Monday, December 26, 2011

দশদর্শী -- আগন্তুক


আলু–পটল থেকে ফুলকপি, খুচরো ব্যবসায় দিল্লির সিংহাসন টলমল। দাদারা চোখ রাঙাচ্ছেন, দিদি দু’বেলা নিয়ম করে শাসাচ্ছেন, মুকুট থুড়ি পাগড়ী বাঁচাতে অতএব ব্যাক টু পাস্ট। যাচ্চলে,

এ.এম.আর.আই -- সৌম্যজিৎ রজক

"বিরুদ্ধতার চাবুক ওঠাও হাতে 
তোমার স্বদেশ লুঠ হয়ে যায় প্রতিদিন প্রতিরাতে" - বিপুল চক্রবর্তী

Thursday, December 22, 2011

শহরতলি ২ -- পিয়াল

দুপুর নেমেছে, রোদ্দুর তবু ছিল না তেমন গাঢ়

জেম্মার ডায়রি ৪ -- স্নেহলতা



তিতিরের কথা
দুটো ছটাকা দামের কফির কাপ, এক প্লেট বাটার ফ্রাই (জানি ওটাকে ব্যাটার ফ্রাই বলে, তমিস্রা

Monday, December 19, 2011

Livelihood -- Joy


Please click on each photo for larger view. (ছবিগুলো বড় করে দেখতে চাইলে ওপরে ক্লিক করুন।)


The Cobbler : This photo was taken at Esplanade Bus Depot, Kolkata. I was searching for

হাতি, গন্ডার, পাহাড় আর আমরা কয়েকজন- ১ -- লিল্টু

অরণ্য রিসর্ট
টিং টিং টিং টিং ---- টিং টিং টিং টিং টিং” – বার পাঁচেক এই ঘ্যানঘেনে অ্যালার্মের আওয়াজ

Thursday, December 15, 2011

Neutrino - যুক্তি, তক্কো, গপ্পো -- সঞ্চারী



তোরে হেথায় করবে সবাই মানা।
হঠাৎ আলো দেখবে যখন
       ভাববে এ কী বিষম কান্ডখানা।“
                                  --[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘বলাকা’, ]


Monday, December 12, 2011

ধারাবিবরণী -- খেঁদি - পেঁচি

উৎস : লিঙ্ক
ধারাবিবরণী ১
ছেলেবেলা থেকেই ভাবসম্প্রসারণ করে আসছি 'চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন'...অর্থা চিরসুখী মানুষেরা কখনোই

কিশোরী -- অরণ্য

‘..তাকায়নি সেই মেয়ে।
গ্লানির ভারে অবশ করে পাড়া,
              মিলিয়ে গেল দুটি পায়ের শ্লোকে।’

Thursday, December 8, 2011

শহরতলি-১ -- পিয়াল

ছবি: সুনন্দ
মাঝেমাঝেই এমন আসে হঠা পাওয়া মেঘলা দুপুর
শিলি ফোটা গাছের পাশে জলের

জেম্মার ডায়রি-৩ -- স্নেহলতা

<<আগের সংখ্যা
জেঠিমার ঝুলি
আমার নাকি কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতটাই কমে যাচ্ছেযে কিছুদিন পরে নিতান্ত ভাল-মন্দের

Monday, December 5, 2011

'উস্তাদ জিন্দা রহেগা' -- শ্রীজিত

সব ছবি: শ্রীজিত
আচ্ছা বেনারস-এর কথা বললে সবার আগে কি মনে পড়ে বলুন তো? বিশ্বনাথ মন্দির বা

Thursday, December 1, 2011

'অ'-ঘৃণা -- ঐকিক

Uploaded with ImageShack.us
মাতৃভাষায় চাষ করে খাই,
জবাই করেছি ব্যাকরণ বই,
ইঙ্গ-হিন্দি আক্রমণেও

