হাতি
দেখেছেন? আমি ওর’ম দেখতে। ফ্যাকাশে হাতি। বৈশিষ্ট্যহীন হাতি। ডায়েট করা হাতি, কিন্তু
হাড়জিরজিরে নই। শুঁড় নেই। মাথায় চুল
আছে, চোখে চশমা। ন্যাজ আছে, তবে লুকনো। গায়ের রঙ, বাবা (চোখ বন্ধ করে) বলেন ‘উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ’। গাল ফোলা, বেঁটে হাতি। তেমন করে বললে অবশ্য সকলকেই হাতির মতো দেখতে। সে যাকগে, আসল কথা হলো- এইরকম দেখতে একটা হাতিকে দেখার জন্যে নিশ্চয়ই আপনি বাড়ি থেকে উজিয়ে আলিপুর আসবেন না, তাই না? দেখতেই যদি না আসেন, তবে তার লেখা পড়ার জন্যে ঢাক পিটিয়ে তৈরি করা ব্লগে আসবেন কি জন্য? তৎসত্ত্বেও যদি দিক ভুলে এসে পড়ে থাকেন, তবে আপনি নেহাত মাথামোটা। হাতির মতো। আচ্ছা, চালাক লোকেদের কেউ মাথা রোগা বলেনা কেন? সত্যি নয় বলে, নাকি বেশি কথা বলার ভয়ে? আমার তো মনে হয়, আসলে মাথামোটা মানে আগে বুদ্ধিমানই ছিল, পরে নিন্দুকে (যারা কিছুতেই আপনাকে আমাকে দেখতে পারেনা) মানেটা পালটে দিয়েছে। সেই জন্যেই আমি এখনো আশা করে আছি আপনাকে মাথামোটা বলায় আপনি রাগ করেন নি। নিশ্চয়ই করেন নি। নইলে লেখাটা এখনো পড়ে চলেছেন কেন? বেশ, আর হাতাহাতি করে কাজ নেই, এবার মুখোমুখি করা যাক। কেন? হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি, মারামারি হতে পারবে, আর মুখোমুখি হবে না? মুখোমুখি মানে কি তবে চুমু? নির্ঘাৎ তাই। শোনেন নি, জীবনানন্দের পানু লাইন- “থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন”? তারপর রবি ঠাকুরের পাঁচালী- “দু'জনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখী”। তবে ঠাকুরেরা চুমু খেলে দোষ না থাকলেও, আমাদের এখানে চুমু খাওয়া আইনতঃ দণ্ডনীয়। মানে আপনি রাস্তায় আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা কে চুমু খেলে আইনের ডান্ডা উত্থিত হয়। কে না জানে, সেরকম মোটেই হওয়া উচিত নয়। সেই জন্যেই কি আজকাল নেতারা পোষা চ্যানেল ছাড়া আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি বসতে চান না? আইনের ভয়ে? বলা যায়না, টিভিতে মুখোমুখি দেখে সরকার হয়তো পানু বলে চালিয়ে দিল। ভ্যালেন্টাইনের দিনে সে এক কেলেঙ্কারি! রাস্তায় রাস্তায় সক্কলে স্বয়ংসেবক হয়ে উঠে টিভির দোকান ভাঙচুর করলো হয়তো। ফাঁকতালে দু’একখান তুলে নিয়ে সটকে পড়লো কেউ কেউ।
