ছিলো এক দেশ যার গরিমা মহান।
পুণ্যভূমি রাঙ্গা হলো গাঢ় লাল রঙ।।
গাহিব সে গাথা এবে শুন পুণ্যবান।।
উপায় ছিলো না ভিন্ন দিল্লি জুড়িতে।।
তারপর নামে তার ‘পশ্চিম’ আঁটিল।
ধন-মান যাহা ছিলো একে একে গেলো।।
হঠাৎ আসিল দেশে ভোটবাবু সঙ।
পুণ্যভূমি রাঙ্গা হলো গাঢ় লাল রঙ।।
হাতুড়ী তারার মাঝে ধানশীষও ছিলো।
সবে মিলে কিছুকাল ভালোই কাটিলো।।
অপুত্রের পুত্র হয়, নির্ধনের ধন।
বাম-গুণ গায় সদা যত বঙ্গজন।।
কিন্তু হায় কথা আছে লঙ্কামাঝে গেলে।
রাবণ হইবে সবে নিশ্চিত একালে।।
হলো নাকো মিথ্যা সেই প্রবাদ-বচন।
‘আমরা-ওরা’ নামে ক্রমে হলো বিভাজন।।
চাষজমি গেলো চলে চারচাকা তলে।
পাহাড়-অরণ্যে কালে অশান্তি ঘনালে।।
এই শুভক্ষণে দেখা দিলা দিদিমণি।
শুভ্রবেশ-রুক্ষকেশ রণ-রঙ্গিণী।।
ইষ্টমন্ত্র দিলা জপি ‘পরি-বর-তন’।
দিবা-রাতি এক করি লভে জনমন।।
সিংহাসনে বসি তিনি হাঁকিলা গরজে।
রাজকোষে নাকি শুনি ভবানী বিরাজে।।
কড়ি নাই একফোঁটা কি করিব বল।
যতদোষ নন্দঘোষ এমতই কহিল।।
বঙ্গবাসী অতএব ছিলো যে আঁধার।
তিমির রহিলো একই ইচ্ছা বিধাতার।।
যত পারো নিজগুণে কর পলায়ন।
বিলাত-বিভুঁয়ে কর সঙ্কল্প সাধন।।
চিন্তা নাহি এদেশেও কিছু তো ঘটিবে।
দিল্লি যবে দয়া করি কানাকড়ি দিবে।।
তার আগে নিজ নাম বদল করিব।
ইঙ্গ-বঙ্গ সবেতেই ‘পশ্চিম’ হব।।
আশা রাখি একদিন অতীতের প্রায়।
পুণ্যভূমি উঠিয়া দাঁড়াবে নিজ পায়।।
ততদিন দাদা-দিদি কাজিয়া চালাও।
কথা শেষ এয়োগণ উলুধ্বনি দাও।।