ছবি: সুনন্দ |
হরিদাস পালকে নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইতিহাস মৌন।
সে এতটাই নিম্নবর্গের মানুষ,
যে তাকে নিয়ে আলোচনা ইতিহাসে প্রক্ষিপ্তই থাকে। তাই ইতিহাস নির্ভর
না হয়ে লোকগাথার ওপর ভিত্তি করে কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। ওয়াকিবহাল মহলের এক অংশের
ধারণা, সেই বিখ্যাত পালেদেরই বংশধর হরিদাস।
ছবি: সুনন্দ |
শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা-র মতো জীবনের
সূক্ষ্ম অনুভূতির ক্ষেত্রগুলিতে তার অবাধ যাতায়াত। কিন্তু প্রচার-বিমুখ হওয়ায়
হরি-নাম ধর্মতলা বা বাইপাসের ধারের কোনও হোর্ডিং-এ লেখা হয়নি কখনও। তাই সেই
হোর্ডিং খুলে ফেলা নিয়ে যতই ধ্যাষ্টামো হোক, সেখানে যে
হরি-নাম সংকীর্তন হবে না, সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত সে।
প্রশ্ন ওঠে, তাহলে হরির এত নাম ডাক কী ভাবে?
কতকটা অ-প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই হরি-নাম ছড়িয়ে পড়েছে লোকের মুখে মুখে।
বিভিন্ন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দেওয়া হরিদাসের ছোট বেলার অভ্যেস। আর এর থেকেই যত
বিপত্তি। হরিদাস সব সময় যে ঠিক কথা বলে এমন না। কিন্তু পাব্লিক বুঝতেই চায় না,
ভুল কথা বলাও একটা অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
যে যা-ই ভাবুক, বহু বিচিত্র ঘটনার সাক্ষী হরিদাস। পেশা [উঞ্ছবৃত্তি]গত
কারণে, হরিদাসের অভিজ্ঞতার ঝুলি প্রতিদিনই ভরে ভরে ওঠে। হরি
কেবলই ভাবে, ঠাকুর একদম ঠিক কথা কয়েছেন-যাবৎ GB তাবৎ শিখি। শুধু শিখলেই তো হল না, তা ভাগও করে নিতে
হবে। আর সে সুযোগ এত দিনে এল।