আকাশের দিকে চেয়ে হাসতে দেখেছিলাম ছেলেটাকে
ওর ইচ্ছে ছিলো রোদ হয়ে লুকোচুরি খেলবে মেঘের সাথে।
ঝিরঝির বৃষ্টির মাঝে তার মাটিমাখা চুলে
স্নেহ চুম্বন দিয়েছিলো আলতো বাতাস।
স্কুল ছুটির পর বন্ধুর সাথে বানিয়েছিলো মাটির ঢিবি
ওখানে পোঁতা হবে স্বাধীনতার পতাকা।
ওর বাবা কিনে দিয়েছিলো সান্ধ্য-চা কে ফাঁকি দিয়ে।
সকাল থেকে অঝোর বৃষ্টিতে ডুবে ছিলো চারিদিক
ফেরার পথে চঞ্চল পা ফসকে এক্কেবারে ডোবায়।
হঠাৎ রাস্তায় সগর্জনে রাজার গাড়ি
একরাশ কালো ধোঁয়া ছেড়ে প্রশ্ন করে
কি নাম তোর? রাম, না রহিম?
কালো ধোঁয়া ততক্ষণে গ্রাস করেছে কণ্ঠনালী,
ছেলেটির কাছে ছিলো না একটুকরো গেরুয়া কাপড়।
দু’হাতে চেপে ধরেছিলো নিজের নাক-মুখ।
জেদি রাজার রক্ত চক্ষুতে থমকে ছিলো দমকা বাতাস।
সকলে দেখেছিলো ছেলেটির ভেসে থাকা লাশ
সেই স্বাধীনতার পতাকাটা আর পোঁতা হয়নি।
২)
তুমি ফিরে এসো
আগুনের হাত ধরে, লৌহবর্ম পরে,
পিঠে ত্রিশূল আর বুকে যীশু নিয়ে।
গেরুয়া কুর্তায় সবুজ আবির মেখে
তুমি ফিরে এসো।
কোমরে কৃপাণ আর ডানহাতে বরাভয় নিয়ে
খড়ম আর নাগরার ছাপ পাশাপাশি ফেলে
তুমি ফিরে এসো।
তুমি ফিরে যেও
বোরখার নীচে মালকোঁচা মেরে
কাচের চুড়িতে সিঁদুর মাখিয়ে
গীতার শ্লোকের ফাঁকে আয়াত শুনিয়ে।