Thursday, February 9, 2012

জেম্মার ডায়রি ৬ -- স্নেহলতা



ভালো মন্দ মিশিয়ে
জানি, অনেক কিছু খুলে বলা হয়নি। অনেক ধোঁয়াশা জমে উঠে এখন আমার ছোট্ট জগৎটা ঢেকে ফেলার
ভয় দেখাচ্ছে। আসলে তিতিরের প্রসঙ্গ এলেই আমি কেমন একটা রক্ষণাত্মক খোলসের মধ্যে ঢুকে পড়ি। বিশ্বাস করুন, ওর আমার মেয়ে হয়ে জন্মানোর কথা ছিলো। প্রকৃতির সেই অনিচ্ছাকৃত ভুল আমি না শোধরালে আর কে-ই বা আছে? নিজের ছেলের কথা বলছেন? টোটা কে আমি এখন সামান্য হলেও ভয় পাই। না, ওকে নয়, ওর একগুঁয়েমিটাকে। ভুল বুঝবেন না, এখনো প্রতি বেলায় খেতে বসে মনে হয় কি খেলো, কোথায় খেলো ছেলেটা- প্রতিদিন ফিরতে দেরি হলে উৎকণ্ঠা শুরু হয়। কিন্তু যখনই ওকে দেখি- মুখে একরাশ বিরক্তি- গলায় আমার প্রতি উপেক্ষা উপচে উঠছে- বাড়ির সকলের জন্য বরাদ্দ রেখেছে অবজ্ঞা- তখন মনে হয়, যে ময়দার তালটাকে জন্ম দিয়েছিলাম আজ থেকে পঁচিশ বছরেরও বেশি আগে- বদলাতে বদলাতে আজ আর তার কিছুই বাকি নেই ওই উদ্ধত যুবকের শরীরে। অন্যদিকে তিতির- আমার না হওয়া মেয়ে। নেহাত মায়ের বদলে জেম্মা বলে ডাকে- নইলে গোটা পৃথিবী জানে আমার সাথে ওর সম্পর্ক।
মানছি, যাকে নিয়ে এত আদিখ্যেতা করছি, সেই মেয়েকেই নির্মম কষ্ট দিয়েছি আমি। ওর কচি মনে বোধহয় জন্মের দাগ পড়ে গেল। কিন্তু আমার আর কোন উপায় ছিলো না। কেন, কি বৃত্তান্ত- সে কথাই আজ বলবো।
যেদিন প্রথম প্রবীর আমাদের বাড়ি এসেছিলো, ওকে দেখে চোখ আটকে গিয়েছিলো। ঋজু চেহারা, তীক্ষ্ণ মুখের ছাঁচ। বাকি সকলের মধ্যে আলাদা করে গুরুত্ব দাবী করে ওর নীরব নেতৃত্ব। পরিষ্কার বোঝা যেত- দলের পান্ডা। কিন্তু একটুও দুর্বিনীত নয়। বয়সে অনেক বড় টোটার সঙ্গে ওরই ঘরে গিয়ে ভাব জমিয়ে ফেলেছিল। অন্তত জনা তিনেক মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে পরিষ্কার বোঝা যেত- একবার সাধিলেই...। ব্যতিক্রম ছিল তিতির আর শতাব্দী। ওরা ঠিক কোন ছেলেকেই পাত্তা দিত না। তাই অনিবার্য ভাবেই আড্ডা বসতো দুভাগে- তিতির আর টোটার ঘরে। আমার ছেলে বাড়ির লোকের সাথে যেমনই আচরণ করুক না কেন, বোনকে বেশ ভালবাসে। খুব কড়া আচরণ করে, কিন্তু পরিষ্কার বোঝা যায়- care করে, যেটা আর কারুর ক্ষেত্রে সত্য নয়। তাই তার বন্ধুদেরও আলাদা খাতির আছে ওর কাছে। আর নিশ্চয়ই কিছু ক্ষমতা আছে ওর, নইলে ওই বয়সের অতগুলো ছেলে-মেয়ে টোটাদাডাকলে বিনা বাক্যব্যয়ে হাজির হয়ে যায় কি করে? নেহাত আড্ডা নয়, ওদের সঙ্গে কথা বলার ধরন দেখে বোঝা যায়, যে ওদের জীবনেও নির্ঘাত কোন বড় প্রভাব ফেলেছে টোটা। ওদিকে প্রবীর লেখাপড়ায় ভাল, সুদর্শন, বিনয়ী- অর্থাৎ টোটার একেবারে উলটো হলেও টোটাকে কেন জানি পছন্দ করে ফেলেছিলো। যে কবার এসেছে- ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছে ওর ঘরে। প্রবীরই আমায় প্রথম বলেছিল- চিন্তা কোরোনা জেম্মা, টোটাদা পার্টি করেনা, যা করে সেটা আজকের দিনে ঠিক বিচক্ষণতার প্রমাণ না হলেও কঠিন আর দরকারি কাজ।আর খোলসা করে বলেনি কিছু। আমিও যে ঠিক টোটাকে নিয়ে কথা বলতে উৎসাহী ছিলাম, তা নয়। আমার মন তখন ওই জেম্মাডাকটা নিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলো। তিতিরের সব বন্ধুই ওর অনুকরণে আমায় জেম্মা বলে ডাকলেও প্রবীরের মুখে ওই ডাকটা আমায় নিশ্চিত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিয়েছিলো। জন্ম থেকে নাটুকে তো, তাই মনে মনে সংলাপ রচনাও করে ফেলেছিলাম- জেম্মা কি রে পাগল! তোর মুখ থেকে তো আমার মাডাক শোনার কথা...। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন- আমার আর কিছু বেশি সাহস থাকলে আর ভাগ্যের সামান্য সহযোগিতা পেলে আমার ওর মা হওয়ার কথা ছিলো। নিজের না হোক, পরের ছেলে হিসেবেই মানুষ করতাম না হয়- ভালবাসার কমতি হতো না।