সেই লোকটা -- তপোব্রত

একটা রহস্যজনক লোক। লম্বা-চওড়া চেহারা, বড় বড় চুল, অভিব্যক্তিহীন মুখ। পরনে সবুজ গেঞ্জি, ডেনিম ব্লু জিনস্‌ আর বেশ কেতার সানগ্লাস। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়েই আছে ল্যাম্পপোস্টের সামনে। সকাল আটটার

Monday, November 28, 2011

Autumn in my Heart -- Chayan


Please click on each photo for larger view. (ছবিগুলো বড় করে দেখতে চাইলে ওপরে ক্লিক করুন।)

Fall has always been the most cherished of all seasons in Korea, a time to harvest and to hike, to travel and to party, to live and to love. 

কেমন আছিস ?-- শমীক

কেমন আছিস আমায় ছেড়ে ?
কেমন বাঁচিস অনেক দূরে ?

Thursday, November 24, 2011

অধিগ্রহণ -- সৌম্যজিৎ রজক

একর লাগবে না
পা রাখতে পারলেই দাঁড়িয়ে যাবো, দেখো

তোমার বুকে ওটুকু জমি হবে তো?

জেম্মার ডায়রি ১ ও ২ -- স্নেহলতা

জেম্মার ডায়রি-১
অসমবয়সী কথোপকথন
জেম্মা, জেম্মাকরে পাগল করে দেয় মেয়েটা। নিজে কিচ্ছুটি নাড়বেননা, কোন কাজে হাত

Monday, November 21, 2011

অন্তহীন -- সঞ্চারী

বিকেলের রোদ পড়ে আসার আগেই
আমি হারিয়ে ফেলেছি

'যদি হও সুজন...' -- গঞ্জিলা

বড়লোকের বস্তির আস্তানা থেকে সকাল সাড়ে নটায় অফিসের জন্য বেরোন সুজনবাবু। সরকারি

Thursday, November 17, 2011

বাঙ্ময় নৈঃশব্দ্য -- সুনন্দ


“The most terrifying fact about the universe is not that it is hostile but that it is indifferent; but if we can come to terms with this

আগল খোলা 'কথা'

বন্ধুরা,
প্রথমেই কথা তো বলার জন্যেই’-এর পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই অশেষ ধন্যবাদ। নেহাতই অনভিজ্ঞ আমরা কয়েকজন মিলে হঠাৎ করেই শুরু করেছিলাম এই ব্লগ। আপনাদের এতখানি

Monday, November 14, 2011

Photographing People-- Bhaskar

Please click on each photo for larger view. (ছবিগুলো বড় করে দেখতে চাইলে ওপরে ক্লিক করুন।)
Ganga Arti

This image was taken in Varanasi, one of the oldest living cities in the world. The ‘Ganga Arati’ is one of the rituals

ঠাণ্ডার দিনলিপি -- অভীক

১২ই ডিসেম্বর:
--------
ক্রমশ পড়ছে শীত
আজ ঠাণ্ডা কমে হল দশ

Thursday, November 10, 2011

পশুপতিবাবুর গল্প -- খেঁদি - পেঁচি

আমাদের পাড়ার বিশিষ্ট সজ্জন পশুপতিবাবু শেষমেশ একঘরে হয়ে গেলেন। খবরটা বেদনার নিঃসন্দেহে, কিন্তু উপশমের পথও যে অজানা। কথায় বলে, দুঃখ ভাগ ক'রে নিলে কমে, অগত্যা

Madhubanti (মধুবন্তী) Second Part- Siddhartha(সিদ্ধার্থ)



The first part of a file has been published in this blog a few days ago: Madhubanti (Aalap and Jor)
Here is the second part of the recital. (This is in Jhaaptaal and Trital respectively.)

Sidhu Madhubanti 2
Siddhartha Bhose started learning Sarod  when he was seven years old under the tutelage of Smt. Shree Gangopaddhay (daughter and disciple of Sangeet Acharya Sri Shyam Gangopaddhay) and continued for ten years. From the age of eighteen he has been taking lessons from Pandit ParthoSarathy (disciple of Bharat Ratna Pandit Ravi Shankar) till now. Has performed at Doordarshan and Akashbani as a child. Winner of National Scholarship from Government Of India (both senior and junior). Has performed at Dover lane Music Conference (junior section), Sutanuti Parishad and many other platforms.
He has completed his masters in Physics this year.

