‘..তাকায়নি সেই মেয়ে।
গ্লানির ভারে অবশ করে পাড়া,
সিঁদুরের শূন্যতা পুড়িয়ে দিল অভাগী কপাল তোমার..আগুনঘোরে তুমি ক্লান্ত
এখন..তোমারই কপাল থেকে ফিন্কি দিয়ে বিষাদ ছোটে। ছোটে সর্বনাশ। সামাজিক গুঞ্জন
পিছনে ফেলে, তুমি চলে গেলে বহুদূরে..সব আঁধার নিয়ে..
শহরের পোড়া গলিতে এখনও তোমার পায়ের অযতন ছাপ। মনে পড়ে যায়
সেইসব দ্বিপ্রাহরিক দুর্নিবার স্মৃতি—
সেইসব দ্বিপ্রাহরিক দুর্নিবার স্মৃতি—
প্রহৃত
বকুল কুড়িয়ে কুড়িয়ে ফিরতে দু’জন
বিকেলের
মন ভারিতে পুড়তে সমান-সমান
বৃষ্টির
আলপনা ভাগাভাগির সমঝোতা দৃশ্যে পড়শির ঈর্ষা ছিল কত..
রুপোলী সাহসে ভরা সেইসব মুহূর্তে আজ খালি দীর্ঘশ্বাস পড়ে..ভাঙা সব
স্মৃতি এখন..মাটিখোঁড়া..পরিত্যক্ত।
পৃথিবীর সব প্রদেশে আজ বড় আকাল লেগেছে। কিশোরী, তোমাকে এদের দরকার খুব।
মাঝদরিয়ায় আর একবার না-হয় ডুব দিলে..
তুমি এলে কথা দিচ্ছি, নীরব হয়ে থাকব আজীবন।