যদিও আকাশ ধোঁয়াশায় ম্রিয়মাণ/তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান...
- কবীর সুমন
একটা সময় ছিল যখন বাংলা ছবি ছিল আন্তর্জাতিক। বিশ্বায়ন
শব্দটার সাথে বাঙালির কোন সম্পর্ক তখন ছিলনা। তথাপি বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভালে যখন
জা লুক গোদারের ‘আলফাভিল’ গোল্ডেন
বিয়ার পাচ্ছে তখন তার সাথে একই মঞ্চে চারুলতার জন্য
শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার হাতে তুলে নিচ্ছেন সত্যজিৎ রায়। বার্গম্যানের সাথে তর্কে জড়াচ্ছেন ঋত্বিক ঘটক। বিখ্যাত লাতিন আমেরিকান ছবি “মেমোরিস অব আন্ডারডেভেলাপমেন্ট’ এর মনন সঙ্গী হয়ে উঠছে মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’। রচিত হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের যৌথ চলচ্চিত্র আন্দোলন। মিডিয়ার তকমা পাওয়া ‘গ্লোবাল' নয়, প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক। তারপর গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গেছে। আজকের বাঙালি গ্লাসগোতে গিয়ে কচুর শাক খায়, সি.সি.ডি-তে ছেড়া প্যান্ট পরে আইরিশ ক্রিম খায়, পাইকপাড়া থেকে প্যারিস যাত্রা আজ জলভাত। কিন্তু নিদেনপক্ষে অমুক স্বনামধন্য বাঙালি চিত্র পরিচালক আজকে কান ফিল্ম ফেস্টিভাল-এ আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাথে আড্ডা মেরেছেন, বা তমুক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি চিত্র পরিচালক কালকে টারান্টিনোর সাথে কফি খেয়েছেন, বা জুন হো বং অমুক বাংলা ছবি দেখে খুব প্রশংসা করেছেন – এরকম কেউ কখনো শুনেছেন কি? পুরস্কার পাওয়া বা তর্কে জড়ানোর কথা তো ছেড়েই দিন। এদিকে টিভি চ্যানেলগুলোতে কথার ফুলঝুরি দেখলে মনে হয় বাংলা ছবির সূর্যোদয় বুঝি কয়েক মিনিটের অপেক্ষা।
শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার হাতে তুলে নিচ্ছেন সত্যজিৎ রায়। বার্গম্যানের সাথে তর্কে জড়াচ্ছেন ঋত্বিক ঘটক। বিখ্যাত লাতিন আমেরিকান ছবি “মেমোরিস অব আন্ডারডেভেলাপমেন্ট’ এর মনন সঙ্গী হয়ে উঠছে মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’। রচিত হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের যৌথ চলচ্চিত্র আন্দোলন। মিডিয়ার তকমা পাওয়া ‘গ্লোবাল' নয়, প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক। তারপর গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গেছে। আজকের বাঙালি গ্লাসগোতে গিয়ে কচুর শাক খায়, সি.সি.ডি-তে ছেড়া প্যান্ট পরে আইরিশ ক্রিম খায়, পাইকপাড়া থেকে প্যারিস যাত্রা আজ জলভাত। কিন্তু নিদেনপক্ষে অমুক স্বনামধন্য বাঙালি চিত্র পরিচালক আজকে কান ফিল্ম ফেস্টিভাল-এ আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাথে আড্ডা মেরেছেন, বা তমুক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি চিত্র পরিচালক কালকে টারান্টিনোর সাথে কফি খেয়েছেন, বা জুন হো বং অমুক বাংলা ছবি দেখে খুব প্রশংসা করেছেন – এরকম কেউ কখনো শুনেছেন কি? পুরস্কার পাওয়া বা তর্কে জড়ানোর কথা তো ছেড়েই দিন। এদিকে টিভি চ্যানেলগুলোতে কথার ফুলঝুরি দেখলে মনে হয় বাংলা ছবির সূর্যোদয় বুঝি কয়েক মিনিটের অপেক্ষা।
গত কয়েক বছরে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। বাঙালিরা
অন্তত বাংলা ছবি দেখছে। কিন্তু তার সাথে আরেকটা জিনিস বেড়ে গেছে। তা হল নিজেরা
নিজেদের পিঠ চাপড়ানোর প্রতিযোগিতা। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “দরবারে
না পেয়ে ঠাঁই.........”। কিন্তু এভাবেই বা কতদিন চলবে।
চলচ্চিত্র একটা আন্তর্জাতিক ভাষা। আর কতদিন তাকে আমরা কুয়োর ব্যাঙ বানিয়ে রাখবো?