প্রবীরের বাবার নাম অবিনাশ চক্রবর্তী। নাচের পাড়ায় সকলে চক্কোরদাবলে ডাকে। অবিনাশদা- আমার নাচের গুরু, নারীত্বেরও। তাঁর অঙ্গজ যখন সামনে দাঁড়িয়ে আমায় জেম্মাডাকে, তখন শুধু মিশ্র অনুভূতি হয় বললে অনুভূতির প্রতি অবিচার করা হয়।
সেই অবিনাশদা, যাঁর প্রতি এই দীর্ঘ জীবনে দ্বিতীয়বার আর সত্যিকারের মতো প্রেম অনুভব করেছি। কম বয়সের যৌন তাড়নায় নয়; সংসারের অভ্যস্ত টান, যেমনটা অনেক পথ চলা সাইকেলের এক চাকার অন্য চাকার প্রতি থাকে- কোন একজনের হাওয়া শেষ হওয়া অবধি- তাকে প্রেম বলে ভুল করাও নয়। এমন প্রেম, যাতে মানুষটার উপস্থিতির থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় তার উপস্থিতির চিন্তাটা। এমন প্রেম, যাতে চাহিদার থেকেও দেওয়ার ইচ্ছে অনেক বেশি জোরদার- এমন প্রেম, যা বোঝায়- জীবনের অনেকটা দোকানদারি হলেও পুরোটা কখনোই নয়। কিন্তু সে সব কথা তো আর ওই ছেলেকে বলা যায় না, তাই একটুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘বুঝলাম, কিন্তু টোটার সেই দরকারি কাজে তুই কি সাহায্যটা করলি? তোর নিজের লেখাপড়া নেই?’ লেখাপড়ার কথা বললে বয়স নির্বিশেষে যে কোন মানুষের মুহূর্তে একটা রক্ষণাত্মক খোলস তৈরি হয়, সেটায় ঢুকে পড়ে প্রবীর বললো, ‘আমি কিছুই করিনা জেম্মা, তবে খুব কম লোকে ওর গুরুত্বটা বোঝে তো, তাই ওকে সময় দেওয়াটা দায়িত্ব মনে করি।আমি আর দুই যুবকের পারস্পরিক শ্রদ্ধা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে ওকে খেয়ে যেতে বললাম।
আন্দাজ করতে পারছেন আশা করি, এরপর তিতিরের জন্মদিনে বারান্দা যেতে গিয়ে পর্দার আড়াল থেকে যখন শুনলাম যে তিতির আর প্রবীরের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তখন আগে ভাবা উচিত ছিলোর সঙ্গে এই এই চিন্তাও খেলে গিয়েছিলো যে এই সম্পর্ক কোনদিন বাস্তব হলে সেটা আমার আর অবিনাশদার মধ্যে ঠিক কি কি যোগাযোগ তৈরি করতে পারে। আমি সে রাতে কখন ঘুমিয়েছিলাম মনে নেই। ওদের বিয়ে হলে কনের তরফে আমায় থাকতে হল, আর আমায় বেয়াই হিসেবে সম্ভাষণ করছেন অবিনাশদা- জেগে থেকেও এই ভাবনা দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করছিলো আমায়। ওঁকে নিজের করে পাবো, নইলে সরে যাবো, এমনটাই চিরকাল ভেবে এসেছি- আর আজ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে, হাসতে হবে, কিছুই জানিনা, কিছুই হয়নি এমন মুখ করে সৌজন্য করে যেতে হবে- বিশ্বাস করুন, মোটেই সহ্য করতে পারছিলাম না। আরও একটা বিষয় ছিলো, যেটা মুখে মরে গেলেও স্বীকার করবোনা, কিন্তু ডায়রির কাছে লুকিয়ে লাভ নেই বলে বলছি- তিতিরকে হিংসে হচ্ছিলো। জানি, খুব বোকাবোকা, তবু মন বুনোঘোড়া- কে আর কবে লাগাম ধরতে পেরেছিলো? বললাম না- সেই এক ঋজু চেহারা, সেই এক মুখের ছাঁচ! পারলে মাফ করিস তিতির- ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস তোকে খেতে দেবো না...
