কিছু চাকুরের বাস
কনুই-পেটের কিছু মৃদুমন্দ কথন
ঘামে চুপচুপে কিছু অন্তর্বাস
স্টপ স্টপে কিছু ক্লান্ত যাপন
নেমে পড়ো- ধুলো মেখে, হাওয়ায় উড়িয়ে দাও
টুকরো টিকিট আর বাকি যত খুশকির গ্লানি
নেমে যাও- দ্বিধাহীন, শহরতলিরও নীচে
যেখানে ত্রিসন্ধে চলে অকাতর জীবন-দালালি
নেমে এসো। এ শহরে সকলেই আকাশ দেখেছে, কেউ
উঠতে পারেনি।
মেয়ে-জ্বালানো -- দিদিমণি
আমাদের
দেশের হিন্দি ছবির অসংখ্য গানের মুখ্য উপজীব্য হচ্ছে ইভ-টিজিং। নায়ক ও তার সঙ্গীরা
হেঁটে, সাইকেলে, বাইকে, চার-চাকায় এমনকি হেলিকপ্টারে করেও নায়িকাকে তাড়া করে
যতক্ষণ না সে প্রেম-প্রস্তাবে সম্মতি জানাচ্ছে। তাতে নায়িকা বিরক্ত, ক্রুদ্ধ, ভীত,
যাইহোক না কেন নায়ক ও তার সাগরেদরা দমছে না। সিনেমায় এসব দেখতে মানুষের বোধহয় ভালই
লাগে। জীবন, কেরিয়ার, চাকরি- এ সবের পিছনে না দৌড়ে একটা বা একাধিক মেয়ের পিছনে
ধাওয়া করা, বিয়ে না করে একসাথে থাকার থেকেও বেশি সামাজিক স্বীকৃতি আদায় করে। দেশের
রাস্তাঘাটেও দৃশ্যটা প্রায়ই নজরে আসে। হেঁটে, রিক্সায় বা সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে
একটি মেয়ে- আর তার পেছনে পেছনে follow করে চলেছে কয়েকটি ছেলে। তারা নিজেদের মধ্যে মেয়েটিকে
উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কথা বলছে, গান গাইছে ও অঙ্গভঙ্গি করছে। যদি মেয়েটি একা থাকে বা দু-একজন সঙ্গীর
সাথে থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই।
একটি
মেয়ে হাইস্কুলে সিক্স থেকে সেভেনে উঠতে উঠতেই তার স্কুল, কোচিং, নাচ বা গানের
ক্লাসের যাওয়া আসার পথে কিছু রোড-সাইড রোমিওর পাল্লায় পড়ে। খু-উ-ব কম মেয়ে আছে
যাদের এই অভিজ্ঞতা নেই। গ্রাম, ছোটো শহর, বড় শহর- সম্ভবত এমন কোনও জায়গা নেই
যেখানকার মেয়েরা এই ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিফ-হাল নয়। আমার আবছা আবছা মনে আছে প্রথম
কবে ছেলেরা আমার পিছু নিয়েছিলো। সত্যি বলছি, একদম প্রথম অভিজ্ঞতার কথা ভালো মনে
নেই। তবে যতদূর মনে পড়ে, খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয় ক্লাস সেভেনে পড়তাম। যারা ফলো
করেছিলো তারা সংখ্যায় প্রায় তিন-চার জন ছিল।
Labels: দিদিমণি, দেশ-রাগ ভয় ক্রোধ
Friday, January 11, 2013
ব্যবচ্ছিন্ন -- আগন্তুক
১
পদ্মার দেশে জন্ম। জলের মতই
চঞ্চল ছিল ছোটবেলাটা। ঠাকুমা প্রবল ছোঁয়াছুঁয়ির বাতিক নিয়ে রাঁধছেন গোকুলপিঠে, একরত্তি মেয়েটা স্নান না করেই বাম হাতে পিঠে
তৈরির খানিকটা পুর তুলে নিয়ে মুখে পুরে দিল। অতখানি পুর সম্পূর্ণ সকড়ি হয়ে যেতে
ঠাকুমা উনুনের আধনেভা একটা কাঠ ছুঁড়ে দিল যমুনার দিকে। দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতো পাশ
কাটিয়ে সেটা আবার ঠাকুমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে হাঁটুর ওপর শাড়ি তুলে চোঁ-চাঁ দৌড়।
বাবারে-মারে, মেরে ফেললো রে, দস্যি-অলক্ষ্মী- কোন গালই কানে নেওয়ার সময় নেই
তার। বাবা ফিরে এসেছে যে বন্দুক নিয়ে! জমির খালপারে বাঘ তাড়াতে গেছিল যে বাবা।
বাবা- কটা বাঘ ছিল? মারমুখী মা’র হাত থেকে যমুনাকে বাঁচিয়ে কাছারি বাড়িতে
তামাক খেতে যাওয়ার সময় মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে গেল বাবা। আলম, বাড়ির আধবয়সী চাকরের কোলে করে তেঁতুল চুষে চুষে
খেতে যাওয়ার সময় মেয়েটা জেনে নেয় আজ দুপুরে মোরলা মাছ ভেজেছে কিনা, বুড়ি রাক্ষসী (ঠাকুমা) জেগে আছে কিনা তখনও। বোন
হাসি তার গোয়ালে লুকিয়ে রাখা মাটির চৈতন্যদেব আর ছাগলের পুতুলে হাত দিয়েছে কিনা।
নিশ্চিন্ত হয় বাড়ি নিঝুম দেখে। খাওয়ার খাইয়ে দেয় আলম। ঠাকুমা আলমের হাতে কিছু খেতে
বারণ করেছে বহুবার। কই মা তো কিছু বলে না। আলমটা কত ভাল। বুড়িটার বেশি বেশি। বুড়ি
মরে না কেন!
