*(লেখকের মতে ওটা 'চড়চড়ি' হবে!)
লিঙ্ক |
আমাদের একজন ইতিহাসের
মাস্টারমশাই বলতেন, “পড়বা আর লিখবা, তবেই ভাল নাম্বার পাবা”।
তা নাম্বার পাওয়ার লোভ যেহেতু ঈশ্বরপ্রদত্ত, কথাটা
মনে এবং মগজে ধরেছিল। এখন ব্যাপার হল (ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যের এবং উপলব্ধিটা গত
কয়েকদিনের), ফর্মুলাটা সব বিষয়ের মতো বাংলার
ক্ষেত্রেও চালিয়ে এসেছি। আর বাংলা পড়া বলতে তো ওই চটি বইটা বারদুয়েক নমোনমো করে
চোখবুলিয়ে সোজা নোটবইয়ে গিয়ে প্রথমে লেখককে বার খাওয়ানোর জন্য গুটিকতক ভারী
ভারী শব্দ খোঁজা, তারপর বাঘা-বাঘা খানদশেক
লাইন (সে বাঘের বিচরণ এম. সেন থেকে পি. আচার্যর
বইয়ে বেশি বলে শুনেছিলাম) গাঁতিয়ে দুপাতার উত্তরে কোথায় কোনটা সাজাবো তার একটা ছক বানিয়ে নেওয়া।
পরীক্ষায় নিয়ম করে সে সব বমি করতাম, আর
পরীক্ষক রোলনাম্বারের ব্যস্তানুপাতিক একটা মার্কস দিয়ে দিতেন। কম নাম্বার পেলে যে
আঁতে লাগত না তা নয়, কিন্তু সে আঁত যে শুধু ‘আঁতেল’-দেরই
মানায়, সে বোধ তখন ছিল না। এক কথায় বলতে
গেলে সাহিত্যের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা তীব্র ব্যবসায়িক, নাম্বার
পাওয়ার ব্যাপার থাকলে পড়তাম, নইলে
ওসবতো ‘cultured’ ছাত্রদের জন্য, তাই ওধার ঘেঁষিনি।
তা দীর্ঘদিন হল সেসব
ব্যবসায় ক্ষান্ত দিয়েছি।বিদ্যার সেলসম্যানশিপ ছেড়ে এখন বুদ্ধির দোকান খুলে
নিরন্তর মাছি তাড়াই।আর এরই মাঝে প্রায়শ্চিত্তের নিমিত্ত দু-একটা বইপড়ার ঢঙ করতে
গেছি আর ব্যস.........ওই যে বললাম বুদ্ধির দোকানি, বেশি
বুঝি বা না বুঝি, আমার ‘মুদ্রা-গুণ’-এর বশে
অনেক বকে ফেলেছি।একটা উদাহরণ দিলে ভালো বুঝবেন। আপনারা যখন ‘হ-য-ব-র-ল’ পড়ে
পেটে খিল ধরিয়েছিলেন, আমি তখন তা পড়িনি, এমনকি তার পরেও পড়িনি (আসলে সেইসময় আমি ব্যাট নিয়ে
অন্য স্বপ্নে বিভোর ছিলাম)। তা দিনকয়েক আগে সেটা প্রথম পড়লাম, মনে হল, “বাঃ, satire টা এখনও কত আধুনিক”, মুখ
ফস্কে বেরিয়েও গেল।(এরকম অনেক আছে, শরমের
মাথা খেয়ে সবচেয়ে খারাপটা বললাম।)সেই
লিঙ্ক |