বিশ্ব চলচ্চিত্রের আঙ্গিক,ভাষা প্রতি মুহূর্তে
পালটে যাচ্ছে। তার সাথে আমরা কি একধরনের সংলাপে যুক্ত হবো না? বিশ্ব চলচ্চিত্র কিন্তু শুধুমাত্র হলিউড নয়। ইরানে বসে মাখমালবাফ বা
তাইওয়ানে বসে হো সিয়ে সিয়েং যে বাজেটে ছবি বানান সেই অর্থটা আজকের বাঙলা ছবির
থেকে খুব একটা বেশি নয়। সমস্যাটা অর্থ নয়। সমস্যাটা মানসিকতার। লাল খাসির মাংসের
ঝোল খেতে অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করে, ফলে তাদের আজীবন এটাই
খাইয়ে যাও। একধরনের ছবি বাজারে চলছে কাজেই সেটাই বানিয়ে যাই। এর বাইরে কি হচ্ছে
তা আমার দেখার দরকার নেই, দেখানোর তো আরোই দরকার নেই। কিন্তু
ছবি তৈরির আগেই তাকে হিট ছবির তকমা দিয়ে দিলে তা একটা ফরমুলা হয়ে যায়। সে কারণে
ছবি তৈরির মানসিকতায় যদি ফরমুলা এসে যায় তাহলে তাদের ছবি করতে না এসে অন্য
কাজকর্মে যাওয়াই ভাল। কারণ অর্থ উপার্জনই যদি একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তাহলে অন্য
অনেক কাজ আছে যাতে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়। যাক সেসব কথা। তাহলে এখানে কি
কিছুই হচ্ছেনা? একদা শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পাওয়া জাতির কি
কোন ভবিষ্যতই নেই? হচ্ছে। গত এক বছরে এরকম ফরমুলা ভাঙা দুটি
ছবি হয়েছে। ১ - অর্জুন গৌরীসারিয়া ও মৈনাক বিশ্বাস পরিচালিত ‘স্থানীয় সংবাদ’, ২ - কিউ পরিচালিত ‘গাণ্ডু’। প্রথমটি ইতিমধ্যে নন্দনে রিলিজ করে গেছে।
আর তার সাথে বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে, পুরস্কারও পেয়েছে। দ্বিতীয়টি বার্লিন সহ বেশ কিছু ফেস্টিভাল এ দেখানো
হয়েছে। আর পাইরেসির দৌলতে ছবিটা আমরা সবাই ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছি। আর এই পর্যায়ের
আরেকটি ছবি তৈরি হয়ে বসে আছে। কিন্তু অবস্থার বিপাকে পড়ে তার রিলিজ আটকে গেছে।
আশা করছি যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে ছবিটি শীঘ্রই মুক্তিলাভ করবে। তাকে ঘিরেই আমার
আজকের লেখা। ছবির নাম ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’। পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। আগের দুটি ছবির সাথে সে অর্থে এর কোন
সম্পর্ক নেই। পরিচালকদের বিশ্ববীক্ষাও সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু মিল একটাই- এরা
প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক। আর এই আন্তর্জাতিকতা প্রযুক্তিগত নয়, চিন্তায়।
প্রথমেই বলি, এই একটা ছবি রাতারাতি
বাংলা ছবি ও তার দর্শকদের আমূল পাল্টে দেবে এরকম ভাবাটা বিলাসিতা। কিন্তু একথা হলফ
করে বলা যায় যে একটা প্রস্তুতি শুরু হবে। যা কিনা বাধ্য করবে আমাদের একটু
অন্যভাবে ভেবে দেখতে। কারণ ছবিটি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে এই পোড়া বাংলায় বসেও
ভিক্ষান্ন দিয়ে ‘পাইয়া’ (স্প্যানিশ
বিরিয়ানি) বানানো যায়। তুমি হতে পার মাখমালবাফ, হতে পার
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পরিচালকদের মধ্যে একজন, কিন্তু আমিও ছবি
বানাই। আর আমার ছবি দেখতে বসলে তুমিও চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারবে না। কুর্নিশ করতে