Monday, November 7, 2011

স্মৃতি লজ -- কূপমণ্ডূক

পিকনিক করতে গিয়েছিলাম সেবার, নদীর ধারে। শুধু আমরা নয়, প্রচুর লোকজন জমেছিল সেদিন। শুকনো মরা নদী, তাই নিয়ে লোকের আদিখ্যেতার

A Painter's Den - Dhananjoy

Please click on each painting for larger view. (ছবিগুলো বড় করে দেখতে চাইলে ওপরে ক্লিক করুন।)Extended details of all paintings are at the ens of the post.



1. Ashtray

Thursday, November 3, 2011

চুল তো পাকার জন্যেই -- হিজিবিজবিজ


বয়স? এই ২৫ কি ২৬। আচ্ছা, আচ্ছা, ২৬। মাইরি বলছি এখনও ২৭ হয় নি। বিয়ে-থা হয় নি। চাকরি-বাকরি ও

প্রাচীন বৃক্ষ -- অরণ্য

খুব ছোটবেলা থেকেই তাকে চিনতাম। আমাদের বাড়ির ছোট্ট উঠোনের এক পুরোনো পেয়ারা গাছ। সেই আমার আম্মার জিন ধরা নানির বড়ো আদরের পেয়ারা গাছ। যে নানি খুব সহজেই সাদা জিন

Monday, October 31, 2011

মধুবন্তী (আলাপ, জোড়) - সিদ্ধার্থ




Sidhu madhubanti


Siddhartha Bhose started learning Sarod  when he was seven years old under the tutelage of Smt. Shree Gangopaddhay (daughter and disciple of Sangeet Acharya Sri Shyam Gangopaddhay) and continued for ten years. From the age of eighteen he has been taking lessons from Pandit ParthoSarathy (disciple of Bharat Ratna Pandit Ravi Shankar) till now. Has performed at Doordarshan and Akashbani as a child. Winner of National Scholarship from Government Of India (both senior and junior). Has performed at Dover lane Music Conference (junior section), Sutanuti Parishad and many other platforms.
He has completed his masters in Physics this year.

চশমা – খুকি -- রাকা


চৌকোণা এক পদ্ম-পুকুর, চারদিকে তার পদ্য ঠাসা
সেই যে দেশে চারচোখা এক চশমা-খুকির ছোট্ট বাসা।

Wednesday, October 26, 2011

শুভ দীপাবলি



বাড়ির পুজো: ফিরে দেখা -- চপলেশ

প্রতিমার যাত্রার দিন সেবার ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছিল। ঠাকুরঘর এর সামনে কাঁসি, করতাল

Monday, October 24, 2011

আমাদের ছাদে/ কে বসে বসে কাঁদে... -- গঞ্জিলা


আমার বাড়ির চতুর্দিকে গিজগিজে বাড়ি আর ফ্ল্যাট। আগে অবশ্য বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ি এত ছিল না, গত চার-পাঁচ বছরে এগুলো সব তৈরি হয়েছে। আমার বাড়ি বলতে যেখানে জন্মের পর থেকে আমি

Pareshnath Jain Temple - Joy Acharyya

Please click on each photo for larger view. (ছবিগুলো বড় করে দেখতে চাইলে ওপরে ক্লিক করুন।)
[These photos were shot after obtaining special permission from the trustees of the temple. Photography inside the temple is strictly prohibited unless prior special permission is taken.]