বুড়ি মরলো।
Tuesday, January 8, 2013
শিরে-সংক্রান্তি -- নির্মাল্য
বড়দিনের কেককে দু’শো শতাংশ চ্যালেঞ্জ
জানানো এই অমৃত পদটির নাম পিঠে। বাঙালির একান্ত নিজস্ব সৃষ্টি। মূলত দু’রকম
ভাবে এটি খাইয়ে আসছেন মা-ঠাকুমারা। দুধে সেদ্ধ করে বা সেরায় ডুবিয়ে। আর এই পিঠে
তৈরির হরেক প্রণালীর পেছনে সমান্তরালে রান্না হয়ে চলে হাজারো রীতিনীতি ও সংস্কার।
প্রথম বিজয়ী ও জনপ্রিয়তম প্রতিনিধি হলো পুলিপিঠে। চালের গুঁড়ো, ময়দা একটু সুজি দিয়ে
বস্তুটির খোলস তৈরি হয়। এই চালের গুঁড়ো নির্বাচনেও বঙ্গগিন্নি careful. সিদ্ধ
চালের গুঁড়ো ব্যবহারে নরম পিঠে ও আতপ গুঁড়ো থেকে একটু শক্ত পিঠে- প্রয়োজন ও রুচি
অনুযায়ী বেছে নেওয়া হয়। পুর তৈরি হয় দু’ভাবে- নারকোল কোরা ও আঁখি
গুড় পাক দিয়ে বা নারকোল কোরা ও ক্ষীর জ্বাল দিয়ে। খোলসের ভেতরে ঐ উপাদেয় পুরটি
পুরে দিয়ে পটলের মত আকারের পিঠে রান্নার জন্য প্রস্তুত- প্রেমিকার পটলচেরা চোখের
চাইতে বহুগুণে বেশি আকর্ষণীয় (আসলে প্রথম ক্ষেত্রে ঐ চোখের চোখরাঙানীও সহ্য করতে
হয় কিনা!)।
Labels: (অ)সংস্কৃতি, নির্মাল্, হেঁশেল
Wednesday, January 2, 2013
ছোট্ট দেশ-লাক্সেমবার্গ -- অভীক
অভিজিৎ বললো “আরিব্বাস, ওই দেখো একটা পাথরের ব্রিজ, ওই দিকে চলো।” লাফাতে লাফাতে দু’জনে চললাম সেই দিকে, ব্রিজের সামনে গিয়ে পুরো হাঁ হয়ে গেলাম।
আকারে কলকাতার থেকে একটু বড়, কিন্তু এটাই হলো গোটা
একটা দেশ, লাক্সেমবার্গ। বেনেলাক্স বলতে যে তিনটি দেশ বোঝায় তার (BENELUX) শেষের
অক্ষরগুলোই লাক্সেমবার্গ – বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড আর লাক্সেমবার্গ। বেলজিয়াম,
জার্মানি আর ফ্রান্স দিয়ে ঘেরা ছোট্ট একটা দেশ, কিন্তু এরই পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ GDP (PPP) per capita, মানে এক কথায় বেশ ধনী দেশ।
আমি আর অভিজিৎ, লাক্সেমবার্গ ষ্টেশনে নেমে দু’জনে
হাঁটতে হাঁটতে চলেছি, এমনিতে ছোটখাটো একটা শহর, গাছপালার ফাঁক দিয়ে দূরে একটা
ব্রিজ দেখে সেই দিকে যাচ্ছিলাম, সামনে পৌঁছে সত্যি অবাক হয়ে গেলাম। কয়েক মুহূর্তের
জন্য মনে হলো আধুনিক সভ্যতা থেকে বেশ কয়েকশো বছর পিছিয়ে এসেছি। আর্চওয়ালা বড় বড় সব
পাথরের ব্রিজ যোগ করছে প্রাচীন শহরের সঙ্গে আধুনিক শহর, কিছুটা পরপর একটা করে,
নীচে সবুজ উপত্যকা।
Labels: অভীক, নয়ন মেলে...
New Plymouth -- Chayan
A sleepy district in the
North Island of New Zealand, New Plymouth is an
eclectic mix of diverse cultures, contemporary style and a traditional
friendliness that has fashioned New Zealand since old times. With the waves of
Tasman Sea kissing the black-sand beaches on one side and the snow-capped peaks
of Mt.Taranaki (Mt.Egmont) standing tall at the other, New Plymouth offers
scenic beauty that leaves you spellbound. The coastal walkway is an 11km path that forms an expansive sea-edge promenade
stretching almost the entire length of New Plymouth. For a little bit of peace
and solitude, Pukekura Park in central New Plymouth is a stunning example of an
urban space developed over decades into a national icon. Add that to the
numerous river walkways that exhibit a variety of native and exotic flora and a
myriad of other ‘tucked away’ spots for a period of quiet contemplation. In
fact, the district boasts 16 parks and reserves, with 13 official beaches, 60km of walkways
and includes many unique tourist attractions that make the place ‘like no
other’. So, if you want to be awake every morning and live a dream, New
Plymouth is the place to be.
Labels: Chayan, photography, আলো-ছায়া-ছবি
Subscribe to:
Posts (Atom)