বাধ্য হবে। কোলেস্টেরলে ভোগা কোন বাঙালিকে এরূপ চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছবি করতে বহুদিন
দেখা যায়নি।
ছবিতে পরতে পরতে গিমিক জাগানো কোন গল্প নেই। নেই দুনিয়া
এদিক-ওদিক করে দেয়া সংলাপ। ভুবন মোহিনী কোন লোকেশনও নেই। নারীদের কঠিন সমস্যা, শিশুদের সমস্যা, মানসিক রুগীদের সমস্যা, মানবিক সম্পর্কের টানাপড়েন ইত্যাদি মহান সামাজিক ইস্যুগুলির সমাধানে
আমাদের ছবিগুলি যেভাবে ব্রতী হয়েছে, তার কোনটিই এই ছবিতে
নেই। তবে ছবির গল্পটা বলার আগে আমি ছবির আঙ্গিক নিয়ে দু-চার কথা বলতে চাই। ছবিটি
তৈরি হয়েছে ক্যানন ৭ডি নামক একটি ডিজিটাল স্টিল ক্যামেরায়। যেই ধরনের ক্যামেরায়
আমরা অনেকেই শখের ফটোগ্রাফি করি। কিন্তু তা দিয়ে যে ছবি বানানো যায় এবং
প্রফেশনাল কোয়ালিটির ছবি বানানো যায় সেটা আমরা কজন ভেবেছিলাম? বলিউডে অনুরাগ কাশ্যপ ভেবেছিলেন। তাঁর ‘দ্যাট গার্ল
ইন ইয়েলো বুটস’ এই ক্যামেরায় তৈরি। অনুরাগের অবশ্য একটা
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি আছে। টারান্টিনো সত্যি সত্যিই ওর সাথে বসে কফি
খেয়েছে। কিন্তু বাংলা বাজারে বসে ৭ডি? কি স্পর্ধা! আমরা তো
ভাই পাবলিকের জন্য ছবি করি। কি দরকার এক্সপেরিমেন্ট করার? দরকার
আছে। কারণ এর ফলে ছবি তৈরির জগতে একটা আমূল পরিবর্তন ঘটে যেতে বাধ্য। এরপর একটা
ঠিকঠাক চিত্রনাট্য থাকলে এই ক্যামেরার মাধ্যমে আজকে যে কেউ ছবি তুলতে পারে। কি
সাংঘাতিক ব্যাপার! যে কেউ ছবি বানাবে তো মহান বাংলা ছবির হত্তা-কত্তা-বিধাতারা কি
করবেন? লড়াইটা এখানেই। ছবি তৈরি একটা খরচ সাপেক্ষ শিল্প।
এবং ইন্ডাস্ট্রি সবসময় চাইবে তাকে খরচ সাপেক্ষই করে রাখতে। যাতে
রাম-শ্যাম-যদু-মধু-আমি-আপনি কিছুতেই ছবিটা তৈরি করতে না পারে। এবং অদূর ভবিষ্যতে
তাদের বাজারে ভাগ না বসাতে পারে। নিজেদের চিন্তার দৈন্যতা আড়াল করতে কতনা
প্রচেষ্টা। কিন্তু এভাবে বেশিদিন আটকে রাখা যায়না। দেশে-বিদেশে ইন্ডিপেন্ডেন্ট
ছবি এভাবেই তৈরি হয়ে এসেছে এবং হবে। সে যাই হোক। এই ছবিতে একদিকে খরচ বাঁচানোর
যেমন ৭ডি ব্যাবহার করা হয়েছে তার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে শৈল্পিক কারণও। ছবির আঙ্গিকের সাথে এক সুতোতে
জড়িয়ে গেছে স্বাধীনভাবে ছবি তৈরির মানসিকতা। ছবিটা পুরোপুরি ডকুমেন্টারি মোডে
তৈরি। অধিকাংশ সময় ক্যামেরা হ্যান্ড হেল্ড। অসম্ভব দুরূহ কোনে, যেখানে অন্যান্য বড় ক্যামেরা ঢুকতে পারেনা সেখানে এই ক্যামেরা অবলীলায়
ঢুকে পড়তে পারে। চলচ্চিত্র যদি জীবনের আয়না হয়, তবে এছবি
সেই জীবনকে এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখাতে পারে, যেখান থেকে
আমরা আমাদের জীবনকে এর আগে কোনদিনও দেখিনি। মুনশিয়ানায় চিত্রগ্রাহক শুভঙ্কর ভড়।
কে.কে.মহাজন ও রাজীব রবির পর এরকম সাহসী ক্যামেরাম্যান খুব একটা আসেনি।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রমিত একজন ডকুমেন্টারি ফিল্ম
মেকার। তার জীবনে এখন পর্যন্ত একটা ঠিকঠাক প্রেম হয়নি। সে চায় তার নিজের জীবনের
প্রেম ঘটিত সমস্যা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানাতে। তার ক্যামেরাম্যান অমিতকে সে
সেই কথা বলে। অমিতও রাজি। এই নিয়ে ছবি চলতে থাকে। এই সময় ওরা জানতে পারে যে