Thursday, October 20, 2011

স্ট্যাটাস-অন্‌লাইন -- লিল্টু

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন প্রথম হাতে খড়ি হয় অর্কুটে। নতুন বন্ধু পাতানো, পুরনো বন্ধু খুঁজে বার

বিধিসম্মত সতর্কীকরণ -- সৌম্যজিৎ রজক



আপনি অসামান্য কাঁপুনি অনুভব করছেন
স্যার, ম্যালেরিয়া মুরগি ফ্লু আসছে

কালচে চ্যাটচ্যাটে দিন আসছে

Monday, October 17, 2011

জলকেলি -- খেঁদি - পেঁচি


ছবির উৎস: লিঙ্ক
আচমকা কটা দিন ছুটি পেয়ে ভাবলাম কলকেতায় গিয়ে এট্টু মৌজ করে আসি। সেখানে এক কামরার একটি ফেলাটে আমার

হাঁড়িচাঁচা -- খেঁদি - পেঁচি

আপনারা হাঁড়িচাঁচা পাখি দেখেছেন? চলন্তিকায় বলেছে, কালো ধূসর রঙের পাখি (magpie জাতীয়) – আমি  হাঁড়িচাঁচাই দেখিনি, তো magpie আর কোত্থেকে দেখবো বলুন? আর কালো ধূসর যে

Thursday, September 29, 2011

লেট নাইট গল্প -- সৌম্যজিৎ রজক


বহুত রাতে, কাল
চাঁদ নেমে এসেছিলো বিছানায়
স্যারের বৌয়ের সাথে প্রেম;
কি ঝক্কি !
- বলে গেছে
বলে গেছে, আরও চাপ,
একা একা রাত জাগা
বহুত রাতে, কাল
চাঁদ নেমে এসেছিলো কাউন্টার চাইতে
চেয়ে গেছে,
রাত জেগে গ্রাম পাহারার সম্মতি।



তবক -- নির্মাল্য


দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসছে দেবযানীর। গায়ের ভারী গয়না, দামী শাড়ি সবই যেন ম্লান হয়ে যাচ্ছে আন্তরিক চোখের জলে। আন্তরিক? যদি হতো! যদি সত্যিই কাঁদতে পারত দেবযানী, ভাবতে ভাবতে সত্যিই যেন ভেতরটা ভারী হয়ে আসতে চায় তার- কাট্‌- এক্সেলেন্ট! চিৎকার করে ওঠেন পরিচালক। চিন্তার চাকাটা অজানার দিকে গড়িয়ে যায় দেবযানীর। স্পটগার্লের এনে দেওয়া রুমালে চোখের তলার কালি মুছে ফেলে সে। স্পটের একধারে ইজিচেয়ারে গা এলিয়ে দেয়, চুল খুলে, দুচোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকে। আজ করবী লাহিড়ীকে একডাকে চেনে সারা বাংলা। বছর দুয়েক আগেও ব্যাপারটা এতো সহজ ছিল না-'পারিবারিকধারাবাহিকের জনপ্রিয় গৃহবধূ করবী- বাস্তবের দেবযানীর অস্তিত্ব যেন গ্রাস করেছে। পরিচালকের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, অসংখ্য বাঙালী বধূর শুভেচ্ছাবার্তার মাঝে সে কতটুকু আর দেবযানী? তাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিয়ে পরিচালক মিঃ ব্যানার্জী শুরু করেছিলেন পারিবারিক। আজ সবকটা চ্যানেলের সমস্ত ধারাবাহিককে অনেক পিছিয়ে ফেলে পারিবারিকপ্রথম-দি নাম্বার ওয়ান। বাবার বয়সী পরিচালকের কাছে সে শুধু করবী লাহিড়ীই নয়, স্নেহের পাত্রীও বটে।

