Sunday, July 31, 2011

সাজ - সতেরো -- নির্মাল্য


ছবি: সুনন্দ

সাজসজ্জা। বাংলা অভিধানের অনেক আপাত- নির্বিষ সন্তানদের মধ্যে একটি। বিখ্যাত, সুপ্রাচীন (কারণ ভাষার জন্মের অনেক আগে এটি পৃথিবীর আলো দেখেছে) এবং victory stand এ ক্ষুন্নিবৃত্তির ঠিক নীচেই দেখা যায় একে। আক্ষরিক অর্থেই আমার-আপনার আপাদনখশির এরই তত্ত্বাবধানে। ব্যাপারটার জন্মকাল সম্বন্ধে পণ্ডিতেরা একমত নন। সম্ভবত ঠান্ডা-গরম-লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর অছিলায় বস্ত্রছদ্মনামে সভ্যতার ইতিহাসে এর অনুপ্রবেশ। তারপর জীবনের প্রয়োজন দেখা দিল Addiction রূপে......কাটিলে সময়। খুব শীঘ্রই দেহাবরণ ছাড়াও একে একে এসে গেলো দেহাভরণেরা- মাকড়ি, হার, বাজুবন্ধ,

Saturday, July 30, 2011

অনভিজ্ঞতার কাঁটা-চচ্চড়ি* -- কূপমণ্ডূক


*(লেখকের মতে ওটা 'চড়চড়ি' হবে!)

লিঙ্ক


আমাদের একজন ইতিহাসের মাস্টারমশাই বলতেন, “পড়বা আর লিখবা, তবেই ভাল নাম্বার পাবা। তা নাম্বার পাওয়ার লোভ যেহেতু ঈশ্বরপ্রদত্ত, কথাটা মনে এবং মগজে ধরেছিল। এখন ব্যাপার হল (ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যের এবং উপলব্ধিটা গত কয়েকদিনের), ফর্মুলাটা সব বিষয়ের মতো বাংলার ক্ষেত্রেও চালিয়ে এসেছি। আর বাংলা পড়া বলতে তো ওই চটি বইটা বারদুয়েক নমোনমো করে চোখবুলিয়ে সোজা নোটবইয়ে গিয়ে প্রথমে লেখককে বার খাওয়ানোর জন্য গুটিকতক ভারী ভারী শব্দ খোঁজা, তারপর বাঘা-বাঘা খানদশেক লাইন (সে বাঘের বিচরণ এম. সেন থেকে পি. আচার্যর

Friday, July 29, 2011

ট্রাপিজের খেলা -- হরিদাস পাল


ছবি: সুনন্দ

গত বৃহস্পতিবার আমাদের গাঁয়ে একটা সার্কাস এসেছিল। দূর দূরান্তের গাঁ থেকে অনেক লোক এসেছিল মজা দেখতে। সকাল থেকে বৃষ্টি তে ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল আমাদের গাঁ। পথ-ঘাঠ কাদায় মাখামাখা। এমনিতে এ সময়টা বৃষ্টির কারণে প্রকৃতি সবুজ থাকে। মাটির ঘাস নিঃশ্বাস নেয়। নরম মাটি। তার মধ্যে লোকে হেঁটে-দাপিয়ে আমাদের মাঠের বারোটা বাজিয়ে দিল। এখন আর ও-দিকে তাকানো যায় না। গাঁয়ের লোক এত তো বোঝে না। বুঝবেই বা কী করে? তারা তো এমনটাই দেখে আসছে গত ৩৪-৩৫ বছর ধরে। তখন গাঁয়ের দাদারা যা বলতেন,

Thursday, July 28, 2011

না-মিষ্টি প্রেমের গান -- অরুণাভ

ছবি: সুনন্দ


মিষ্টি...

আজ তোর জন্যই আমি আসব না এই পাড়ায়...
যাব না ওই রাস্তা দিয়ে যেখানে ফুচকাওয়ালাটা দাঁড়ায়...