পশ্চিমবঙ্গে এমন একটা গ্রাম আছে, যেখানে গেলেই মানুষ প্রেমে পড়ে যায়।
গ্রামের নাম মোহিনী। তারা ঠিক করে এই গ্রামটিতে তারা যাবে। তাদের খোঁজ চলতে থাকে।
অবশেষে তারা ওই গ্রামের ঠিকানা পায় এবং অনেক চেষ্টায় সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর
যা হয় তাকি বাস্তব নাকি ফ্যান্টাসি? এ যেন ...... সেই
সমুদ্রের তীরে শীর্ণ দেহে জীর্ণজীরে, ক্ষ্যাপা খুঁজে খুঁজে
ফেরে পরশপাথর।
না। কোন ভারতীয় ছবিতে আমরা এই জিনিস আগে দেখিনি।
ফ্যান্টাসি আর রিয়ালিটি খেলা নিয়ে
সত্যজিৎ রায় ‘পরশপাথর’ বানিয়েছিলেন, খুঁজলে টুকরো কিছু হিন্দি ছবিও পাওয়া যাবে। কিন্তু গল্পের সাথে আঙ্গিকের
এই বৈপ্লবিক মেলবন্ধন ভারতীয় ছবিতে বিরলতম। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ঋত্বিক
চক্রবর্তীর অভিনয় প্রমাণ করে যে বাঙালি এখনো অভিনয় করতে জানে। আর শুধুমাত্র
অভিনয় গুনেই অভিনেতা হামফ্রে বোগার্ট বা সং কাং হো-র মত ছবির হিরো হওয়া যায়।
অন্যান্য চরিত্রে অপরাজিতা ঘোষদাস, অমিত সাহা, সুপ্রিয় দত্ত, মনু মুখোপাধ্যায়, দেবেশ রায়চৌধুরী, চূর্ণি গাঙ্গুলীরা যথাযথ অভিনয়
করেছেন। ছবিতে দীর্ঘদিন পর একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
তবে ছবির সবথেকে সবল জায়গা হল- নাম না জানা, একেবারে অচেনা
একগুচ্ছ অভিনেতা। প্রেমের গ্রামের বাসিন্দার ভূমিকায় তাঁদের অভিনয় দেখলে কখনই
মনে হবেনা যে তাঁরা আদতে অভিনেতা নন। কিম্বা হয়তো অভিনেতা। আমরা ঠিক জানিনা।
ছবিতে গানের ব্যবহার খুব ভাল। নাগরিক গানের সাথে যেভাবে কীর্তন, বাউল, বুলান, হাপু ইত্যাদি
লোকসঙ্গীতের ব্যবহার করা হয়েছে তা এককথায় অনবদ্য। গোট সিনেম্যাটিক স্পেস জুড়ে
অদ্ভুত সুন্দর একটা মিউজিকাল আবহ তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গীত পরিচালক অনিন্দ্যকে
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আরেকজনকে। তিনি শব্দ শিল্পী পার্থ প্রতিম বর্মণ। তার কাজের
মূল্যায়ন বা ব্যাখ্যা এর কোনটাই করার যোগ্যতা আমার নেই। এর মূল্যায়ন হবে অনেকদিন
পর। আজ থাক।
শুধু এটুকু বলে শেষ করি যে বহু সন্তানবতী বাংলা ছবি আজ
বন্ধ্যা নারী। পরিচালক যেন আরেকবার তার কৌমার্য ফিরিয়ে দিলেন। আর একইসাথে
আন্তর্জাতিক করে তুললেন তাকে। আপনার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কিন্তু এই
কৌমার্য আমরা ধরে রাখতে পারবো কিনা সেই দায় পরিচালকের নয়। সে দায় আমাদের। আমরা
যদি এখনো উদাসীন হই। তাহলে এই হয়তো শেষবার। চলচ্চিত্রকে যদি এতটুকুও ভালবেসে
থাকেন তাহলে হাততালি দিতে শুরু করুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত হাতের
তালু লাল হয়ে যায়।
ছবি- বাকিটা ব্যক্তিগত
কাহিনী, চিত্রনাট্য, সম্পাদনা
ও পরিচালনা- প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য
ক্যামেরা- শুভঙ্কর ভড়
সঙ্গীত- অনিন্দ্য
শব্দ শিল্পী- পার্থ প্রতিম বর্মণ
সহকারী পরিচালনা- রাম প্রসাদ গায়েন, সুস্মিতা সিনহা, সমর রায়
অভিনয়- ঋত্বিক চক্রবর্তী, অপরাজিতা ঘোষদাস,
অমিত সাহা, সুপ্রিয় দত্ত, মনু মুখোপাধ্যায়, দেবেশ রায় চৌধুরী, চূর্ণি গাঙ্গুলী, মাধবী মুখোপাধ্যায়।