১.
কেরানিরা সব হবেন সেক্রেটারি
চলো যাই চলো ভিক্টোরিয়ায় যাবো
কি তিথি আজকে? দ্বাদশীর ভাঙা চাঁদ
তোমার দু’চোখে নামবে – মমতা মাখা
কালকে তোমার জন্য কলেজ স্ট্রীটে
সূর্য পাঠালো কমলা রোদের ছিটে
সেই আলো মেখে গায়ে
চলে গেলে পায়ে পায়ে
তোমার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম দ্যাখোনি ডাইনে বাঁয়ে
বাস ড্রাইভার হয়ে যাবে পাইলট
কেরানিরা সব হবেন সেক্রেটারি
এই গোলমালে এমন বিশ্বায়নে
আমিও তোমাকে ঠিক পেয়ে যেতে পারি!
কালকে তোমার জন্য অলক মেঘে
কাজ ফাঁকি দেওয়া বৃষ্টির ফোঁটা লেগে
সেই বৃষ্টিতে ভিজে
অবাক সেজেছো নিজে
কিছুই বলোনি। তবু ভেবে গেছি – বলতে চেয়েছো কি যে!
তুমি রাজি হলে পৌঁছিয়ে যাবো ঠিক
সেই দূর গ্রহে- যেখানে যাবে না নাসা
স্বপ্নের মতো জিতব অলিম্পিক!
চরম খুনিও শিখে যাবে ভালোবাসা।
চলো যাই চলো ভিক্টোরিয়ায় যাবো
যাবো তো বলছি কিন্তু পকেট ফাঁকা...
আজকে কুরুক্ষেত্রে বড়ই unnecessary
ভিড়
তাইতো যুদ্ধে যাবে না
যুধিষ্ঠির
দ্রোণাচার্যের কোচিং
ক্লাসের থেকে
দূরে ভেসে গেছে ক্লাসমেট
প্রত্যেকে
ফেব্রুয়ারিতে পাসপোর্ট
রেডি,
ভিসা পেতে পেতে জুন
ব্রিফকেস-টেস গুছিয়ে
ফেলেছে – দ্রৌপদী অর্জুন।
যুদ্ধের মাঠে আজ
প্রোমোটার তোলাবাজ
পুলিশ এবং দাদা
সোনার শেকলে বাঁধা
ওর হাতে ফাঁকা পাত্র ধরিয়ে
অন্যে খেয়েছে ক্ষীর
তাইতো যুদ্ধে যাবেনা যুধিষ্ঠির!
তাইতো যুদ্ধে যাবেনা যুধিষ্ঠির!
একনিষ্ঠতা খুব ছিল, কেউ
দেয়নি দাম সেটার
রিনিউ করেছে এক্সচেঞ্জ
তবু দেয়নি কল লেটার।
ব্যর্থ লিডার পার্থসারথি,
গর্তে মুখ লুকোয়
দিন এনে দিন খাওয়ার স্বপ্ন
রোজ মুছে মুছে যায়
‘বল বল বল সবে’
রাষ্ট্র চাইছে কবে
দু’একজনকে বাদ দিয়ে
সব বাকিরা ভিখিরি হবে
‘অশ্বত্থামা-হত-ইতি’ বলে
অন্যে সেজেছে বীর
তাইতো যুদ্ধে যাবেনা
যুধিষ্ঠির!
কিভাবে ফুটলো প্রথম কমল
কলি
কাউকে বলিনি। ভেবেছি
তোমাকে বলি
তেপান্তরের দূরত্বটুকু আজ
ভেবেছি বোধহয় পেরোবে
পক্ষিরাজ।
তার ডানা ভাঙা। রাস্তাও
হিজিবিজি
মোবাইল বলছে- নেটওয়ার্কটাই Busy!
চেষ্টা করছি। পৌঁছতে
পারছিনা।
হেরেই যাচ্ছি। তবু আমি
হারছি না!
হারবো না শেষ মেশ
তাই এই S M S.
স্পষ্ট দেখছি তোমার
ইচ্ছেগুলো
নরম আঙুলে এই S M S ছুঁলো
S M S মানে
মুহূর্তে পৌঁছানো
S M S মানে তুমি সব
কথা জানো
মুখোমুখি বলা যায়নি যে সব
কথা
S M S সেই আলতো
অভিজ্ঞতা
পোড়া সিগারেট – হাওয়ায়
তোমাকে পাই
মেসেজ এসেছে – এসে গেছে Reply.
গল্পের নেই শেষ
এসে গেছে S M S ...
*লেখক,
চিকিৎসক- বারাসত হাসপাতাল
অনেক বছর আগে (২০০৪-০৫ নাগাদ) আমরা কিছু অত্যুৎসাহী বালক একটি পত্রিকা প্রকাশ করি। সেটি একমেবাদ্বিতীয়ম। তার নাম
‘ঐকিক’। এই কবিতাটি সেখানেই প্রথম প্রকাশিত।