মৃত্যুর
উপত্যকায় একবিন্দু প্রাণের খোঁজে, লড়ে যাচ্ছি নিজের সাথে।
প্রতি
মুহূর্তে যে হৃদ্পিণ্ডটা চাইছে স্পন্দিত হতে
চাইছে
স্পর্শ পেতে সেই জিয়নকাঠিটার
সেটাই
খুঁজে চলেছি নিরাশার অন্ধকার গলিটায়।
তুমি
বলবে
এ
তো প্রকৃতির নিয়ম, জীবনের চরম সত্য
সবই
একদিন বিলীন হয়ে যাবে পঞ্চভূতে ।
আমি
বলব – না
!
সাধ্য
কি তার
এত
কঠোর ভাবে,
তিলে তিলে গড়ে তোলা জীবনগাথার তালভঙ্গ করে ?
আমি
তো কোনও বাস্পকনা নই, যে উবে যাব,
কোনও
স্বপ্নও নই যে চোখ খুললেই উধাও হয়ে যাব,
আমি
যে স্রষ্টার অহংকার।
তুমি
বলবে
ওরে
পাগলি তাকিয়ে দেখ, ওই ঝরা ফুলটার দিকে
দেখ্
, প্রদীপের
বুকটা জ্বলে যাচ্ছে,
পালক
গুলোও ঝরে পরছে পাখিটার ডানা থেকে
শুধু
একটা দম্কা হাওয়ার আপেক্ষা।
আমি
বলব
তুমি
অন্ধ
দেখতে
পাচ্ছ না ঝরা ফুলের পাশের কুঁড়িটা,
চেয়ে
দেখো নেভেনি প্রদীপটা এখনো
আর
নতুন পালকটাও দেখতে পাওনি বুঝি ?
আমি
দেখতে পাচ্ছি
চারিদিকে
প্রচুর আলো,
প্রচুর গন্ধ, প্রচুর বৈভব
দেখতে
পাচ্ছি লালাভ উদীয়মান সূর্যটাকে,
শরীরের
রোমে রোমে অনুভব করছি সেতারের সুরমূর্চ্ছনা।
আজ
সমস্ত শক্তি দিয়ে বলতে ইচ্ছা করছে,
আমি
বাঁচব।