হোলি……… বুড়ো থেকে খোকা সবাই এই বিশেষ একটি দিনে হঠাৎ যেন কেমন ক্ষেপে ওঠে। আপনার পাশের বাড়ির ভদ্রলোক, যাঁর সাথে আপনি হয়তো রোজ
সকালে দেশ ও দশের বে-হাল-হকিকত নিয়ে প্যাঁচাল পাড়তে পাড়তে বাজারটা সারেন, সেই তিনি, বলা নেই কওয়া নেই, দুম করে দু’হাতে রং মেখে এসে হয়তো আপনার গালে লেপে দিলেন। সক্কালবেলা মেজাজটা গরম হয় কিনা বলুন দেখি! আরে বাবা, তুই কি পোলাপান? বয়স হয়েছে না! এই কথাগুলো আপনার বলার খুব ইচ্ছে হলেও আপনি কিছুই বলতে পারবেন না। কারণ তিনি ততক্ষণে বত্রিশ পাটি দাঁত কেলিয়ে আপনাকে ‘হ্যাপি হোলি’ জানাচ্ছেন। দস্তুর হলো আপনাকেও ওনাকে ওই রংটং মাখিয়ে ‘হ্যাপি হোলি’ উদযাপন করতে হবে আর কি! আপনার হয়তো রং মেখে সং সাজার ইচ্ছে নেই…… ঘর বন্ধ করে একটি নিরলস ছুটির দিন উদযাপন করছেন…… অমনি আপনার যত বেয়াদপ বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত এমনকি অপরিচিত সমস্ত প্রতিবেশীরা এসে আপনার দরজা ধাক্কাচ্ছে। রং নাকি আজকের দিনে মাখতেই হয়! নাহলে আপনি হবেন ‘unsocial’। তা হলুম নাহয় ‘unsocial’......এমনকি ‘anti-social’ হতেও আপত্তি নেই! আপনি রাগে গজগজ করবেন কিন্তু কিছুই বলতে পারবেন না, ঐ যে আগেই বললাম......দস্তুর! তা তারা তো গেল আপনাকে, আপনার জামা কাপড় আর আপনার ঘরবাড়ি নোংরা করে, আপনার ফ্রিজে যত মিষ্টি ছিল খেয়ে-দেয়ে। আপনি আর কি করেন......ঘর নাহয় একটু নোংরাই থাকল......নিজেকে তো সাফসুতরো করতেই হয়! আর তখনই আপনার মনে পড়ল, শ্যাম্পুটা তো দিন-কয়েক আগেই শেষ। কি আর করবেন? নামুন রাস্তায়। সেখানে পাড়ার যত গেঁড়ি-গুগলি পিচকারি নিয়ে আপনারই অপেক্ষায়। রাস্তার বিভিন্ন দুর্বোধ্য কোণ থেকে আপনার দিকে ধেয়ে আসবে বিভিন্ন রঙয়ের ফোয়ারা। অবশ্য আপনার যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে ধরে নিচ্ছি কোন রংভর্তি বেলুন এসে আপনার গালে আছড়ে পড়বে না। সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছবেন এবং অবধারিতভাবে দোকানটিকে বন্ধ দেখবেন। কিন্তু আপনি তখন ঐ যাকে বলে ‘desperate’ আর কি! আরও কিছুদূর হাঁটার পর আপনার মনে হবে শহরে বুঝি অঘোষিত কার্ফু জারি হয়েছে। শ্রান্ত হয়ে আপনি হয়তো কোন এক বাড়ির ব্যালকনির নিচে ছায়ায় দাঁড়িয়েছেন…… আরে আরে করেছেন কি? আর তো শোধরাবার উপায় নেই! এবার আর পিচকারি-টিচকারি নয়…… বালতি ভর্তি রং আছড়ে পড়েছে আপনার মাথায়। এঁদের কথা তো আপনাকে বলাই হয়নি। এঁরা হলেন অধুনা যুগের লজ্জাশীলা নারীকুল। এঁদের রং মেখে সং সেজে ঢং করার ইচ্ছে প্রবল হলেও রাস্তায় নেমে খিল্লিতে কিঞ্চিত আপত্তি রয়েছে। অগত্যা বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আপনার মত পাঁঠার অপেক্ষায়! আপনি পরাভূত। জগতের প্রভূত অন্যায় অবিচারের মত আপনি এটাও মাথা হেঁট করে মেনে নিয়ে পা বাড়ালেন বাড়ির পথে। কাল আপনার অফিসের সবাই এসে আপনার সামনে বিভিন্নভাবে দাঁত কেলিয়ে প্রশ্ন করবে, ‘কি দাদা, ভালোই তো রং খেলেছেন মনে হচ্ছে.....ঘাড়ের কাছটায় এখনো যেন একটু লেগে!’ হ্যাঁ , এখানেও জবাবটা গিলে ফেলে আপনাকে হাসতেই হবে। কেন আবার? দু’দুবার তো বললাম! কিছুই আপনি পড়েন না মন দিয়ে!