রাতবিরেতে -- রাকা


এমনি করেই রাত যদি হয় বাৎ যদি হয় দিনদুনিয়ায়
নৈশ ছাদে কাৎ হয়ে আজ এক পা-দু পায় দিন গুনি আয়।
নেশায় নেশায় বাঁই বনাবন ঘুরবে যখন এই পৃথিবী।
হাত-বেহাতেই নাচতে থাকুন ইস্কাবনের টেক্কা-বিবি।
ঠ্যাং দোলাবেন দস্যি হাওয়ায় মাঘ-ফাগুনের কৃষ্ণচূড়া
মিলন্তি রং মিললে তখন খুন্তি নাড়েন দিগ বধূরা।
ঠানদি হাতের হাণ্ডিকাবাব-- বজ্র- বাঁধন ফস্কা গেরো
আলতো হাতে ঢাল তো পাতে--- আর কি ভাবিস সাতসতেরো?
কেউ কি জানিস, আমরা কজন এই ছাদে এই রাতবিরেতে
রোজ আসি আর ভোজ সেরে রোজ জ্যোছনা জমাই ছাঁকনি পেতে!
আধমিনিটের চাঁদনী মিতে, নয় তো নেহাৎ সস্তা সে যে
রোজের হিসাব করছি দাখিল দলিল এবং দস্তাবেজে।
টিফিন- ক্যারি উপচে যেদিন জমবে আলো রাতদুপুরে
আমরা চাঁদের হাট বসাবো গঞ্জে- গাঁয়ে শহর জুড়ে।

অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে -- ঐকিক


৬ সহস্র পীতবর্ষ:
আজ উইসিনুন চলে গেল। নিঃশব্দে। অনেকদিন ভাবার পরেই নিল সিদ্ধান্তটা। জানতাম, তৈরিও ছিলাম, কোন অনুতাপ বা শিশুসুলভ টানও ছিলনা। তবু আমায় পেয়ে বসেছে এই বিষণ্ণতা। সামনের ঝর্ণার জল, নতুন কোন গবেষণা- এমনকি ওই হলুদ নক্ষত্রের দিগন্ত পার করা, যাকে এখন সবাই বলি বিসর্জন- কিছুই আর ঠিক সেই ইচ্ছে জাগাতে পারছেনা পরের দিনের সব কাজ করার। এ এক অদ্ভুত রোগ। চিকিৎসা আজও আমাদের অজানা। আমাদের গ্রহে এর অস্তিত্বও কেউ জানেনা, কিন্তু এখানে! একটা গোটা প্রজাতি উজাড় হয়ে গেল এই মহামারীতে। উইসিনুন, উওয়ারুহ্‌ন, উইনিড্রোন- সব তাবড় প্রকৃতিবিদ হার মেনেছিল এর কাছে। সবাই শেষ অবধি মেনে নিয়েছিলাম, এটা এই গ্রহেরই আবহাওয়ার কোন বৈশিষ্ট্য- কারণ ছাড়াই মানসিক অবস্থার হঠাৎ পরিবর্তন আর অদ্ভুত এক জীবন-বিমুখ অভিব্যক্তি গ্রাস করে রোগীকে। লজ্জাজনক এক বিষয়ে অপরিসীম গুরুত্ব আরোপ করে তখন সে- আত্মচিন্তা। প্রজাতি নয়, তার কাছে তখন বড় হয়ে ওঠে ওই সামান্য অস্তিত্ব- নিজ দেহ-মন। আমি মোউন-উহ্‌, একমাত্র নীরোগ প্রাণ অবশিষ্ট আছি এই প্রজাতির। সেও বোধহয় আর ঠিক থাকলো না। আমিও বিষণ্ণ
আর কেউ থাকলো না। উইসি- ওকে শেষ দিকে এই বলেই ডাকতে শুরু করেছিলাম,

ফুলকপির কাটলেট -- লিল্টু


সরঞ্জাম:
১) মাঝারি সাইজের ১ টা ফুলকপি, ২) ১ কাপ ছোলার ডাল, ৩) ১-২ পিস পাউরুটি, ৪) ধনে পাতা কুচি এক মুঠো, ৫) ১ চা চামচ করে লঙ্কা আর জিরে গুঁড়ো, ৬) ২ টো কাঁচাকঙ্কা কুচি, ৭) নুন স্বাদ মতো, ৮) ডিম বা দুধে গোলা কর্ন ফ্লাওয়ার, ৯) বিস্কুটের গুঁড়ো, ১০) সাদা তেল।
পদ্ধতি:
ফুলকপি আর ছোলার ডাল আলাদা করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ছোলার ডাল

কড়াই চিকেন -- লিল্টু





সরঞ্জাম:
১) ৭০০ গ্রাম চিকেন, ২) দুই বড় চামচ ধনে, ৩) ৪ টে শুকনো লঙ্কা, ৪) ১/২ চা চামচ মেথি, ৫) চার বড় চামচ সাদা তেল এবং এক বড় চামচ ঘি, ৬) দুই বড় চামচ আদা-রসুন পেস্ট, ৭) ২ টো বড় পেয়াজ কুচোন, ৮) ৩ টে বড় টমেটো, ৯) ১ চা চামচ হলুদ, ১০) ১ চা চামচ আমচুর পাউডার, ১১) ১ বড় চামচ গরম মশলা, ১২) নুন আর লাল গুঁড়ো লঙ্কা স্বাদ অনুসারে, ১৩) এক মুঠো ধনে পাতা, ১৪) একটা বড় ক্যাপসিকাম, ১৫) Evaporated milk- ১ কাপ বা প্রয়োজন অনুসারে।

বেঁচে থাকার গান -- দূর্বা


মৃত্যুর উপত্যকায় একবিন্দু প্রাণের খোঁজে, লড়ে যাচ্ছি নিজের সাথে।
প্রতি মুহূর্তে যে হৃদ্‌পিণ্ডটা চাইছে স্পন্দিত হতে
চাইছে স্পর্শ পেতে সেই জিয়নকাঠিটার
সেটাই খুঁজে চলেছি নিরাশার অন্ধকার গলিটায়।

তুমি বলবে
এ তো প্রকৃতির নিয়ম, জীবনের চরম সত্য
সবই একদিন বিলীন হয়ে যাবে পঞ্চভূতে ।

আমি বলব না !

মা আসছেন P P P মডেলে -- হরিদাস পাল


পুজো মানে কী?
বাঙালিদের কাছে পুজো মানেই দুর্গা পুজো।
কেন?
কারণ দুর্গা পুজোর মতো এমনই একটা মেগা ইভেন্ট আর আছে নাকি? গোটা ভূ-ভারতে আছে কিনা সন্দেহ। এ এক আলাদা মজা। ওই সব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পড়ে টড়ে কিসসু হয় না। এক এক পাড়ায়, লাল্টু, ঝন্টু, পল্টুদা যা সামলে দেয় না, বলার কথা না।
কেন?
দূর মশাই। খালি কেন, কেন করেন কেন? এখানে দুদশ বছর থাকুন, তখন বুঝবেন। ব্যাপারখান কী। আর যদি নিতান্তই শুনতে চান, তা হলে বলব। কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুনতে হবে বলে দিলাম।
কি বললেন, তা শুনব? আচ্ছা বিপদে পড়া গেল রে ভাই। কত করে কাটাতে চাই, কিছুতেই কথা শোনে না। কী বলি এখন? ছোটো বেলায় রচনা আসলে লিখতাম। এখন কি আর সে সব মনে আছে? শালা, পিছন ছাড়ে না...কেন, কেন, কেন আর কেন...। উফ্‌ জ্বালিয়ে খেলে।

ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট -- শমীক


পোস্ট ১
একটা টাকামাইন গিটার, একটা হুডখোলা উইলিস জিপ, একটা ডালমেশিয়ান কুকুর, কিছু টিচারস ফিফটি হুইস্কির বোতল আর প্রচুর বই-গান-সিনেমা।
হিরে-জহরত, সোনা-রুপো, গয়নাগাটির ব্যবসা পেরিয়ে বছর চৌত্রিশের অর্কপ্রভ দে-র জীবন-সমীকরণটা এমনই সহজ-সরল।
সম্প্রতি তাকে একটা নতুন নেশায় পেয়েছে- সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং। ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কড-ইন, গুগল-প্লাস ইত্যাদি ইত্যাদি।