ওই যে এক কচি নেতা, যার প্রচুর কেতা, (নচিকেতা নাকি?) গেয়েছিল- ‘তুমি আসবে বলেই মুখ্যমন্ত্রী চুমু খেল স্ত্রীর গালে।’ তীব্র আপত্তি ও ধিক্কার। গায়কের কেতার পাঞ্জাবী ফাটিয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও। প্রথমতঃ, আমাদের দিদির সঙ্গে কোন মেয়ে কেন, কোন ছেলেরও সম্পর্ক হবেনা। তিনি পবিত্র। তাই তাঁর স্ত্রী থাকতে পারেনা। ওই সব ‘পুরনো গান’এর ওজর আপত্তি চলবে না। এসব আসলে মাওবাদী ষড়যন্ত্র। তারও পরে, যদি খেলেনই, তবে স্ত্রীর গালে কেন? আমাদের গালে কেন নয়? আমরা, জনতাই নাকি সব? তাছাড়া এই ‘তুমি’ টা কে? সিপিএম নাকি? শালারা কি ঋতু, যে বছর বছর আসবে? ওসব ধাষ্টামি বাওয়া এখেনে চলবেনি। এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো, কোন ফক্কড় যেন সেদিন বলছিল, ‘ঋতুপর্ণের ঋতু হয়না, খালি পর্নো- জালি মাল’। আমি যদিও বিশ্বাস করিনি। দাঁড়ান, দাঁড়ান, বেজায় গরম হয়ে গেছি... একটু হাঁপিয়ে নিই-
আছে, চোখে চশমা। ন্যাজ আছে, তবে লুকনো। গায়ের রঙ, বাবা (চোখ বন্ধ করে) বলেন ‘উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ’। গাল ফোলা, বেঁটে হাতি। তেমন করে বললে অবশ্য সকলকেই হাতির মতো দেখতে। সে যাকগে, আসল কথা হলো- এইরকম দেখতে একটা হাতিকে দেখার জন্যে নিশ্চয়ই আপনি বাড়ি থেকে উজিয়ে আলিপুর আসবেন না, তাই না? দেখতেই যদি না আসেন, তবে তার লেখা পড়ার জন্যে ঢাক পিটিয়ে তৈরি করা ব্লগে আসবেন কি জন্য? তৎসত্ত্বেও যদি দিক ভুলে এসে পড়ে থাকেন, তবে আপনি নেহাত মাথামোটা। হাতির মতো। আচ্ছা, চালাক লোকেদের কেউ মাথা রোগা বলেনা কেন? সত্যি নয় বলে, নাকি বেশি কথা বলার ভয়ে? আমার তো মনে হয়, আসলে মাথামোটা মানে আগে বুদ্ধিমানই ছিল, পরে নিন্দুকে (যারা কিছুতেই আপনাকে আমাকে দেখতে পারেনা) মানেটা পালটে দিয়েছে। সেই জন্যেই আমি এখনো আশা করে আছি আপনাকে মাথামোটা বলায় আপনি রাগ করেন নি। নিশ্চয়ই করেন নি। নইলে লেখাটা এখনো পড়ে চলেছেন কেন? বেশ, আর হাতাহাতি করে কাজ নেই, এবার মুখোমুখি করা যাক। কেন? হাতাহাতি, ঘুসোঘুসি, মারামারি হতে পারবে, আর মুখোমুখি হবে না? মুখোমুখি মানে কি তবে চুমু? নির্ঘাৎ তাই। শোনেন নি, জীবনানন্দের পানু লাইন- “থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন”? তারপর রবি ঠাকুরের পাঁচালী- “দু'জনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখী”। তবে ঠাকুরেরা চুমু খেলে দোষ না থাকলেও, আমাদের এখানে চুমু খাওয়া আইনতঃ দণ্ডনীয়। মানে আপনি রাস্তায় আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা কে চুমু খেলে আইনের ডান্ডা উত্থিত হয়। কে না জানে, সেরকম মোটেই হওয়া উচিত নয়। সেই জন্যেই কি আজকাল নেতারা পোষা চ্যানেল ছাড়া আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি বসতে চান না? আইনের ভয়ে? বলা যায়না, টিভিতে মুখোমুখি দেখে সরকার হয়তো পানু বলে চালিয়ে দিল। ভ্যালেন্টাইনের দিনে সে এক কেলেঙ্কারি! রাস্তায় রাস্তায় সক্কলে স্বয়ংসেবক হয়ে উঠে টিভির দোকান ভাঙচুর করলো হয়তো। ফাঁকতালে দু’একখান তুলে নিয়ে সটকে পড়লো কেউ কেউ।