Wednesday, July 27, 2011

আজ,কাল- আজকাল আমি.. -- লিল্টু


হঠাৎ করে বন্ধু মহলে কেমন একটা শোরগোল পড়ে গেল ব্লগে লিখতে হবে। এতদিন শুনে এসেছি কোনও এক নামীদামী সেলেব্রিটি নাকি ব্লগে কিসব(ছাইপাঁশ) কমেন্ট করে রাতারাতি সাড়া ফেলে দিয়েছে বেশ। ও বাবা! ব্লগে লিখেটিখে আমি আবার সেলেব্রিটি হয়ে যাব নাকি! ভাবতে কিন্তু মন্দ লাগছে না। অবশ্য ভাবতে অনেককিছুই ভালো লাগে, ভাবনাগুলোর জট পাকতেও বেশি সময় লাগে না। সময় লাগে সেই জটগুলোকে খুলতে। তারপর যদি সেটা নিয়ে লেখার কথা ভাবতে হয়...


Tuesday, July 26, 2011

দণ্ডিতের সাথে -- আগন্তুক



মাঝে মাঝেই একটা কথা শুনতে পাচ্ছি আজকাল। কাজি-রা নাকি ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সুবিচার দিতে, চটজলদি এবং মশলাদার বিচার। শুনতে খারাপ লাগলেও এইরকমটা নাকি সংবিধানের অভিপ্রেত ছিল না। মানে, বিচার নাকি সবসময়ই মানুষের জন্য, মানুষ বিচারের জন্য নয় (সত্যি?)Therefore, প্রশ্ন উঠছে, সত্যি যদি তাই হবে , তাহলে এতদিন ধরে এই যে হাজার হাজার মামলা ঝুলে থেকে আমাদের গর্বের সংবিধান কে ন্যুব্জ করে তুললো , তখন এই প্রতিবাদী কণ্ঠ কোথায় ছিল? কিন্তু

Monday, July 25, 2011

হাল(উয়া) হকিকৎ -- দিদিমণি

ছবি: সুনন্দ


আমার নামটা দেখে হয়তো আমার পরিচিতেরা আন্দাজ করতেই পেরেছে আমি কে। আমি সেই ভাগ্যবান কিছু মানুষের মধ্যে একজন যারা নিজেদের পছন্দের কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ পায়। পড়াতে আমি ভালবাসি। আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ আমার ছাত্রীরা। যতক্ষণ স্কুলে থাকি ওদের ভালমন্দ, পড়াশুনো, চাওয়া-পাওয়া, হাসিকান্না সবকিছুর সাথে জড়িয়ে পড়তেই হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমার লেখায় ওদের কথা চলে আসবেই। বয়সে অনেক ছোট হলেও ওদের প্রত্যেকেই এক-একজন পূর্ণাঙ্গ অস্তিত্ব। প্রায় পনেরশোটা মানুষ একসাথে এক

Sunday, July 24, 2011

চলতি কা নাম 'দাড়ি' -- সুনন্দ

ছবি: সুনন্দ


তা, বছর দশেক হবে মন দিয়ে ফিলিম দেখছি। সে অনেক ফিলিম, নিজেরই ভাল মনে নেই অনেক।ও সর্বনাশা নেশায় অনেক কিছুই পোড়ায়। যা এত বছর, এত প্রযুক্তি, এত টাকা ধ্বংস করার পরেও ভাল করে বুঝিনি, তা হল সিনেমার দর্শককে। অথচ, যে যাই বলুক, এক ছাড়া আর অপূর্ণ। আপনি সিনেমা দেখেন কেন?” ভাল লাগে বলে। লোকে সিনেমা বানায় কেন?” ভাল বানালে ভাল তো লাগেই,

Saturday, July 23, 2011

আরও একটা অশান্ত দুপুরে -- হিজিবিজবিজ

ছবি: সুনন্দ

মাঝেমধ্যে মনে হয় একটা মাকড়সা কামড়ালে বেশ হয়। স্পাইডারম্যান হয়ে বেশ কিছু কাজের কাজ করা যাবে। এই ভেবে একবার একটা মাকড়সাকে অনেকক্ষণ হাতের উপর রেখেছিলাম। কিন্ত কামড়াল না! হাত বেয়ে জামার ভিতর ঢুকে পড়েছিল। তারপর প্রায় স্পাইডারম্যানের মত লম্ফঝম্প করেই সেটাকে বের করতে হয়েছিল। তিতিবিরক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া গেল, নাঃ, স্পাইডারম্যান হয়ে বিশেষ লাভ নেই। তাছাড়া মালটার মাঝেমধ্যেই জাল ফুরিয়ে যায়.........হেব্বি হ্যাপা। তার উপর