দিন তিনেক পরে ফোন করলাম ওদের বাড়ি- কলকাতা শহরে এখনো টিমটিম করে টিকে থাকা কিছু STD বুথের একটা থেকে। জানা ছিলো, তাও রোহিণীর গলা ও-প্রান্তে শুনে বুকের ভেতর আর একটা পাথর পড়লো। শ্বাস টেনে অনেক কষ্টে সাহস সঞ্চয় করে গলায় আনন্দ ঢেলে বললাম, ‘কি রে? চিনতে পারছিস? বলতো কে?’
চিরকাল সাদামাটা রোহিণী আমায় খুব শ্রদ্ধা করে। কিছুক্ষণ আলাপের খেই ধরে যখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস করলো যে নেহাত ওর কথা খুব করে মনে পড়াতেই আজকের ফোন- সানন্দে রাজি হয়ে গেলো পুরনো দিনের মতো আড্ডা দিতে আমাদের বাড়ি আসার কথায়। সাদা ঘুঁটি আমার- হাতির সামনের বোড়ে নিঃশঙ্ক চিত্তে দুঘর এগিয়ে গেলো।
ওই ফোনের প্রায় হপ্তা খানেক পরে রোহিণী এলো আমাদের বাড়ি। তিতির সেদিন বাড়ি ছিলোনা। আমি জানতাম। বয়সের ছাপ পড়েছে রোহিণীর কোমরে, গলায়, মুখে- কিন্তু সযত্নে লুকনো। চেহারা? আমায় যে ওর কাকিমা মনে হচ্ছে, সেটা কাউকে বলে দিতে হতো না। তবে আমার সে সব নিয়ে ভাবার বিশেষ সময় ছিলোনা। চা-সিঙ্গাড়া, মিষ্টি নিয়ে অমায়িক অনুরোধ পর্ব আর ততোধিক মধুর প্রত্যাখ্যান পর্ব শেষে যখন গল্প শুরু হলো, তখন শুরু হলো সেই মঞ্চ থেকেই। সত্যি বলতে আমার ভালো লাগতে শুরু করেছিলো- হাজার হলেও ও আমার অনেক দিনের পুরনো বন্ধু। কত যে কথা জমেছিলো যা এই সংসারে শোনার কেউ নেই- দেখে আমার নিজেরই অবাক লাগছিলো। স্মৃতিচারণ, দীর্ঘশ্বাস মোচন, গোপন রহস্য উদ্‌ঘাটন শেষে কথা শুরু হলো, অবধারিত ভাবে, সন্তান নিয়ে। অবাক হবেন না, স্বামী প্রসঙ্গটি আমরা দুজনেই সযত্নে এড়িয়ে চলছিলাম। আমার তরফের কারণ আপনারা জানেন, ওর কি কারণ ছিলো সেটা বলা খুব মুশকিল। হতে পারে আমার বৈধব্য নিয়ে আর কথা বলতে চাইছিলো না, হতে পারে আমার আর ওর স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে হাল্কা হলেও ওর একটা খটকা আছে, হতে পারে এর দুইই সত্যি। যাই হোক, সন্তানের কথা এসে পড়ায় আমায় একটু অস্বস্তিতে ফেলেই নিজের ছেলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুরু করলো রোহিনী। পরিবর্তে আমারও দায়িত্ব বর্তায় টোটার কথা বলার- কিন্তু কি বলবো? বরং একেই সূত্র ধরে নিয়ে আমি তিতিরের গল্প শুরু করলাম। কিছুক্ষণ কথা বলার পর, সুদক্ষ চাল দেওয়ার মতো করে বললাম, ‘ঠিক বলেছিস, এই বয়সের ছেলে মেয়েরা ওই বয়সের আমাদের থেকে অনেক পাকাপোক্ত। ওরা নিজেদের দাম জানে, অন্যদেরও। সেই জন্যেই ওদের একে অন্যকে পছন্দ হলে তাতে আমি খারাপ কিছু বিশেষ দেখিনা।কথাটা বোধগম্য হতে রোহিণীর মোটা মাথায় কিছু সময় লাগলো। আমি তখন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার ভাবতে শুরু করেছিলাম, ‘ঠিক কি আর পাও অবিনাশদা- এর মধ্যে? কি আছে ওর?’ ধীরে দুই ভ্রূর মাঝে একটা উলম্ব রেখার আভাস ফুটে উঠছিলো। গলা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রেখে ও জিজ্ঞেস করলো, ‘মানে? ওদের একে অন্যকে পছন্দ হয়?’