দাস প্রজন্ম -- সৌম্যজিৎ রজক



কথাগুলো এবার থেকে ট্রেন চলে যাওয়া প্ল্যাটফর্মের মতো
কথাগুলো আমাদের, শান্ত থাকবে এবার থেকে
সে সব বদরাগী রঙ ঝেড়ে ফেলবো ঠোঁট থেকে,
যা ভাগিয়ে দেয় বন্ধুদের
কবিতা শুরু থেকেই প্রেমের
কবিতা আমাদের, প্রেমেরই থাকবে আজীবন
রক্ত না, বমি না, পিত্তি বা পুঁজ না
এমনকি আমাদের হাতধরা
কানামাছি
চুমু খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও
লোমকূপকে বলবো : শান্ত
নিজেকে : শান্ত
এবার থেকে লাঠির বদলে
গুলির বদলে যদি
আমাদের বিশ্বাস ছুঁড়ে মারো,
বিস্ফোরণের কথা ভুলেও ভাববো না
কাল সকালে লিফলেটও যাবে না কোনো
আমরা বিনয়ী হয়ে উঠবো,
ভদ্রলোক;
কাল থেকে নিজেকে বলবো : চুপ
পুরুষাঙ্গকে বলবো : বাঞ্চোৎ কেঁদো না
রাজা যখন আছেন
হিল্লে হবেই একটা

Crispy Garlic Chicken -- লিল্টু




সরঞ্জাম:
১) ৫০০ গ্রাম boneless চিকেন, ২) বড় চামচের ৬ চামচ সয়া সস, ৩) বড় চামচের দেড় চামচ রসুন গুঁড়ো, ৪) ১/২ চা চামচ আদা পেস্ট, ৫) ১ কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার, ৬) ১ কাপ ময়দা, ৭) ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, ৮) ২-৩ কাপ সাদা তেল, ৯) ১ টা ডিম, ১০) নুন প্রয়োজন মতো।

ল্যাবরেটরী ডায়েরী -- বুড়ো আংলা

আমার আজকের বিষয় একটু বিজ্ঞানভিত্তিক। না না, মানবসমাজে বিজ্ঞানের অবদান বর্ণনার জন্য এই লেখা নয়। তার জন্য তো ছোটবেলার বিভিন্ন রচনা বইয়ের নানান রচনা আছেই। আমি আরেকটু বড় হয়ে বিজ্ঞানের দিগন্তবিস্তৃত শাখা-প্রশাখার মধ্যে থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়টিকে তুলে ধরতে চাইছি। অবশ্য চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়টিও নেহাৎ ক্ষুদ্র নয়। তারও অসংখ্য ডালপালা। প্রতিটি প্রশাখায় বিচরণ না করে বরং একটু ‘to the point’  হওয়া যাক। আমার বক্তব্যের কেন্দ্রে আছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেটির ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনস্বীকার্য। শাখাটির নাম Oncologyসকলের সুবিধার্থে একটু বর্ণনা করলে বলতে হয় এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে কোনো রোগীর দেহে ক্যান্সার, টিউমার প্রভৃতি রোগের উপস্থিতি নির্ণয়, তার ভয়াবহতার মাত্রা পরিমাপ, তাকে প্রতিরোধের উপায় নির্ধারণ ইত্যাদি পর্যালোচনা করা হয়। একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, এইরকমের রোগে প্রতিবছর যতজন মারা যান সেটা ভারতবর্ষে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এবং প্রতিবছর এটা ১১% হারে ক্রমবর্ধমান। কাজেই আশা করি পাঠকগণ শাখাটির গুরুত্ব ও চাহিদা উপলব্ধি করতে পারছেন।

ইতিকথা -- সঞ্চারী


রক্তচোষা বাদুড়ের ভোর আজকাল-
প্রাণহীন শব্দবন্ধ ডানা ভরে নিয়ে
বাদুড়েরা উড়ে আসে প্রান্ত ছুঁয়ে দিয়ে
কষ বেয়ে রক্ত ঝরছে- লাল-
ফুটো ফাটা শরীরের গায়ে
জেগে উঠছে বিন্দু বিন্দু লাল
এ বলে আমায় দ্যাখ
ও বলে আমায়- ।
একটু সুযোগ পেলে
জমাট বাঁধার,-
সেখানেই জমে যাবে সাধ্যসাধনা।
রক্তে ডোবা ফাঁদ নিয়ে
রক্ত মাখা অহেতুক খেলা;
চাঁদের মাটির ছিদ্রে
নেমে আসে ভর সন্ধ্যেবেলা।

আফসোস -- দেবু


ফাঁকা মিনিবাস। সাড়ে বারোটা নাগাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বড় জোর পাঁচ সাত জনই ওঠে। আমার পছন্দের বসার জায়গাটা ঠিক লাস্টের আগের সীটটা। বাস পুরো ফাঁকা। পাগলামো করতে আপত্তি নেই। বেশ হাত টাত দুলিয়ে নাচের ভঙ্গিতে ঠিক করলাম আজ বাঁ দিকে বসব। কাঁধের টি, কন্‌টেনার, ঢাউস একটা ব্যাগ গুছিয়ে টুছিয়ে যখন বসলাম, এমা!, দেখি একজোড়া চোখ আমার দিকে তাকিয়ে। নিশ্চয়ই মনে মনে আওয়াজ দিচ্ছে পাগল কত রকমের হয়! লজ্জা পেলাম। তারপর যথারীতি নিজেকে বললাম- বেশ করেছি! কিন্তু... চোখ দুটো ভীষণ সুন্দর ছিল যে... কোথায় নামল... ধুর যা ভিড় হয়ে গেল... আর দেখাই গেল না।

জীবন সৌরভ -- হিজিবিজবিজ

কিছুদিন আগে এই ব্লগে প্রকাশিত বিদায় পরিচিত লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। অতীতের ভালো লাগা ওই ছবিটা আবার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিলো। তখনই ভেবেছিলাম এরকম একটি লেখার কথা। তাই আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আমার ভালো লাগা অগুনতি ছবির একটি যা বারবার দেখার পরেও আজও আবার দেখতে ইচ্ছা করে।
এই ছবির মুখ্য চরিত্র দুইটি। প্রথমজন, চার্লি সিমন্স। মধ্যবিত্ত এক পরিবারের প্রতিভাশালী ছাত্র। সুঠাম, সুদর্শন, কর্তব্যপরায়ণ, আদর্শবাদী। এক কথায় ভালো ছেলে বলতে আমরা যা বুঝি। অন্যজন, রিটায়ার্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফ্র্যাঙ্ক স্লেড। একসময়ের দাপুটে সেনানায়ক। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অন্ধ। জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। দুনিয়ার প্রতি উন্নাসিক। উদ্ধত এবং মদ্যপ। এমনকি নিজের পরিবারের সাথেও তাঁর ব্যবহার এক কথায় অকথ্য। এমন একজন লোক, যাকে প্রথম পরিচয়ের দিন থেকেই আপনি ঘৃণা করবেন। চার্লির সাথে ফ্র্যাঙ্কের পরিচয় নেহাতই বৈষয়িক কারণে। চার্লি Thanksgiving-এর ছুটিতে ফ্র্যাঙ্কের দেখাশোনা করার ভার নেয় Christmas-এ বাড়ি ফেরার প্লেনের টিকিটের টাকা উপার্জনের জন্য। এরই মাঝে চার্লির স্কুলে ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা এবং দুর্ভাগ্যবশত চার্লিকে হতে হয় তার সাক্ষী। অপরাধীদের নাম ফাঁস করার জন্য তাকে যথাযথ টোপ (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় recommendation) ও দেওয়া হয়। অন্যথায়

About Us | Site Map | Privacy Policy | Contact Us | Blog Design | কথা তো বলার জন্যেই