Friday, July 22, 2011

বুলবুল ভাজা -- হরিদাস পাল

ছবি: সুনন্দ


হরিদাস পালকে নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইতিহাস মৌন। সে এতটাই নিম্নবর্গের মানুষ, যে তাকে নিয়ে আলোচনা ইতিহাসে প্রক্ষিপ্তই থাকে। তাই ইতিহাস নির্ভর না হয়ে লোকগাথার ওপর ভিত্তি করে কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। ওয়াকিবহাল মহলের এক অংশের ধারণা, সেই বিখ্যাত পালেদেরই বংশধর হরিদাস।


Wednesday, July 20, 2011

আমি তোমাদেরই লোক -- অরুণাভ

ছবি: সুনন্দ


বাঙ্গালী স্বভাবকবি, কিছুই না করে শুধু বসে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দিতে তাদের জুড়ি নেই। আর অতীত-বিলাসিতা ? সে তো তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। না না... আমি সমালোচনা করছি না। সে ধৃষ্টতা আমার নেই। কারণ after all আমিও তো বাঙালী, এবং ভাল বা খারাপ যাই বলুন এই সবকটি গুণই আমার মধ্যে প্রবল ভাবেই বর্তমান। বিশেষতঃ স্মৃতিচারণ এবং অতীতমগ্নতা আমার নিষ্কর্মা জীবনের অন্যতম দুই ধারক। এ যেন এক অনন্ত সময়সমুদ্রে জলকেলি...একবার ডুবে যাও, তারপর ভেসে ভেসে উপভোগ কর...পারলে নিজের মতো আরো দু-তিন জন

Monday, July 18, 2011

অ-রাবীন্দ্রিক -- আগন্তুক

ছবি: সুনন্দ


আজকাল বারোমাস-
তোমার সবকিছুতেই দেখতে পাচ্ছি-
আমার সর্বনাশ
পুজার ছলে ভুলিয়ে রাখার দিন কবে শেষ হবে?
খেলাঘর বাঁধা অনেক হয়েছে সপ্তপদীটা কবে?
সেই যবে থেকে জল পড়েছিল পাতা নড়েছিল ধীরে...
নীল নবঘনে কথা দিয়েছিনু অনামী নদীর তীরে।

সে নদী বইল পাগল পারা

Friday, July 15, 2011

ডিং-ডং!! -- সুনন্দ

ছবি: সুনন্দ


কাল রাতে বহুদিন পর একটা ethical dilemma র সামনে পড়লাম।দিব্যি খাওয়া-দাওয়া সেরে একটা সিনেমা দেখতে বসেছি, এমন সময় আমাদের কমপ্লেক্সের সামনের বাড়ি থেকে চিল-চীৎকার ভেসে এল। মহিলা কন্ঠ, ভাষাহীন। চমকে গিয়ে কান পাতলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার। উঠে গিয়ে জানলায় দাঁড়াতে অস্ফুটে শোনা গেল দোহাই তোমারগোছের কিছু কথা। দুটো বাড়ির মাঝে বেশ বড় ফাঁকা জায়গা, সেখানে দু-তিনটে গাড়ি, আর একটা কদম গাছ, তারপর ও অনেকটা জায়গা। এতটা ছাপিয়ে ঘনঘন চীৎকার যখন শোনা যাচ্ছে, তখন ভালই গোলমাল বেঁধেছে নিশ্চয়ই। জানলায়

Thursday, July 14, 2011

অল্প কিছু বিরক্তি -- সুনন্দ



এইটাই আমার স্বাভাবিক লেখার ভাষা। ইঞ্জিরিতে লিখতে গিয়ে সে এক কেলোর কীর্তি হয়েছিল। লোকের অনেক আগে নিজের চোখেই সেই সব লেখা জোলো লাগছিল। এই ব্লগে যা ইচ্ছে হয় লিখবো, বিষয় আর ধরণ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবেনা। তবে, যারা পড়বেন, তাঁদের একটিই অনুরোধ, বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবেন।
সে সব কথা থাক।

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই