অভিমন্যুর বিয়ের রাতে, বিরাট রাজার বাড়িতে
নিছকমাত্র কৌতূহলে
কীচক এসে ভীমকে বলে,
'নুন-ঝাল সব ঠিক আছে তো মাটন-কিমা-কারিতে?'
বিষম খেয়ে ভীম-ভবানী জপেন কৃষ্ণনাম...
'এই তো সেদিন আছড়ে ওকে পটল তোলালাম...
ওরে ও বউ উত্তরা,
মানুষ, নাকি ভূত তোরা?'
পবনপুত্র মূর্ছা গেলেন, আসর তুলকালাম...
শ্বশুরকুলে ফিটের ব্যামো, রটলো এদিক সেদিক,
হেকিম এলেন, হোমোপ্যাথি, এলেন আয়ুর্বেদিক...
খুললো না তাও দাঁতকপাটি
উত্তরা র'ন দরজা আঁটি
'বাবা বরং অন্য ঘরে সোনামণির বে দিক'...
মেজদার এই দুর্গতিতে হাল ধরিলেন পার্থ,
তিনি ছাড়া কেই বা বলো সামাল দিতে পারতো?
একটু স্নেহে, একটু রাগে,
বলেন তিনি উত্তরাকে,
'গুজব শুনে গা ভাসানোর বদভ্যাসটা ছাড় তো'...
খবর পেয়ে দৌড়ে এলেন সুভদ্রা ও কৃষ্ণা,
'শোন্ বউ, তুই শুধু শুধু ভীমটাকে দোষ দিস না...
দস্যি মেয়ে, কোথায় লুকোস?
তোর মামা যে ভূতের মুখোশ
পরলো এবং ভয় দেখালো, সেইটে তো দেখছিস না?'
মেঘ কেটে গেল শেষমেশ, আর ভাব হয়ে গেল দুটিতে,
অভিমন্যুর সাথে উত্তরা হনিমুনে গেল উটিতে।
কিন্তু ভীমের কী হ'ল জানতে
যুধিষ্ঠিরের চরণোপান্তে
চর পাঠিয়েছি...শুনি ভীমসেন আছে মেডিক্যাল ছুটিতে।