পূবালী...
আমাকে ভিড়তে দিলিনা তখন।
প্রতিনিয়ত ব্যর্থতায় অসম্মানে হতাশায়
অপমানিত করে গেলি বারবার।
অগত্যা অন্য উপায় নিতে হলো -
খেলা খেললাম তোর সাথে।
বলা ভালো বাধ্য করলি খেলতে।
তোর নরম ঠোট স্পর্শ করলাম
তোর উদ্ধত বুকে মাথা রাখলাম
তোর উন্মুক্ত তলদেশে দৃঢ় হলাম
-এবার
কতো সহজে তুই আমার হয়ে গেলি!
আমি তো তোর মন কে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম
পূবালী...
চেয়েছিলাম...মন কে দিয়ে শরীর দেবো নেবো
তখন খুব আপত্তিকর লেগেছিলো তোর ব্যাপারটা না ?
আর যখন শরীর চাইলাম,
বলা ভালো চাইতে বাধ্য করলি-
চাইলাম শরীরের হাত ধরে মনকে পেতে
কতো সহজে তুই আমার হয়ে গেলি।
একটু দোষী যে মনে হয়নি নিজেকে তা
নয়।
কিন্তু শরীর কে ততটাও ঘেন্না করতাম না যতটা তোকে ভালোবাসতাম
অথবা বলা ভালো..ভালই বাসতাম...
শুধু একটু দমিয়ে রাখতাম।
আর আমি তো তোকে চেয়েছিলাম পূবালী...
যে কোনো উপায়ে - তোকে.
আমি তোকে অসীমের মাঝে পেতে চেয়েছিলাম জানিস..
সেই পেলাম
তবে সীমার মাঝে!
আমি যে গোল রাস্তায় হাঁটব ভেবেছিলাম পূবালী...
কিন্তুই তুই হাঁটলি সোজা পথে...যার শেষ হয়।
তাই এখন আমরা এক অজানা ভয় নিয়ে পথে হাটি দুজন...
রাস্তা শেষ হয়ে গেলে হঠাৎ?
আজ আমার মনে এক তৃপ্তি – কারণ - তুই জেনে গেছিস, আমার গায়ের স্বাদ কেমন!
আজ তোর মনে এক ভয় – কারণ - আমি জেনে গেছি, তোর ঠোটের স্বাদ কেমন!