অবাক হয়ে বললাম, ‘সেকি? তুই জানিস না? অবশ্য জানার কথাও নয়, আমিও অফিসিয়ালি জানিনা। জানতে পেরেছি। ওদের আর কিছু বলিনি। তবে ব্যাপারটা হলে খারাপ নয়, কি বলিস?’ রোহিণীর মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো, যে ওকে স্বাভাবিক থাকতে ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তুমি কিছুই বলোনি? তুমি সিওর? তিতিরের মা জানে?’ তিতিরের মা জানেটা কি? জানার অধিকারই বা হলো কি করে ওর? তবে সে কথা না বলে আমি অন্য সুর গাইলাম, ‘এই! দেখ, বেফাঁস কিছু বলে বসলাম না তো? আরে আমার এই হরমোনের গোলমালটা হওয়ার পর থেকে কি যে হয়েছে, কখন কি বলি ঠিক থাকেনা। এই, তুই কিন্তু ওদের আবার বকা-টকা দিস না। ছেলেমানুষ সব। ওই বয়সে সুযোগ থাকলে আমরাও ওই রকমই করতাম রে... আর ওর মা কিন্তু জানেনা- তাই...রোহিণী তড়িঘড়ি সামলে উঠলো- না না, সে কি কথা লতাদি, আরে আফটার অল আমাদেরও তো বয়স কম হলো না...এর পর খুব বেশি সময় আর থাকেনি ও। সৌজন্যটুকু শেষ করে, আমায় বারবার ও আরও একবার ওদের বাড়ি যেতে বলে বিদায় চাইলো। বড় ঘরের দরজাটা পেরনো সময় ওর সাথে মুখোমুখি হলো বিশাখা- ও বোধহয় বাজার থেকে আসছিলো। সদর পেরিয়ে রাস্তায় এসে শরীরে একটা যাই-যাইভঙ্গি এনে আমার দিকে ঘুরলো রোহিণী। খুব ভালো লাগলো দিদি অনে-এ-ক দিন পর তোমার সঙ্গে গল্প করে। আবার আসবো।এর পর একটা অর্থপূর্ণ ফাঁক রেখে আবার, ‘দিদি, যদি কিছু মনে না করো, একটা কথা বলি?’
-নিশ্চয়ই!
-তুমি না ওই বিশাখাকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিও। ওর তো বয়স কম হলো না, সত্যি কথা বলতে ওর আর বিয়ের সম্ভাবনা নেই সেটা তোমরা সকলেই জানো- আর ওকে রেখে বোঝা বাড়িও না।বেশ একটু অবাক হয়েই আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন বলতো? কি হয়েছে?’
-আজ নয় দিদি, অন্য কোন দিন। শুধু এটুকু বলে যাই, তোমায় দিদির মতো দেখি তো, তাই লোকের খারাপ কথা শুনতে একটুও ভালো লাগে না... বোনের কথাটা রেখো, ওকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিও...
রোহিণী আর দাঁড়ায়নি। বড় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমি মনের মধ্যে তন্ন তন্ন করে ওর মুখটা খুঁজছিলাম, যদি এক ঝলকও প্রতিশোধের ফুলকি দেখতে পেয়ে থাকি। কিন্তু পেলাম না। হয় এ কবছরে ও পাকা অভিনেত্রী হয়ে উঠেছে, নইলে সত্যিই আমার পরিবার নিয়ে কোথাও কেউ একটা পাঁক তৈরি করছে- কি সেটা, আমায় জানতেই হবে।

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই