"ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়" – কথাটা যে কোনো
ধরনের ফোটোগ্রাফির ক্ষেত্রে
সত্যি। যেমন ধরুন
ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি, মানে খুব ছোটো
জিনিসকে বড় করে
দেখানো। এই ধরনের
ফোটোগ্রাফিতে যে সব
instrument লাগে সেগুলোর
দাম খুব বেশি।
ম্যাক্রো-নিবেদিত
প্রাণ লেন্স, একটা উদাহরণ দিচ্ছি
- AF-S
VR Micro-NIKKOR 105mm f/2.8G IF-ED। এর
দাম ৫৪৪৫০/- টাকা।
সুতরাং বেশির ভাগ শখের ফোটো-তুলিয়েদের পক্ষে এই ধরনের ছবি তোলাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। উপায়ান্তর আছে। খুব কম খরচে কি করে ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যায়, সেটার একটা রাস্তা (অন্য অনেক সম্ভাব্য উপায় আছে) আমি আজ বলছি।
প্রথমেই বলি কি কি লাগবে:-
সুতরাং বেশির ভাগ শখের ফোটো-তুলিয়েদের পক্ষে এই ধরনের ছবি তোলাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। উপায়ান্তর আছে। খুব কম খরচে কি করে ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যায়, সেটার একটা রাস্তা (অন্য অনেক সম্ভাব্য উপায় আছে) আমি আজ বলছি।
প্রথমেই বলি কি কি লাগবে:-
১) DSLR ক্যামেরা। (আমার আছে NIKON
D3100)
২) ক্যামেরা এর সঙ্গে দেওয়া কিট লেন্স (আমার টা NIKKOR 18-55 mm)
৩) আপনার DSLR বডি এর জন্য Lens reversal ring (আমার ক্ষেত্রে NIKON এর) - এটার দাম ২০০-৩০০ টাকা।
৪) শক্ত কাগজ। (এটা লাগবে lens aperture এর lever টাকে খুলে রাখার জন্য)
অবিশ্বাস্য হলেও, শুধু মাত্র এই কটা জিনিস দিয়েই ১ : ১ থেকে ৩ : ১ ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যায় (১ : ১ বা ৩ : ১ মানে, আপনার ছবির বিষয়-বস্তু ক্যামেরার Image-sensor এর actual বা তিন গুণ বড় হয়ে দেখা যাবে)।
২) ক্যামেরা এর সঙ্গে দেওয়া কিট লেন্স (আমার টা NIKKOR 18-55 mm)
৩) আপনার DSLR বডি এর জন্য Lens reversal ring (আমার ক্ষেত্রে NIKON এর) - এটার দাম ২০০-৩০০ টাকা।
৪) শক্ত কাগজ। (এটা লাগবে lens aperture এর lever টাকে খুলে রাখার জন্য)
অবিশ্বাস্য হলেও, শুধু মাত্র এই কটা জিনিস দিয়েই ১ : ১ থেকে ৩ : ১ ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি করা যায় (১ : ১ বা ৩ : ১ মানে, আপনার ছবির বিষয়-বস্তু ক্যামেরার Image-sensor এর actual বা তিন গুণ বড় হয়ে দেখা যাবে)।
তবে এই সেট-আপ
এর অসুবিধে হলো
- "আলো"।
বিষয়ের
খুব কাছে গিয়ে
ছবি তুলতে হয়
বলে আলো আসার পথ আটকে
যায়। এই অসুবিধে
দূর করার জন্য
ফ্ল্যাশ
ব্যবহার করতে হবে।
তবে ক্যামেরার built-in flash ব্যবহার করা যায়
না। কারণ সে
ক্ষেত্রে ছবি তে
ক্যামেরা সিস্টেমের শ্যাডো
চলে আসে। তাই
সাধারণত ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফিতে রিং ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা
হয়, তার দাম ২০০০০-৬০০০০ টাকা। ভয় পাবেন না, এই বাধাটাও দূর করা
যায় খুব কম
খরচে।
আমি আমার ক্যামেরার built-in flash ব্যবহার করেছি। কিন্তু ওই যে বললাম শ্যাডো-র কথা- সেটা দূর করার জন্য বাড়িতে একটা Diffuser বানিয়েছি (ছবি- এই পোস্টে)। এটা দু’টো কাজ করে।
আমি আমার ক্যামেরার built-in flash ব্যবহার করেছি। কিন্তু ওই যে বললাম শ্যাডো-র কথা- সেটা দূর করার জন্য বাড়িতে একটা Diffuser বানিয়েছি (ছবি- এই পোস্টে)। এটা দু’টো কাজ করে।
১) ফ্ল্যাশ
এর আলো কে
একটু দূরে করে
যার ফলে শ্যাডোটা আসে
না।
২) আলো কে diffuse করার ফলে বিষয়বস্তুর ওপর একটা soft আলো পড়ে।
Diffuser বানানোর জন্য যা ব্যবহার করেছি :
১) ওষুধের বাক্স বা যে কোনো শক্ত কার্ডবোর্ড বাক্স।
২) আঠা।
৩) অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল (রান্নায় যেগুলো লাগে)।
৪) ট্রেসিং পেপার।
আমি ওষুধের বাক্সটাকে প্রথমে মাপ মতন কেটে নিয়ে, যেটা ভিতরের দেওয়াল হবে সেটাকে খুব ভালো করে আঠা দিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল লাগিয়ে দিয়েছি (এর ফলে আলো ওই বাক্সে absorbed না হয়ে reflected হবে)। এর পর Diffuser এর সামনে (যে দিক দিয়ে আলো বেরোবে) ট্রেসিং পেপার লাগিয়ে দিয়েছি। Diffuserটাকে ক্যামেরায় লাগানোর জন্য আমি রবারের girder ব্যবহার করি।
এই পুরো সেট-আপ দিয়ে ক্যামেরা কে "ম্যানুয়াল মোড"এ সেট করে ম্যাক্রো ছবি তুলতে হয়।
২) আলো কে diffuse করার ফলে বিষয়বস্তুর ওপর একটা soft আলো পড়ে।
Diffuser বানানোর জন্য যা ব্যবহার করেছি :
১) ওষুধের বাক্স বা যে কোনো শক্ত কার্ডবোর্ড বাক্স।
২) আঠা।
৩) অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল (রান্নায় যেগুলো লাগে)।
৪) ট্রেসিং পেপার।
আমি ওষুধের বাক্সটাকে প্রথমে মাপ মতন কেটে নিয়ে, যেটা ভিতরের দেওয়াল হবে সেটাকে খুব ভালো করে আঠা দিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল লাগিয়ে দিয়েছি (এর ফলে আলো ওই বাক্সে absorbed না হয়ে reflected হবে)। এর পর Diffuser এর সামনে (যে দিক দিয়ে আলো বেরোবে) ট্রেসিং পেপার লাগিয়ে দিয়েছি। Diffuserটাকে ক্যামেরায় লাগানোর জন্য আমি রবারের girder ব্যবহার করি।
এই পুরো সেট-আপ দিয়ে ক্যামেরা কে "ম্যানুয়াল মোড"এ সেট করে ম্যাক্রো ছবি তুলতে হয়।
আগের পোস্টের সবক’টা ছবিই এইভাবে তোলা। কিন্তু আজকের
ছবিগুলোর জন্য যে জিনিসটা ব্যবহার করা হয়েছে- তাকে বলে ‘Extension Tube’। এটা ব্যবহার করে কি করে ছবি তোলা যায়, সে গল্প পরের দিন
বলবো, কেমন?