সকালে দেশ ও দশের বে-হাল-হকিকত নিয়ে প্যাঁচাল পাড়তে পাড়তে বাজারটা সারেন, সেই তিনি, বলা নেই কওয়া নেই, দুম করে দু’হাতে রং মেখে এসে হয়তো আপনার গালে লেপে দিলেন। সক্কালবেলা মেজাজটা গরম হয় কিনা বলুন দেখি! আরে বাবা, তুই কি পোলাপান? বয়স হয়েছে না! এই কথাগুলো আপনার বলার খুব ইচ্ছে হলেও আপনি কিছুই বলতে পারবেন না। কারণ তিনি ততক্ষণে বত্রিশ পাটি দাঁত কেলিয়ে আপনাকে ‘হ্যাপি হোলি’ জানাচ্ছেন। দস্তুর হলো আপনাকেও ওনাকে ওই রংটং মাখিয়ে ‘হ্যাপি হোলি’ উদযাপন করতে হবে আর কি! আপনার হয়তো রং মেখে সং সাজার ইচ্ছে নেই…… ঘর বন্ধ করে একটি নিরলস ছুটির দিন উদযাপন করছেন…… অমনি আপনার যত বেয়াদপ বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত এমনকি অপরিচিত সমস্ত প্রতিবেশীরা এসে আপনার দরজা ধাক্কাচ্ছে। রং নাকি আজকের দিনে মাখতেই হয়! নাহলে আপনি হবেন ‘unsocial’। তা হলুম নাহয় ‘unsocial’......এমনকি ‘anti-social’ হতেও আপত্তি নেই! আপনি রাগে গজগজ করবেন কিন্তু কিছুই বলতে পারবেন না, ঐ যে আগেই বললাম......দস্তুর! তা তারা তো গেল আপনাকে, আপনার জামা কাপড় আর আপনার ঘরবাড়ি নোংরা করে, আপনার ফ্রিজে যত মিষ্টি ছিল খেয়ে-দেয়ে। আপনি আর কি করেন......ঘর নাহয় একটু নোংরাই থাকল......নিজেকে তো সাফসুতরো করতেই হয়! আর তখনই আপনার মনে পড়ল, শ্যাম্পুটা তো দিন-কয়েক আগেই শেষ। কি আর করবেন? নামুন রাস্তায়। সেখানে পাড়ার যত গেঁড়ি-গুগলি পিচকারি নিয়ে আপনারই অপেক্ষায়। রাস্তার বিভিন্ন দুর্বোধ্য কোণ থেকে আপনার দিকে ধেয়ে আসবে বিভিন্ন রঙয়ের ফোয়ারা। অবশ্য আপনার যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে ধরে নিচ্ছি কোন রংভর্তি বেলুন এসে আপনার গালে আছড়ে পড়বে না। সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছবেন এবং অবধারিতভাবে দোকানটিকে বন্ধ দেখবেন। কিন্তু আপনি তখন ঐ যাকে বলে ‘desperate’ আর কি! আরও কিছুদূর হাঁটার পর আপনার মনে হবে শহরে বুঝি অঘোষিত কার্ফু জারি হয়েছে। শ্রান্ত হয়ে আপনি হয়তো কোন এক বাড়ির ব্যালকনির নিচে ছায়ায় দাঁড়িয়েছেন…… আরে আরে করেছেন কি? আর তো শোধরাবার উপায় নেই! এবার আর পিচকারি-টিচকারি নয়…… বালতি ভর্তি রং আছড়ে পড়েছে আপনার মাথায়। এঁদের কথা তো আপনাকে বলাই হয়নি। এঁরা হলেন অধুনা যুগের লজ্জাশীলা নারীকুল। এঁদের রং মেখে সং সেজে ঢং করার ইচ্ছে প্রবল হলেও রাস্তায় নেমে খিল্লিতে কিঞ্চিত আপত্তি রয়েছে। অগত্যা বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আপনার মত পাঁঠার অপেক্ষায়! আপনি পরাভূত। জগতের প্রভূত অন্যায় অবিচারের মত আপনি এটাও মাথা হেঁট করে মেনে নিয়ে পা বাড়ালেন বাড়ির পথে। কাল আপনার অফিসের সবাই এসে আপনার সামনে বিভিন্নভাবে দাঁত কেলিয়ে প্রশ্ন করবে, ‘কি দাদা, ভালোই তো রং খেলেছেন মনে হচ্ছে.....ঘাড়ের কাছটায় এখনো যেন একটু লেগে!’ হ্যাঁ , এখানেও জবাবটা গিলে ফেলে আপনাকে হাসতেই হবে। কেন আবার? দু’দুবার তো বললাম! কিছুই আপনি পড়েন না মন দিয়ে!