ওই যে এক কচি নেতা, যার প্রচুর কেতা, (নচিকেতা নাকি?) গেয়েছিল- ‘তুমি আসবে বলেই মুখ্যমন্ত্রী চুমু খেল স্ত্রীর গালে।’ তীব্র আপত্তি ও ধিক্কার। গায়কের কেতার পাঞ্জাবী ফাটিয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও। প্রথমতঃ, আমাদের দিদির সঙ্গে কোন মেয়ে কেন, কোন ছেলেরও সম্পর্ক হবেনা। তিনি পবিত্র। তাই তাঁর স্ত্রী থাকতে পারেনা। ওই সব ‘পুরনো গান’এর ওজর আপত্তি চলবে না। এসব আসলে মাওবাদী ষড়যন্ত্র। তারও পরে, যদি খেলেনই, তবে স্ত্রীর গালে কেন? আমাদের গালে কেন নয়? আমরা, জনতাই নাকি সব? তাছাড়া এই ‘তুমি’ টা কে? সিপিএম নাকি? শালারা কি ঋতু, যে বছর বছর আসবে? ওসব ধাষ্টামি বাওয়া এখেনে চলবেনি। এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো, কোন ফক্কড় যেন সেদিন বলছিল, ‘ঋতুপর্ণের ঋতু হয়না, খালি পর্নো- জালি মাল’। আমি যদিও বিশ্বাস করিনি। দাঁড়ান, দাঁড়ান, বেজায় গরম হয়ে গেছি... একটু হাঁপিয়ে নিই-
কি যেন
বলছিলাম? হ্যাঁ, চুমু। কড়াপাক জিনিস, বেশি খেলে মুখ মেরে যায়। গরম দুধের সঙ্গে ভাল
খেতে। মেয়েরা দুধ খেলে একটা টেম্পোরারি গোঁফ তৈরি হয়না? সেটা দিয়ে খেতে সবচে’ ভাল।
তবে অবিবেচকের মতো খেলে ডায়াবিটিস থেকে বাঁচলেও ‘সেরেব্রো-গোনাডো বনবনাইটিস’ থেকে
বাঁচা মুশকিল। কি রোগ? আমার মুখে আসবে না, কলেজের ওঁচা ছেলে পাকড়ে জিগ্যেস করুন
গে। তবে হ্যাঁ, ভাল চুমু এদেশে পাওয়া যায় না, সানি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আনাতে হয়।
বিগ্গ্ বস্স্ স্পন্সর করে। এখানে যা তৈরি হয়, সব দেশি মাল। খোঁড়া বাদশার তৈরি
মালের মতো, পচা। হাসমি খায়। দুধ দিয়ে খেতে ভাল লাগলেও দুধের মতো এটা সকলে খেতে
পারেনা। Strictly for Adults... বাচ্চাদের মন
ভোলাতে হাসমির ‘স’ টা বাদ দিয়ে হামি তৈরি করে মার্কেটে চালায় কিছু পাজি মহিলা।
আসলে ওতে ৭০% লালা।
না মশাই,
আমার চুমু খাওয়া মানা। খাওয়ার খুব শখ ছিল, একবার বেকায়দায় খেতে গিয়ে টোটাল কেত্তন।
ও আর আমার দ্বারা হবেনা। সকলে কি সব কিছু পারে? এই যেমন আজ জানতে পারলাম, মুজতবা
আলী মশায় চণ্ডী পাঠ করতেন, মুখস্থ। আমার strong ধারণা, ভদ্রলোক জুতো সেলাই করতে পারতেন না। তবে চুমু খেতে পারতেন নিশ্চয়।
চুমু তে
মোটেই পেট ভরে না। শ্রীজাত যতই বলুক, “অভাবের দিনে দেখো যেন ওরা বেঁচে থাকে চুমু
খেয়ে...” আচ্ছা, হাতিতে কি চুমু খায়? না খেলে একটু সান্ত্বনা পাওয়া যেত।